ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে চমেকে এক ছাত্র নিহত ৬ জন আহত
ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রদল নেতা বিডিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবিদুর রহমান মারা গেছেন। প্রায় দু’দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি। আবিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর চমেকের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে। এখানে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে চিকিত্সকরা ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিত্সা দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই সুযোগ আর হলো না। ঢাকায় নেয়ার সব প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন তখনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আবিদ।
আবিদসহ নির্যাতনে আরও আহত হন চমেকের ৭ ছাত্র। আহত অন্যরা হলো—ইয়াছিন, রিজভী, মিনহাজ, ফয়সাল, ওবায়েদ ও তৌফিক। তারা চমেকের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র। তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে হঠাত্ ছাত্রদলে যোগ দিয়ে ডেন্টালে ছাত্রদল সংগঠিত করার অপরাধে আবিদের ওপর এ বর্বর নির্যাতন চালানো হয় বলে তার পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন।
চমেক সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চমেক ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রেখে এ ৭ শিক্ষার্থীর ওপর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। আবিদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত হকিস্টিক দিয়ে পুরোশরীর পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি-লাথি মেরে জখম করা হয়। আঘাতে থেঁতলে যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ
কেয়ার ইউনিটটে (আইসিইউ) চিকিত্সা দেয়ার পর তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু আবিদকে নিয়ে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নেন। হাসপাতালের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। আবিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা আবিদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
চমেক সূত্র জানায়, চমেক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আবিদ ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু চমেক ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে আবিদসহ অন্যরা ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা শেষে হলে যাওয়ার সময় ছাত্র সংসদের সামনে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের গতি রোধ করে ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রাতভর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে এসব ছাত্র সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা চলে যায়। আশপাশের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়।
আবিদের মামা নিয়ামত উল্লাহ জানান, আবিদকে চমেকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এত দীর্ঘ সময় আবিদকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর পরও পুলিশ বা চমেক প্রশাসন তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চমেকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডাক্তাররা সন্ত্রাসীদের ভয়ে আবিদকে যথাযথ চিকিত্সা দিতেও রাজি হননি প্রথমে। অনেক পীড়াপীড়ির পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে এখানে রাখতে রাজি হননি। মুমূর্ষু অবস্থায় আবিদকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয় আমাদের। কিন্তু তার অবস্থা তখন শেষ পর্যায়ে। চমেকে সময়মতো চিকিত্সা দেয়া হলে আবিদকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো।
ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে হঠাত্ ছাত্রদলে যোগ দিয়ে ডেন্টালে ছাত্রদল সংগঠিত করার অপরাধে আবিদের ওপর এ বর্বর নির্যাতন চালানো হয় বলে তার পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন।
চমেক সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চমেক ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রেখে এ ৭ শিক্ষার্থীর ওপর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। আবিদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত হকিস্টিক দিয়ে পুরোশরীর পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি-লাথি মেরে জখম করা হয়। আঘাতে থেঁতলে যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ
কেয়ার ইউনিটটে (আইসিইউ) চিকিত্সা দেয়ার পর তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু আবিদকে নিয়ে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নেন। হাসপাতালের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। আবিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা আবিদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
চমেক সূত্র জানায়, চমেক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আবিদ ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু চমেক ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে আবিদসহ অন্যরা ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা শেষে হলে যাওয়ার সময় ছাত্র সংসদের সামনে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের গতি রোধ করে ছাত্র সংসদ অফিসে আটকে রাতভর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে এসব ছাত্র সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা চলে যায়। আশপাশের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়।
আবিদের মামা নিয়ামত উল্লাহ জানান, আবিদকে চমেকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এত দীর্ঘ সময় আবিদকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর পরও পুলিশ বা চমেক প্রশাসন তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চমেকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডাক্তাররা সন্ত্রাসীদের ভয়ে আবিদকে যথাযথ চিকিত্সা দিতেও রাজি হননি প্রথমে। অনেক পীড়াপীড়ির পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে এখানে রাখতে রাজি হননি। মুমূর্ষু অবস্থায় আবিদকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয় আমাদের। কিন্তু তার অবস্থা তখন শেষ পর্যায়ে। চমেকে সময়মতো চিকিত্সা দেয়া হলে আবিদকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো।
No comments