লক্ষ্যের পথে আরেক ধাপ এগোল ভারত

থাটা মহেন্দ্র সিং ধোনি আগেও বলেছেন। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর আবার সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, 'বদলা শব্দটা ক্রিকেটের জন্য একটু কঠোর হয়ে যায়। ভদ্রলোকের খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। দয়া করে আমরা ইংল্যান্ডে সিরিজ হারের বদলা নিচ্ছি_এটা ভাববেন না।'অধিনায়ক যতই বলুন, সমর্থকদের কাছে কিন্তু এটা বদলাই। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রিয় দলের ভরাডুবি এখনো কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে তাদের বুকে।


সেই জ্বালা কিছুটা কমেছে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর। হয়তো আরো কমবে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে! 'বদলা', 'প্রতিশোধ' এসব শব্দ ব্যবহার করতে অনাগ্রহী হলেও ভারত অধিনায়ক কিন্তু সমর্থকদের সেই ইচ্ছেটা পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন তৃতীয় ওয়ানডের পরেই, 'বছর দুয়েক আগেও আমরা ওদের ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছি। হয়তো এবারও সেটাই করব। তবে এর জন্য আমাদের এই ছন্দটা ধরে রাখতে হবে।'
ঠিক এই জিনিসটারই অভাব চোখে পড়ছে ভারত সফরে আসা ইংল্যান্ড দলটার মধ্যে। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারের পর পরশু তৃতীয়টাতে কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ভালোই করেছিলেন। ভারতের সামনে ২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন আবার ব্যর্থ হয়েছেন বোলাররা। যদিও ২৩৫ রানে ভারতের ৫ উইকেট পড়ার পর একটু আশা দেখছিলেন ইংলিশ সমর্থকরা। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি আর রবীন্দ্র জাদেজা মিলে শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের প্রশংসার পাশাপাশি তাই ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক দায়ী করেছেন নিজেদের ধারাবাহিকতার অভাবকে, 'আমরা বোলিং-ব্যাটিং একই সঙ্গে ভালো করতে পারছি না। শেষে একটা সুযোগ এসেছিল কিন্তু ধোনি-জাদেজা মিলে সেটাও কেড়ে নিয়ে গেল। কোনো সন্দেহ নেই ধোনিই এখন এক দিনের ক্রিকেটের সেরা ফিনিশার।'
আনুষ্ঠানিক এসব কথাবার্তার মধ্যেও অবশ্য প্রতিপক্ষ দলের আচরণ নিয়ে কিছুটা বিরক্তি দেখা গেছে ভারত অধিনায়ককে। আগের দুই ওয়ানডেতেও ইংলিশদের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু পরশু নাকি ইংলিশ ক্রিকেটাররা মাত্রাতিরিক্ত অশোভন আচরণ করেছেন ভারতীয়দের সঙ্গে। বেশ কয়েকবার দুই দলের ক্রিকেটারদের তাই বিবাদে জড়িয়ে পড়তেও দেখা গেছে। এ ব্যাপারগুলো যাতে ভবিষ্যতে কমে আসে সে জন্য ইংল্যান্ডকে আরেকটু সহনীয় আচরণ করতেও অনুরোধ করেছেন ধোনি, 'ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে এত কথা যদি বলাই হয় তাহলে মনে হয়, এটাও দেখা উচিত যে স্লেজিং যেন সীমানা অতিক্রম করে না ফেলে। টুকটাক কথাবার্তা ঠিক আছে। কিন্তু সেটা কখনোই ব্যক্তিগত আক্রমণে নামিয়ে আনা উচিত নয়।' যদিও ইংল্যান্ড নাকি বলেছে, স্লেজিংটা তারা চালিয়ে যাবে। এটাই নাকি তাদের স্ট্র্যাটেজি! এটা শুনে সহাস্য ধোনির জবাব ছিল, 'বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওদের স্ট্র্যাটেজিটা তাহলে খুব খারাপ এবং এই সিরিজে একেবারেই কাজ করেনি। পরের দুটো ম্যাচে ওদের স্ট্র্যাটেজিটা পাল্টাতে বলুন।' পিটিআই, ক্রিকইনফো

No comments

Powered by Blogger.