চিনতে না পারার জের-বরিশালে আদালত চত্বরে ভাইবোনকে পেটাল পুলিশ

রিশালে আদালত চত্বরে ঢুকে এক নৈশপ্রহরী ও তাঁর বোনকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে পুলিশ। ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। পুলিশ ওই দুজনসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে গেছে থানায়। তাঁদের অপরাধ, ছদ্মবেশী পুলিশকে চিনতে না পেরে ভবনের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নারীনীতি বাতিলসহ সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন সমমনা ১২টি ইসলামী দলের উদ্যোগে গতকাল জুমার নামাজ শেষে মিছিল হয়। শহরের হেমায়েত উদ্দীন রোডে জামে কসাই মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি চকবাজার হয়ে ফজলুল হক এভিনিউর দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া করে।


এ সময় মিছিলকারীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। মিছিলকারী জামায়াত কর্মী মাহফুজ ও শরীফ মিজান কালেক্টরেট ভবনের পাশ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে ঢুকে পড়ে আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইনজীবী ভবনে। তাঁদের ধাওয়া করে আসা সাদা পোশাকধারী পুলিশ ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নৈশপ্রহরী মিন্টু বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদা পোশাকে থাকা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহিউদ্দীন তাঁকে মারধর করেন। মিন্টুকে বাঁচাতে তাঁর বোন জাহানারা এগিয়ে এলে তিনিও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। পরে পোশাকধারী পুলিশ এসেও তাঁদের মারধর করে। একপর্যায়ে ভাইবোনসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
একই সঙ্গে পুলিশ আশপাশের এলাকা থেকে বিনানুমতিতে মিছিল করার অপরাধে আবদুল আল নাহীয়ান, রাসেল আলম, আবদুর রউফ, সাইফুল্লাহ, শরীফ মিজান ও মাহফুজুর রহমান নামের ছয়জনকে আটক করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহিদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ায় পুলিশ আইনজীবী ভবনের নৈশপ্রহরীকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত দুজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদেরসহ আটককৃতদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.