শীতেই চূড়ান্ত 'ধাক্কার' কথা ভাবছে বিএনপি-ঢাকা ঘেরাও, অসহযোগ আসতে পারে by মোশাররফ বাবলু
সিলেট ও উত্তরাঞ্চল অভিমুখে রোডমার্চ সফল হয়েছে বলে মনে করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পতন ঘটনাতে দলটি আরো কঠোর কর্মসূচির কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।বিএনপির নেতারা আসন্ন শীত মৌসুমেই সরকারকে চূড়ান্তভাবে 'ধাক্কা' দেওয়ার কৌশল নিয়ে ভাবছেন।বিষয়টি মাথায় রেখে রোডমার্চ কর্মসূচির পাশাপাশি বৃহত্তর জেলা শহরগুলোতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবশেষে ঢাকা ঘেরাও কিংবা ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করেন, ঢাকা ঘেরাও কিংবা ঢাকা অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হলে সেটা সফল হবে। এতেও যদি সরকারের টনক না নড়ে তাহলে বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের পথে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা।
প্রধান বিরোধী দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএনপির মধ্যে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল রোডমার্চ কর্মসূচি সফল হওয়ার মধ্য দিয়ে তা আর নেই। রোডমার্চে মানুষের যে ঢল নেমেছে তাতে চেয়ারপারসনসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিএনপি আর পিছনে ফিরে যাবে না।'
বিএনপির মুখপাত্র মনে করেন, দেশবাসীর দাবির সঙ্গে বিএনপির দাবি মিলে গেছে। তাই আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তিনি বলেন, 'এখনো সময় আছে, সরকারের উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করা।'
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিএনপি। দলটি বলেছে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে তারা সংসদ নির্বাচন করবে না। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফেরার আর সুযোগ নেই। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। বিরোধী দলকে সংসদে এসেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
কিন্তু বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আপাতত সংসদ অধিবেশনে যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের একাদশ অধিবেশন। এ অধিবেশনে যাচ্ছে না বিরোধী দল।
গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ছিল ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ। সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চ পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে খালেদা জিয়াসহ দলের অধিকাংশ নেতা মনে করেন।
খালেদা জিয়া রোডমার্চ-উত্তর এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমাদের রোডমার্চের যাত্রাপথে প্রবীণ, তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ নেমে এসেছে। আমাদের বরণ করে নিয়ে ব্যর্থ ও অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে তারা। সমগ্র উত্তর জনপদে যে প্রবল জনজাগরণ উঠেছে, তাতে দেশ ও মানুষের স্বার্থরক্ষার সংগ্রামে আমার নিজের এবং আমার সহকর্মীদের শক্তি, সাহস ও মনোবল অনেক বেড়ে গেছে।'
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'রোডমার্চ কর্মসূচির বিপুল সাফল্য এবং উত্তাল গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ দেখে শাসক দল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অশালীন, অরাজনৈতিক ও রুচিহীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুৎসা রটনায় নেমে পড়েছেন।'
রোডমার্চ চলাকালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সঙ্গে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আর আস্থা নেই। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় নেমে এসেছে, তাই সরকারের বিরুদ্ধে যা যা করার দরকার তা শিগগিরই করতে হবে। দেশবাসী বিএনপির সঙ্গে আছে।
খালেদা জিয়ার এ নির্দেশের পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তৎপর হয়ে উঠছেন। আন্দোলনকে বেগবান করতে শিগগিরই দলের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ শহরে সমাবেশ এবং ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বান করবেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা যায়, সিলেট ও রাজশাহীর দুটি রোডমার্চেই ঢাকা থেকে লোকজন নেওয়া হয়েছে। আগামীতে হয়তো ঢাকা থেকে লোকজন কম যাবে। যেসব জেলা দিয়ে রোডমার্চ যাবে ওই সব জেলার লোকজন নেওয়া হতে পারে। খালেদা জিয়া রোডমার্চ চলাকালে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্র জানায়।
সূত্রটি আরো জানায়, সংসদে যোগ না দিয়ে রাজপথসহ বিভিন্ন জেলা শহরে নতুন কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। এই আন্দোলনে চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে পাবে বলে দলটি মনে করছে।
২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে জনসভা করবে বিএনপি। সেখানে বক্তব্য দেবেন দলের প্রধান। ময়মনসিংহের পর আরো কয়েকটি জেলা শহরে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঈদের পর আগামী মাসের শেষের দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করবে দলটি। পরে পর্যায়ক্রমে বরিশাল, খুলনা ও রংপুর বিভাগী শহর অভিমুখে রোডমার্চ করবে তারা। সবশেষে মফস্বল থেকে ঢাকা অভিমুখে 'ঢাকা ঘেরাও' কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর মধ্যে সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে পরবর্তী সময়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'রোডমার্চ সফল হয়েছে। মানুষের ঢল দেখে মনে হলো আমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছি, সারা দেশের মানুষ একই দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে।'
