রাজশাহীতে পুলিশকে আঘাত করে পালিয়েছে আসামি

রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশকে আঘাত করে হাতে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে মোটরসাইকেল চুরি মামলার আসামি। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে। এ ঘটনায় পলাতক চোর কামাল শেখের নামে সরকারিকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানায়, রাজশাহীর পবা ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারের কর্মকর্তা নায়েব আলীর একটি সিজি-৮০ মোটরসাইকেল গত ১৯ অক্টোবর নগরীর নওদাপাড়া ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকে হারিয়ে যায়।


এ ঘটনায় নায়েব আলী পরদিন বৃহস্পতিবার নগরীর শাহ মখদুম থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল করিম অভিযান চালিয়ে নগরীর আসাম কলোনি এলাকার মকবুল শেখের ছেলে কামাল শেখকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামাল শেখ মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে এবং এ ঘটনার সঙ্গে আরো যারা জড়িত আছে তাদের নাম প্রকাশ করে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলটি এবং তার সহযোগীরা কোথায় আছে সে বিষয় কামাল পুলিশকে জানিয়ে দেয়। কামালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে পুলিশ রাত ৮টার দিকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আরো চার কনস্টেবল নগরীর পাঁচানিপাড়া (নওদাপাড়া বাইপাস) এলাকায় অভিযানে যায়। পুলিশের অভিযানকারী দল পাঁচানিপাড়া খানকা শরীফ এলাকায় পেঁৗছার পর পিকআপ ভ্যান থেকে নেমে চোর কামালের হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে নিয়ে আমবাগানের মধ্য দিয়ে হাঁটতে থাকে। একপর্যায়ে কামাল কনস্টেবল কালামের মুখে আঘাত করে হাতকড়াসহ দৌড় দেয়। এ সময় পুলিশের দলও তার পেছন পেছন ছুটতে থাকে। কিন্তু অন্ধকারের মধ্যে কামাল হারিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। এরপর পুলিশ ওই এলাকায় রাতভর ব্যাপক তল্লাশি করেও কামালকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানও পণ্ড হয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল করিম বলেন, 'আমি একটু সামনে ছিলাম। চার কনস্টেবলসহ হাতকড়া পরা চোর কামাল শেখ আমার পেছন পেছন হাঁঠতে ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরই কামাল কনস্টেবল কালামকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
শাহ মখদুম থানার ওসি সানাউল হক জানান, এ ঘটনার পর কনস্টেবল কালাম বাদী হয়ে রাতেই চোর কামাল শেখের নামে তাকে মারধর এবং সরকারিকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেন। হাতকড়া পরা অবস্থায় চোর পালানোর ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও ওসি জানান।

No comments

Powered by Blogger.