প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি-রাজশাহীতে ৯ জন গ্রেপ্তার, ওবাইদুল্লাহকে আটকের দাবি by আনু মোস্তফা,
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএনপির রোডমার্চ উপলক্ষে চারদলীয় জোটের পথসভায় আরেকটি ১৫ আগস্ট আসন্ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল হোতা জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওবাইদুল্লাহ ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর বিএনপির রোডমার্চ উপলক্ষে গোদাগাড়ীর ডাইংপাড়ায় চারদলীয় জোট আয়োজিত পথসভায় জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওবাইদুল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীসহ সব নেতাকে মুক্তি না দিলে আরেকটি ১৫ আগস্ট আসন্ন। সেনাবাহিনীতে থাকা জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার মুজাহিদ আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাবে। জামায়াত নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেন, 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যেমন আপনার বাবার কবরে মাটি দেওয়ার লোক পাওয়া যায়নি, এবারও তেমনি আপনার কবরেও মাটি দেওয়ার লোক পাওয়া যাবে না। আপনি পঁচাত্তরে বেঁেচ গেলেও এবার বাঁচবেন না। এবার আপনি আল্লাহর নাম নেওয়ার সময় পাবেন না।'
এ ঘটনায় গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বাদী হয়ে জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২-১৩ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ ওবাইদুল্লাহকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের ৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোদাগাড়ী উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের (জামায়াতের সহযোগী সংগঠন) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম (৪৮), বাসুদেবপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী শফিকুল ইসলাম (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), গোলাম কবির (৫১), পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের আমির রফিকুল ইসলাম (৫০), জামায়াতকর্মী আবদুল জব্বার (৪৯), হাসান মামুন (৪৬), পবার মাধবপুর গ্রামের মকবুল হোসেন (৫৩) ও মহিষালবাড়ীর জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম (৫২)। গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে গোদাগাড়ী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘটনার দিন গোদাগাড়ীর পথসভায় সরকারের বিরুদ্ধে ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হত্যার হুমকি প্রদানের ঘটনায় উস্কানি ও সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওবাইদুল্লাহ ছাড়াও আরো পাঁচজন জামায়াত-শিবির নেতাকে খুঁজছে পুলিশ। এর মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার কামরুজ্জামান, হায়দার আলীসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ গতকালও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ঘটনার দিনের আলোচিত পথসভায় বক্তব্য প্রদানকারী উপজেলা বিএনপির দুই নেতাসহ আরো এক যুবদল নেতার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, ১৯ অক্টোবর গোদাগাড়ীর ডাইংপাড়া মোড়ে জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহসহ যেসব জামায়াত-শিবির নেতা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও আড়াল থেকে একটি মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ কেউ ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী জামায়াত নেতাদের রক্ষার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, জামায়াত নেতারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ছাড়া কোনো সংসদ সদস্য ও নেতা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ করেননি। তাঁরা এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করছেন না। তাঁরা বলেন, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদই একমাত্র নেতা যিনি ঘটনার শুরু থেকে নানাভাবে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিনই মামলার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডাইংপাড়া মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিঘ্ন ঘটাতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ১৯ আগস্টের পথসভায় আরেকটি পনেরো আগস্ট ঘটানোর যে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি জামায়াত-শিবির চক্র ও তাদের দোসরদের মোকাবিলা করতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ঘটনার দিন জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহসহ যারা ওই পথসভায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তিনি।
প্রতিবাদ সমাবেশে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিঞা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি কামরুজ্জামান চঞ্চল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকসহ স্থানীয় নেতারা বক্তৃৃতা করেন।
এ ঘটনায় গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বাদী হয়ে জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২-১৩ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ ওবাইদুল্লাহকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের ৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোদাগাড়ী উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের (জামায়াতের সহযোগী সংগঠন) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম (৪৮), বাসুদেবপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী শফিকুল ইসলাম (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), গোলাম কবির (৫১), পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের আমির রফিকুল ইসলাম (৫০), জামায়াতকর্মী আবদুল জব্বার (৪৯), হাসান মামুন (৪৬), পবার মাধবপুর গ্রামের মকবুল হোসেন (৫৩) ও মহিষালবাড়ীর জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম (৫২)। গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে গোদাগাড়ী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঘটনার দিন গোদাগাড়ীর পথসভায় সরকারের বিরুদ্ধে ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হত্যার হুমকি প্রদানের ঘটনায় উস্কানি ও সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওবাইদুল্লাহ ছাড়াও আরো পাঁচজন জামায়াত-শিবির নেতাকে খুঁজছে পুলিশ। এর মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার কামরুজ্জামান, হায়দার আলীসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ গতকালও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ঘটনার দিনের আলোচিত পথসভায় বক্তব্য প্রদানকারী উপজেলা বিএনপির দুই নেতাসহ আরো এক যুবদল নেতার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, ১৯ অক্টোবর গোদাগাড়ীর ডাইংপাড়া মোড়ে জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহসহ যেসব জামায়াত-শিবির নেতা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও আড়াল থেকে একটি মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ কেউ ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী জামায়াত নেতাদের রক্ষার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, জামায়াত নেতারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ছাড়া কোনো সংসদ সদস্য ও নেতা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ করেননি। তাঁরা এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করছেন না। তাঁরা বলেন, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদই একমাত্র নেতা যিনি ঘটনার শুরু থেকে নানাভাবে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিনই মামলার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডাইংপাড়া মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিঘ্ন ঘটাতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ১৯ আগস্টের পথসভায় আরেকটি পনেরো আগস্ট ঘটানোর যে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি জামায়াত-শিবির চক্র ও তাদের দোসরদের মোকাবিলা করতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ঘটনার দিন জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহসহ যারা ওই পথসভায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তিনি।
প্রতিবাদ সমাবেশে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিঞা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি কামরুজ্জামান চঞ্চল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকসহ স্থানীয় নেতারা বক্তৃৃতা করেন।
No comments