নাফীসের রক্তে নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তামিম
বাউন্সারে সামলাতে ব্যর্থ ব্যাটসম্যান। হেলমেট ভেদ করে মুখমণ্ডলে সজোরে আঘাত হানল লাল বল। উইকেটে রক্ত! ফাস্ট বোলারদের জন্য এটি পরম কাঙ্ক্ষিত এক দৃশ্য। এতে যে ভয়ের শীতল স্রোত বইয়ে দেওয়া যায় প্রতিপক্ষের ওপর দিয়ে!কাল শাহরিয়ার নাফীসকে রক্তাক্ত করে ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলিংয়ের পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন ফিদেল এডওয়ার্ডসও। তাতে যে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে খানিকটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন, সেটি স্বীকার করলেন তামিম ইকবাল, 'এই প্রথম উইকেটে রক্ত দেখলাম। ও যখন হেলমেট খুলছে, তখন আমি মনে করেছিলাম যে ঘাম পড়ছে। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখি রক্ত। আমি যদি বলি ভয় পাইনি, তাহলে মিথ্যা বলা হবে।
আমি একটু নার্ভাস হয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমার জেদ এল। মনে হলো, দেখি ও কী করতে পারে!' এডওয়াডর্স অবশ্য পরে আর খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। কোনো উইকেট পাননি, পারেননি আর কাউকে রক্তাক্ত করতেও।
শাহরিয়ার নাফীসের নাক আর কপালের মাঝে লেগেছিল বলটি। প্রটেক্টিভ গ্রিল ভেদ করে লাগা এই আগুনের গোলায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সন্ধ্যায় অবশ্য জানালেন, আবার ব্যাটিংয়ে নামতে কোনো অসুবিধাই নেই, 'একটু ফুলে গিয়েছিল তো, তাই দেখায় খানিকটা সমস্যা হচ্ছিল। এখন ব্যথা নেই, ফোলা কমে গেছে। কাল আবার ক্রিজে নামার জন্য আমি প্রস্তুত।' চারটি বাউন্ডারিতে করা ১৮ বলে ২১ রানের অসম্পূর্ণ ইনিংস টেনে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই বাঁহাতি।
নাফীস যতক্ষণ ছিলেন, দারুণ স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। তামিমের ব্যাপার তেমন নয়। ১৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংসে চেনা তামিমকে সহজাত বিস্ফোরক রূপে দেখা যায়নি কাল। কারণটা দিন শেষে ব্যাখ্যা করেছেন এই ওপেনার, 'কয়েক দিন আগেও বলেছিলাম, আমি আমার সেরা ফর্মে নেই। আমার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল উইকেটে সময় কাটানো। ভেবেছিলাম সেটা করতে পারলে ছন্দ পেয়ে যাব। যে শটে আউট হয়েছি সেটা নিয়ে অনুতাপ নেই, কারণ ওই শটে প্রচুর রান করেছি। যখনই বড় ইনিংস খেলেছি, ওটা আমার প্রিয় শটগুলোর মধ্যে এটা। এ রকম হতেই পারে।' উইকেট নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই তাঁর, 'এখানে খারাপ বল ছাড়া মারা কঠিন ছিল। আবার আউট হওয়াও কঠিন, কারণ মুভমেন্ট অথবা বাড়তি বাউন্স ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা ভালো খেলেছি। আমি, সাকিব, মুশফিক ভালো ব্যাট করেছি। আগে হয়তো একই ধরনের উইকেটে এ রকম বোলিংয়ের সামনে এক দিনে অল আউট হয়ে গেছি। আজ ভালো ব্যাটিং বলেই ওটা হয়নি।'
তা হয়নি। কিন্তু বাউন্সারে নাক তো ফেটেছে। এডওয়ার্ডসের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজের প্রেরণার কথাটি জানিয়েছেন তামিম, 'এটি মজার ঘটনা। কাল ওর ভিডিও দেখার চেষ্টা করছিলাম। ইউটিউবে সার্চ দিলেই দেখি সব ভালো! বাউন্সার মারছে, নাক ফাটিয়ে ফেলছে, এই করছে, ওই করছে। বুঝতে পারছিলাম না ওকে কিভাবে খেলব। পরে চিন্তা করে দেখলাম ওর বিপক্ষে ব্যাট করেই রফিক ভাই, সুমন ভাই, পাইলট ভাই সেঞ্চুরি করেছেন। সকালে ইমরুল কায়েসকেও বলেছি, ওনারা পারলে আমরা পারব না কেন!'
