কুমিল্লায় চিকিৎসার অভাবে চিকিৎসকের মৃত্যু, ভাঙচুর

কুমিল্লার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার অভাবে এক সরকারি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর করে। পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গতকাল শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের কোনো অবহেলা ছিল না বলে দাবি করেছে।জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েকর্মরত ও কুমিল্লা শহরের কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা ডা. ফরিদ উদ্দিন মোহন (৫২) অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় তাঁকে কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।


সেখানে রোগী তাঁর পূর্বপরিচিত চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে দিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানান। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীরা ডা. মিজানুর রহমানকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে কালক্ষেপণ করেন। পরে রোগীর আত্মীয়রাই হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে মিজানুর রহমানকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু ওই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা কোনো চিকিৎসা দেননি বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন মোহন মারা যান। এ ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন মোহনের ভায়রা রবিউল আলম জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর এক ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা কোনো চিকিৎসা দেননি। এ ঘটনায় তিনি গতকাল কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ফরিদ উদ্দিন মোহনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল না। রোগীর লোকজন মিজানুর রহমান ছাড়া কাউকে দিয়ে চিকিৎসা করাতে চায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর পাশে থেকে অঙ্েিজনসহ যাবতীয় চিকিৎসা দেন।

No comments

Powered by Blogger.