লিবিয়ার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ
গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় দেশটির জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (এনটিসি) অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর এনটিসি চূড়ান্ত জয়ের ঘোষণা দেয়।
এনটিসি নেতারা জানিয়েছেন, লিবিয়ার নতুন সংবিধান এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো ঘোষণা করা হবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো ঘোষণা বা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই যে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, বিষয়টি এত সহজ নয়। কারণ, গাদ্দাফির মৃত্যু হলেও তাঁঁর উত্তরসূরি বলে যাঁকে ভাবা হতো, সেই সাইফ আল ইসলামকে এখনো পাওয়া যায়নি। সেই সাইফ কোথায়, কীভাবে আছেন, এনটিসিও তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাইফকে আটক করতে না পারলে তিনি দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করেন অনেকে।
এনটিসির প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল বলেছেন, ‘সাইফ কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমাদের ধারণা, সিরত শহরের আশপাশের কোনো গ্রামে তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন।’
এনটিসি লিবিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। দেশটিতে অনেক সশস্ত্র পক্ষ রয়েছে, যাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই পক্ষগুলো কখনো বিচ্ছিন্নভাবে, কখনো বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে গাদ্দাফি-বিরোধী লড়াই করেছে। গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার হিসাব কষবে। গাদ্দাফিও তাঁর শাসনামলে দেশটির উচ্ছৃঙ্খল সশস্ত্র অনেক পক্ষের কাছ থেকে বিদ্রোহের হুমকি পেয়েছিলেন। তাই এনটিসি এখন এই পক্ষগুলোকে কীভাবে সামাল দেবে, তা দেখার বিষয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটোর সহায়তায় গাদ্দাফি বাহিনীকে পরাজিত করেছে বিদ্রোহীরা। এর পরও অনেক সময় বিদ্রোহী বাহিনীকে খুব সংহত মনে হয়নি। ন্যাটো অভিযান বন্ধ ঘোষণা করলে দেশটির নিরাপত্তায় একটি সংহত সেনাবাহিনী প্রয়োজন হবে। এমন সংহত একটি বাহিনী গড়তে এনটিসি কতটা সক্ষম হবে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে।
স্থিতিশীল লিবিয়া গড়তে অবশ্যই একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় দেশটির সব পক্ষের সহযোগিতা জরুরি। সেই সহযোগিতা এনটিসি কতটা পাবে, তা-ও লক্ষণীয়। কারণ, জয়ী যোদ্ধারা তাঁদের গোষ্ঠীগত স্বার্থে আঘাত লাগলে তা কীভাবে নেবেন, তাঁরা অস্ত্র সংবরণ করতে রাজি হবেন কি না, এর ওপর দেশটির স্থিতিশীলতা অনেকটাই নির্ভর করছে।
এসবের পাশাপাশি এনটিসিকে একেবারে সাধারণ জনগণের কথাও ভাবতে হবে। তাদের প্রত্যাশা, একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধিশালী লিবিয়া। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আগে সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার নয়।
এনটিসি নেতারা জানিয়েছেন, লিবিয়ার নতুন সংবিধান এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো ঘোষণা করা হবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো ঘোষণা বা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই যে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, বিষয়টি এত সহজ নয়। কারণ, গাদ্দাফির মৃত্যু হলেও তাঁঁর উত্তরসূরি বলে যাঁকে ভাবা হতো, সেই সাইফ আল ইসলামকে এখনো পাওয়া যায়নি। সেই সাইফ কোথায়, কীভাবে আছেন, এনটিসিও তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাইফকে আটক করতে না পারলে তিনি দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করেন অনেকে।
এনটিসির প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল বলেছেন, ‘সাইফ কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমাদের ধারণা, সিরত শহরের আশপাশের কোনো গ্রামে তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন।’
এনটিসি লিবিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। দেশটিতে অনেক সশস্ত্র পক্ষ রয়েছে, যাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই পক্ষগুলো কখনো বিচ্ছিন্নভাবে, কখনো বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে গাদ্দাফি-বিরোধী লড়াই করেছে। গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার হিসাব কষবে। গাদ্দাফিও তাঁর শাসনামলে দেশটির উচ্ছৃঙ্খল সশস্ত্র অনেক পক্ষের কাছ থেকে বিদ্রোহের হুমকি পেয়েছিলেন। তাই এনটিসি এখন এই পক্ষগুলোকে কীভাবে সামাল দেবে, তা দেখার বিষয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটোর সহায়তায় গাদ্দাফি বাহিনীকে পরাজিত করেছে বিদ্রোহীরা। এর পরও অনেক সময় বিদ্রোহী বাহিনীকে খুব সংহত মনে হয়নি। ন্যাটো অভিযান বন্ধ ঘোষণা করলে দেশটির নিরাপত্তায় একটি সংহত সেনাবাহিনী প্রয়োজন হবে। এমন সংহত একটি বাহিনী গড়তে এনটিসি কতটা সক্ষম হবে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে।
স্থিতিশীল লিবিয়া গড়তে অবশ্যই একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় দেশটির সব পক্ষের সহযোগিতা জরুরি। সেই সহযোগিতা এনটিসি কতটা পাবে, তা-ও লক্ষণীয়। কারণ, জয়ী যোদ্ধারা তাঁদের গোষ্ঠীগত স্বার্থে আঘাত লাগলে তা কীভাবে নেবেন, তাঁরা অস্ত্র সংবরণ করতে রাজি হবেন কি না, এর ওপর দেশটির স্থিতিশীলতা অনেকটাই নির্ভর করছে।
এসবের পাশাপাশি এনটিসিকে একেবারে সাধারণ জনগণের কথাও ভাবতে হবে। তাদের প্রত্যাশা, একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধিশালী লিবিয়া। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আগে সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার নয়।
No comments