পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার প্রমাণ মিলেছে

পৃথিবীর তাপমাত্রা সত্যিকার অর্থেই বাড়ছে। বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত এক নিরপেক্ষ গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে বলে যাঁরা এত দিন সমালোচনা করতেন, তাঁদের অর্থায়নে মার্কিন একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছেন। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে বিতর্ক সেই 'ক্লাইমেটগেট'-এর অবসান হতে যাচ্ছে।বার্কলে আর্থ প্রজেক্ট নামের নতুন গবেষণায় নতুন পদ্ধতি ও কিছু নতুন উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেও যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আগের দেওয়া তথ্যের মতো একই ধরনের উষ্ণতা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।


২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা গোষ্ঠী দাবি করে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশি মাতামাতি করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়ার (ইউইএ) জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের ই-মেইল হ্যাক করে সমালোচকরা তখন জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত উপাত্ত পাল্টে অনলাইনে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনা 'ক্লাইমেটগেট' নামে পরিচিত।
নতুন গবেষণা পরিচালনাকারী বার্কলে আর্থ সারফেস টেম্পারেচার গ্রুপ বলছে, সাম্প্রতিক গবেষণায় উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তাপমাত্রা বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটিই দিন দিন পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ার বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৫০ বছরে পৃথিবীর তামপাত্রা দশমিক ৯১১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে গবেষণায় পাওয়া উপাত্ত পুুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক রিচার্ড মুলার। ওই গবেষকদলে ছিলেন ১০ জন বিজ্ঞানী, যাঁদের বেশির ভাগই পদার্থবিদ। তাঁদের মধ্যে চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানী পার্লমুটারও রয়েছেন।
অধ্যাপক পার্লমুটার বলেন, 'যে তথ্য নিয়ে বিতর্ক আছে ইউইএ তা গোপন করায় আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু ওই বিশ্লেষণ যখন অন্যদের কাছে অকপটে জানানো হয় তখন বিজ্ঞানই এ সমস্যার সামাধান দিয়েছে।' তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্য দলগুলো জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আগে যেসব তথ্য দিয়েছে নতুন গবেষণায় এর ঠিক কাছাকাছি তথ্য পাওয়া গেছে। বার্কলে গ্রুপ বিশ্বের ৪০ হাজার আবহাওয়া অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন নথি সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে। সূত্র : বিবিসি ও ডেইলি মেইল অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.