নয় মাসের ‘আরব বসন্ত’
লিবিয়ায় প্রায় নয় মাস যুদ্ধের পর গাদ্দাফি যুগের অবসান হলো। গত ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফিবিরোধী লড়াই শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার সিরত শহরে গাদ্দাফির নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই লড়াইয়ের সমাপ্তি হলো। এ সময়ের মধ্যে লড়াইয়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি:
ফেব্রুয়ারি ১৭: দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। বেনগাজিতে একটি থানার কাছে শত শত জনতা গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। এ দিনটিকে ‘দ্য ডে অব রিভোল্ট’ বলা হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০: বেনগাজি দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। এতে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী ও বিরোধীদের লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়। এর পরও গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী বেনগাজি পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েক সপ্তাহ লড়াই চালিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মার্চ ১০: গাদ্দাফি বাহিনী ব্রেগা শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জায়িয়াহ ও বিন জাওয়াদ শহর পুনরুদ্ধার করে গাদ্দাফির সেনারা। এরপর ব্রেগা ও আজদাবিয়াহ শহরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে।
মার্চ ১৯: লিবিয়ায় বোমা নিক্ষেপ শুরু করে সামরিক জোট ন্যাটো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্কের পর লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন কার্যকরের প্রস্তাব পাস হয়। ১৫ সদস্যের পরিষদে স্থায়ী দুই সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়া, চীনসহ পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্র ভোটের সময় অনুপস্থিত থাকে।
মে ১৫: গাদ্দাফি সাগর তীরের শহর মিসরাতা থেকে তাঁর বাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে কয়েক সপ্তাহ শহরটি অবরোধ করে রাখা হয়। সেখানে যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকসহ উভয় পক্ষের বহু সেনা হতাহত হয়।
আগস্ট ১৫: বিদ্রোহীরা রাজধানী ত্রিপোলির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের ঘরান এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা।
আগস্ট ২১: রাজধানী ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহী বাহিনী। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে গ্রিন স্কয়ারে পৌঁছে বিদ্রোহীরা। তারা ওই স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করে শহীদ স্কয়ার নাম দেয়।
আগস্ট ২৩: গাদ্দাফির আবাসস্থল বাব আল-আজিজিয়ার পতন। তবে সেখানে গাদ্দাফি বা তাঁর পরিবারের কাউকে খুঁজে পায়নি বিদ্রোহীরা।
সেপ্টেম্বর ১১: নাইজার জানায়, গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফি সে দেশে প্রবেশ করেছে।
সেপ্টেম্বর ১৬: লিবিয়ার একমাত্র বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) সমর্থন দেয় জাতিসংঘ।
অক্টোবর ১৭: গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বনি ওয়ালিদ দখল করে বিদ্রোহী বাহিনী।
অক্টোবর ১৮: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঝটিকা সফরে লিবিয়ায় যান। তিনি বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অক্টোবর ২০: সিরত শহরে লড়াইয়ে নিহত হন গাদ্দাফি।
ফেব্রুয়ারি ১৭: দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। বেনগাজিতে একটি থানার কাছে শত শত জনতা গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। এ দিনটিকে ‘দ্য ডে অব রিভোল্ট’ বলা হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০: বেনগাজি দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। এতে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী ও বিরোধীদের লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়। এর পরও গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী বেনগাজি পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েক সপ্তাহ লড়াই চালিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মার্চ ১০: গাদ্দাফি বাহিনী ব্রেগা শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জায়িয়াহ ও বিন জাওয়াদ শহর পুনরুদ্ধার করে গাদ্দাফির সেনারা। এরপর ব্রেগা ও আজদাবিয়াহ শহরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে।
মার্চ ১৯: লিবিয়ায় বোমা নিক্ষেপ শুরু করে সামরিক জোট ন্যাটো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্কের পর লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন কার্যকরের প্রস্তাব পাস হয়। ১৫ সদস্যের পরিষদে স্থায়ী দুই সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়া, চীনসহ পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্র ভোটের সময় অনুপস্থিত থাকে।
মে ১৫: গাদ্দাফি সাগর তীরের শহর মিসরাতা থেকে তাঁর বাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে কয়েক সপ্তাহ শহরটি অবরোধ করে রাখা হয়। সেখানে যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকসহ উভয় পক্ষের বহু সেনা হতাহত হয়।
আগস্ট ১৫: বিদ্রোহীরা রাজধানী ত্রিপোলির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের ঘরান এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা।
আগস্ট ২১: রাজধানী ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহী বাহিনী। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে গ্রিন স্কয়ারে পৌঁছে বিদ্রোহীরা। তারা ওই স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করে শহীদ স্কয়ার নাম দেয়।
আগস্ট ২৩: গাদ্দাফির আবাসস্থল বাব আল-আজিজিয়ার পতন। তবে সেখানে গাদ্দাফি বা তাঁর পরিবারের কাউকে খুঁজে পায়নি বিদ্রোহীরা।
সেপ্টেম্বর ১১: নাইজার জানায়, গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফি সে দেশে প্রবেশ করেছে।
সেপ্টেম্বর ১৬: লিবিয়ার একমাত্র বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) সমর্থন দেয় জাতিসংঘ।
অক্টোবর ১৭: গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বনি ওয়ালিদ দখল করে বিদ্রোহী বাহিনী।
অক্টোবর ১৮: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঝটিকা সফরে লিবিয়ায় যান। তিনি বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অক্টোবর ২০: সিরত শহরে লড়াইয়ে নিহত হন গাদ্দাফি।
No comments