খন্দকার মোশাররফ মনে করেন, ঢাকার মহাসমাবেশ এবং সিলেট ও রাজশাহীর রোডমার্চের কর্মসূচি সফল হওয়ায় নেতা-কর্মীরা নতুন করে জেগে উঠেছে। ভবিষ্যতেও আন্দোলন কর্মসূচি সফল হবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
নতুন কর্মসূচি কী আসছে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, পর্যায়ক্রমে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'এই সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকারের উচিত অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া।'
প্রধান বিরোধী দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএনপির মধ্যে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল রোডমার্চ কর্মসূচি সফল হওয়ার মধ্য দিয়ে তা আর নেই। রোডমার্চে মানুষের যে ঢল নেমেছে তাতে চেয়ারপারসনসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিএনপি আর পিছনে ফিরে যাবে না।'
বিএনপির মুখপাত্র মনে করেন, দেশবাসীর দাবির সঙ্গে বিএনপির দাবি মিলে গেছে। তাই আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তিনি বলেন, 'এখনো সময় আছে, সরকারের উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করা।'
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিএনপি। দলটি বলেছে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে তারা সংসদ নির্বাচন করবে না। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফেরার আর সুযোগ নেই। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। বিরোধী দলকে সংসদে এসেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
কিন্তু বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আপাতত সংসদ অধিবেশনে যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের একাদশ অধিবেশন। এ অধিবেশনে যাচ্ছে না বিরোধী দল।
গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ছিল ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ। সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চ পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে খালেদা জিয়াসহ দলের অধিকাংশ নেতা মনে করেন।
খালেদা জিয়া রোডমার্চ-উত্তর এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমাদের রোডমার্চের যাত্রাপথে প্রবীণ, তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ নেমে এসেছে। আমাদের বরণ করে নিয়ে ব্যর্থ ও অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে তারা। সমগ্র উত্তর জনপদে যে প্রবল জনজাগরণ উঠেছে, তাতে দেশ ও মানুষের স্বার্থরক্ষার সংগ্রামে আমার নিজের এবং আমার সহকর্মীদের শক্তি, সাহস ও মনোবল অনেক বেড়ে গেছে।'
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'রোডমার্চ কর্মসূচির বিপুল সাফল্য এবং উত্তাল গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ দেখে শাসক দল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অশালীন, অরাজনৈতিক ও রুচিহীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুৎসা রটনায় নেমে পড়েছেন।'
রোডমার্চ চলাকালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সঙ্গে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আর আস্থা নেই। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় নেমে এসেছে, তাই সরকারের বিরুদ্ধে যা যা করার দরকার তা শিগগিরই করতে হবে। দেশবাসী বিএনপির সঙ্গে আছে।
খালেদা জিয়ার এ নির্দেশের পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তৎপর হয়ে উঠছেন। আন্দোলনকে বেগবান করতে শিগগিরই দলের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ শহরে সমাবেশ এবং ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বান করবেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা যায়, সিলেট ও রাজশাহীর দুটি রোডমার্চেই ঢাকা থেকে লোকজন নেওয়া হয়েছে। আগামীতে হয়তো ঢাকা থেকে লোকজন কম যাবে। যেসব জেলা দিয়ে রোডমার্চ যাবে ওই সব জেলার লোকজন নেওয়া হতে পারে। খালেদা জিয়া রোডমার্চ চলাকালে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্র জানায়।
সূত্রটি আরো জানায়, সংসদে যোগ না দিয়ে রাজপথসহ বিভিন্ন জেলা শহরে নতুন কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। এই আন্দোলনে চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে পাবে বলে দলটি মনে করছে।
২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে জনসভা করবে বিএনপি। সেখানে বক্তব্য দেবেন দলের প্রধান। ময়মনসিংহের পর আরো কয়েকটি জেলা শহরে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঈদের পর আগামী মাসের শেষের দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করবে দলটি। পরে পর্যায়ক্রমে বরিশাল, খুলনা ও রংপুর বিভাগী শহর অভিমুখে রোডমার্চ করবে তারা। সবশেষে মফস্বল থেকে ঢাকা অভিমুখে 'ঢাকা ঘেরাও' কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর মধ্যে সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে পরবর্তী সময়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'রোডমার্চ সফল হয়েছে। মানুষের ঢল দেখে মনে হলো আমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছি, সারা দেশের মানুষ একই দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে।'
খন্দকার মোশাররফ মনে করেন, ঢাকার মহাসমাবেশ এবং সিলেট ও রাজশাহীর রোডমার্চের কর্মসূচি সফল হওয়ায় নেতা-কর্মীরা নতুন করে জেগে উঠেছে। ভবিষ্যতেও আন্দোলন কর্মসূচি সফল হবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
নতুন কর্মসূচি কী আসছে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, পর্যায়ক্রমে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'এই সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকারের উচিত অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া।'
No comments