তামিম সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে যা করেছেন, তাও বা কম কিসে! যথার্থ টেস্ট ওপেনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। উইকেটে এখানে আছেন টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া মুশফিকুর রহিম। আর রক্ত মুছে শাহরিয়ার নাফীস তো ফিরছেনই। প্রথম ইনিংসের বিশাল রানের প্রত্যাশায় তাই বাড়াবাড়ি নেই মোটেই।
শাহরিয়ার নাফীসের নাক আর কপালের মাঝে লেগেছিল বলটি। প্রটেক্টিভ গ্রিল ভেদ করে লাগা এই আগুনের গোলায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সন্ধ্যায় অবশ্য জানালেন, আবার ব্যাটিংয়ে নামতে কোনো অসুবিধাই নেই, 'একটু ফুলে গিয়েছিল তো, তাই দেখায় খানিকটা সমস্যা হচ্ছিল। এখন ব্যথা নেই, ফোলা কমে গেছে। কাল আবার ক্রিজে নামার জন্য আমি প্রস্তুত।' চারটি বাউন্ডারিতে করা ১৮ বলে ২১ রানের অসম্পূর্ণ ইনিংস টেনে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই বাঁহাতি।
নাফীস যতক্ষণ ছিলেন, দারুণ স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। তামিমের ব্যাপার তেমন নয়। ১৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংসে চেনা তামিমকে সহজাত বিস্ফোরক রূপে দেখা যায়নি কাল। কারণটা দিন শেষে ব্যাখ্যা করেছেন এই ওপেনার, 'কয়েক দিন আগেও বলেছিলাম, আমি আমার সেরা ফর্মে নেই। আমার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল উইকেটে সময় কাটানো। ভেবেছিলাম সেটা করতে পারলে ছন্দ পেয়ে যাব। যে শটে আউট হয়েছি সেটা নিয়ে অনুতাপ নেই, কারণ ওই শটে প্রচুর রান করেছি। যখনই বড় ইনিংস খেলেছি, ওটা আমার প্রিয় শটগুলোর মধ্যে এটা। এ রকম হতেই পারে।' উইকেট নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই তাঁর, 'এখানে খারাপ বল ছাড়া মারা কঠিন ছিল। আবার আউট হওয়াও কঠিন, কারণ মুভমেন্ট অথবা বাড়তি বাউন্স ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা ভালো খেলেছি। আমি, সাকিব, মুশফিক ভালো ব্যাট করেছি। আগে হয়তো একই ধরনের উইকেটে এ রকম বোলিংয়ের সামনে এক দিনে অল আউট হয়ে গেছি। আজ ভালো ব্যাটিং বলেই ওটা হয়নি।'
তা হয়নি। কিন্তু বাউন্সারে নাক তো ফেটেছে। এডওয়ার্ডসের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজের প্রেরণার কথাটি জানিয়েছেন তামিম, 'এটি মজার ঘটনা। কাল ওর ভিডিও দেখার চেষ্টা করছিলাম। ইউটিউবে সার্চ দিলেই দেখি সব ভালো! বাউন্সার মারছে, নাক ফাটিয়ে ফেলছে, এই করছে, ওই করছে। বুঝতে পারছিলাম না ওকে কিভাবে খেলব। পরে চিন্তা করে দেখলাম ওর বিপক্ষে ব্যাট করেই রফিক ভাই, সুমন ভাই, পাইলট ভাই সেঞ্চুরি করেছেন। সকালে ইমরুল কায়েসকেও বলেছি, ওনারা পারলে আমরা পারব না কেন!'
তামিম সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে যা করেছেন, তাও বা কম কিসে! যথার্থ টেস্ট ওপেনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। উইকেটে এখানে আছেন টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া মুশফিকুর রহিম। আর রক্ত মুছে শাহরিয়ার নাফীস তো ফিরছেনই। প্রথম ইনিংসের বিশাল রানের প্রত্যাশায় তাই বাড়াবাড়ি নেই মোটেই।
No comments