হুইপ সাগুফতা ইয়াসমীন-নারীনীতিতে রয়েছে নারীর সত্যিকারের অধিকারের কথা
জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি বলেছেন, নারীনীতিতে আছে নারীর সত্যিকারের অধিকারের কথা। নারীনীতি বাস্তবায়িত হলে সম্পদের ভাগিদার হবে নারীরাই। নারীদেরই নারীনীতির শতভাগ বাস্তবায়ন চাইতে হবে। কারণ নারীর সব দুঃখের মূল হচ্ছে দারিদ্র্য। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীকে থাকতে হবে। নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে স্বামী গায়ে হাত তুলতে পারবে না।গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত 'এমএলএম এজ উইমেনস ইন্টারপ্রেনারশিপ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ বীরপ্রতীক, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ হোসাইন, রফিকুল ইসলাম সরকার, এস এম মাহবুবুর রহমান, ক্রাউন এঙ্িিকউটিভ কে আজাদ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর মেজবাহ উদ্দিন স্বপন। সভাপতিত্ব করেন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালক জামশেদ আরা চৌধুরী।
সাগুফতা ইয়াসমীন বলেন, 'গতি হচ্ছে সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সনাতনী চিন্তাধারা আমাদের নারীদের পিছিয়ে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে যে কেউ ভুল করতে পারে। কারো কারো জীবনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। নারীর চরিত্র নিয়েও কথা বলতে পারে।' তিনি এসব বিষয়ে কর্ণপাত না করে নারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, নারীদের অবদমিত রাখা হয় মূলত সামাজিক রীতিনীতি ও অর্থনৈতিক বিষয় দিয়ে। এ ধরনের মনমানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, 'আমাদের আগামীর স্বপ্নের মানুষ আজকের নারীরা। চার দেয়ালের মধ্যে যেসব নারী ছিল, ডেসটিনি তাদের আলোর মধ্যে টেনে এনেছে। এ সমতা বা সামাজিক নেতৃত্ব অর্জিত হয়েছে আমাদের মায়েরা তাঁদের মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েছেন বলেই। তবে সাফল্য পেতে হলে আশপাশের সবাইকে নিয়েই এগোতে হবে। কারণ এক নম্বর হওয়ার মধ্যে সার্থকতা নেই। যতক্ষণ না দুই-তিনকে সামনে আনছেন।'
লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ বীরপ্রতীক বলেন, নারীদের সফলতা অর্জন করতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে দুটি অঙ্গীকারের কথা বলেছেন_প্রথমটি স্বাধীনতার কথা ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তির কথা। আর এই মুক্তি হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি।
জেনারেল হারুন বলেন, যত আইনই করা হোক না কেন, নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না এলে মুক্তি আসবে না। এর জন্য পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্থির লক্ষ্য ও সঠিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে সফল হতে হবে।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, 'ছোটবেলায় পুতুল খেলা দেখতাম। একজন নাটাই নাড়ত, আর পুতুল নাচত। বাস্তব জীবনে কমবেশি নাটাই সমাজের হাতে, আর নারীরা হচ্ছে পুতুল। যেভাবে নাচায়, নারীরা সেভাবেই নাচে। তবে ধীরে ধীরে এক একটা করে সুতা কাটা শুরু হয়েছে। এই সুতাগুলো কাটার ফলেই নারীদের বিকাশ ঘটছে। আর ডেসটিনি সেই সুতাগুলো কাটা শিখিয়েছে।
