লাশ মিসরাতের হিমঘরে : গাদ্দাফির মরদেহ গোপনে দাফনের পরিকল্পনা করছে এনটিসি

জীবিত গাদ্দাফির চেয়ে মৃত গাদ্দাফি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। বিদ্রোহীরা নিহত মুয়াম্মার গাদ্দাফির মরদেহ গোপনে দাফনের পরিকল্পনা করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে তাকে কোথায় এবং কীভাবে দাফন করা হবে, সে সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা অস্বীকার করেছে বিদ্রোহীরা। গোপনে দাফনের পরিকল্পনা করা হলেও তা বিলম্বিত হতে পারে। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স, আল-জাজিরা


লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তেলমন্ত্রী আলী তারহোনি বলেন, গাদ্দাফির মরদেহ কয়েকদিনের জন্য রেখে দেয়া
হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকে জানুক যে তিনি (গাদ্দাফি) মৃত। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমি তার মরদেহ কিছুদিনের জন্য ফ্রিজে রাখতে বলেছি। তবে তিনি জানান, দাফন নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, গাদ্দাফির মরদেহ নিয়ে এনটিসির মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গাদ্দাফির মরদেহ মিসরাতা শহরের একটি হিমাগারে রাখা হয়েছে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে মৃত্যুর আগে গাদ্দাফিকে আহত অবস্থায় গ্রেফতারের পর কী ঘটেছিল, তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা অব্যাহত রয়েছে। এনটিসির প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল বলেন, গাদ্দাফিকে গ্রেফতারের পরেও তার অনুগত যোদ্ধারা এনটিসির সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিল। এ সময় এনটিসি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় গাদ্দাফি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। বিভিন্ন বার্তা সংস্থায় প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ থেকে মনে হয়েছে, তাকে মৃত বা অর্ধমৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনটিসির এক যোদ্ধা বলেন, তারা গাদ্দাফিকে একটি ড্রেনের ভেতর খুঁজে পেয়েছেন এবং এ সময় গাদ্দাফি তাকে গুলি না করার জন্য অনুরোধ করছিলেন। ওই যোদ্ধা গাদ্দাফির ব্যবহার করা সোনালি পিস্তল দেখিয়ে বলেন, এটি সেই পিস্তল যা গাদ্দাফি সব সময় ব্যবহার করতেন।
এনটিসির শীর্ষস্থানীয় নেতা মোহাম্মাদ সাইয়েহ বলেন, গাদ্দাফিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। কিন্তু যদি তা করাও হয়, তবুও এটি তার পাওনা ছিল বলে সাইয়েহ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, গাদ্দাফিকে যদি এক হাজার বারও হত্যা করা হয়, তবুও সে লিবিয়ার জনগণের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তার শাস্তি হবে না।

No comments

Powered by Blogger.