তানিয়া আমীর আরো বলেন, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গার্মেন্ট, শিল্প ক্ষেত্রে সাফল্যের জগৎ বলে ধরে নেওয়া হয়। এসব সাফল্যের পেছনে নারীরা। আর ডেসটিনি বিনিয়োগ করছে নারীদের ওপর। তাদের এ আলোকিত সিদ্ধান্তের জন্যই বর্তমানে পাঁচ লাখের বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠানের সকালের সেশনে দুজন নারীকে সফলতার পুরস্কারস্বরূপ ডায়মন্ড এঙ্িিকউটিভ পদ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন শারমীন আক্তার স্বর্ণা ও মাকাম্মা মাহমুদা পপি। প্রধান অতিথি সাগুফতা ইয়াসমীন তাঁদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় পিএসডিদের মধ্যে বক্তব্য দেন গীতা রানী দাস, শামসুন্নাহার সুমি, উম্মে সালমা, তহুরা হোসেন, কলি আক্তার, সেলিনা আক্তার, ডা. হোসনে আরা চম্পা প্রমুখ।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় সহস্রাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশ নেয়।
সাগুফতা ইয়াসমীন বলেন, 'গতি হচ্ছে সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সনাতনী চিন্তাধারা আমাদের নারীদের পিছিয়ে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে যে কেউ ভুল করতে পারে। কারো কারো জীবনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। নারীর চরিত্র নিয়েও কথা বলতে পারে।' তিনি এসব বিষয়ে কর্ণপাত না করে নারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, নারীদের অবদমিত রাখা হয় মূলত সামাজিক রীতিনীতি ও অর্থনৈতিক বিষয় দিয়ে। এ ধরনের মনমানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, 'আমাদের আগামীর স্বপ্নের মানুষ আজকের নারীরা। চার দেয়ালের মধ্যে যেসব নারী ছিল, ডেসটিনি তাদের আলোর মধ্যে টেনে এনেছে। এ সমতা বা সামাজিক নেতৃত্ব অর্জিত হয়েছে আমাদের মায়েরা তাঁদের মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েছেন বলেই। তবে সাফল্য পেতে হলে আশপাশের সবাইকে নিয়েই এগোতে হবে। কারণ এক নম্বর হওয়ার মধ্যে সার্থকতা নেই। যতক্ষণ না দুই-তিনকে সামনে আনছেন।'
লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ বীরপ্রতীক বলেন, নারীদের সফলতা অর্জন করতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে দুটি অঙ্গীকারের কথা বলেছেন_প্রথমটি স্বাধীনতার কথা ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তির কথা। আর এই মুক্তি হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি।
জেনারেল হারুন বলেন, যত আইনই করা হোক না কেন, নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না এলে মুক্তি আসবে না। এর জন্য পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্থির লক্ষ্য ও সঠিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে সফল হতে হবে।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, 'ছোটবেলায় পুতুল খেলা দেখতাম। একজন নাটাই নাড়ত, আর পুতুল নাচত। বাস্তব জীবনে কমবেশি নাটাই সমাজের হাতে, আর নারীরা হচ্ছে পুতুল। যেভাবে নাচায়, নারীরা সেভাবেই নাচে। তবে ধীরে ধীরে এক একটা করে সুতা কাটা শুরু হয়েছে। এই সুতাগুলো কাটার ফলেই নারীদের বিকাশ ঘটছে। আর ডেসটিনি সেই সুতাগুলো কাটা শিখিয়েছে।
তানিয়া আমীর আরো বলেন, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গার্মেন্ট, শিল্প ক্ষেত্রে সাফল্যের জগৎ বলে ধরে নেওয়া হয়। এসব সাফল্যের পেছনে নারীরা। আর ডেসটিনি বিনিয়োগ করছে নারীদের ওপর। তাদের এ আলোকিত সিদ্ধান্তের জন্যই বর্তমানে পাঁচ লাখের বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠানের সকালের সেশনে দুজন নারীকে সফলতার পুরস্কারস্বরূপ ডায়মন্ড এঙ্িিকউটিভ পদ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন শারমীন আক্তার স্বর্ণা ও মাকাম্মা মাহমুদা পপি। প্রধান অতিথি সাগুফতা ইয়াসমীন তাঁদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় পিএসডিদের মধ্যে বক্তব্য দেন গীতা রানী দাস, শামসুন্নাহার সুমি, উম্মে সালমা, তহুরা হোসেন, কলি আক্তার, সেলিনা আক্তার, ডা. হোসনে আরা চম্পা প্রমুখ।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় সহস্রাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশ নেয়।
No comments