'অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানাই রইল' by হাসান ইমাম বাবু
১৯৮৪ সালে লন্ডনের সেন্ট জেমস স্কয়ারে লিবীয় দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছিল। লিবিয়ার ভিন্নমতাবলম্বীদের ডাকা সেই বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন মেট্রোপলিটান পুলিশ সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইউভোন জয়েস ফ্লেচার। একপর্যায়ে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন এ নারী পুলিশ সদস্য। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এ ঘটনার সাক্ষী ও ফ্লেচারের সহকর্মী জন মারে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুতে উদ্যাপনের কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর মতে, 'যা ঘটেছে তা আমার কল্পনারও বাইরে। গাদ্দাফির মৃত্যু খুবই খারাপ পরিণতি।
কেননা তাঁর মৃত্যুতে অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানাই রয়ে গেল। যখন নিশ্চিতভাবে জানলাম, গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন, আমার কাছে এটা কোনো উদ্যাপনের খবর মনে হয়নি।'
১৯৮৮ সালে লকারবির আকাশে মার্কিন বিমানে বোমা বিস্ফোরণে ২৭০ জনের সঙ্গে নিহত হন ড. জিম সোয়ারের মেয়ে ফ্লোরা। মেয়ে হারানো এ বাবাও গাদ্দাফির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'এভাবে কাউকে মেরে ফেলা বিচারের কোনো ধরন নয়। আমি মনে করি, কিছু প্রশ্নের উত্তর গাদ্দাফি হয়তো জানতেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গেও সে সবের উত্তরও হারিয়ে গেল।' গাদ্দাফির মৃত্যুসংক্রান্ত সম্প্রচারিত ভিডিওচিত্র প্রসঙ্গে সোয়ার বলেন, 'যতটা দেখে বোঝা যায়, তাতে মনে হয় প্রথমে গাদ্দাফিকে আটক করা হয়। পরে বিনা বিচারে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমি মনে করি, ন্যায়বিচারের প্রশ্নে এটি ঠিক হয়নি।'
ফ্লেচারের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। তবে ১৯৮৯ সালে গাদ্দাফি সরকার ফ্লেচারের মৃত্যুর দায় মেনে নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়। এ ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন। তাঁর নাম মাতৌক মোহামেদ মাতৌক। মারের আশা, মাতৌককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
অন্যদিকে লকারবির ঘটনায় অভিযুক্ত লিবীয় নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহিকে নির্দোষ বলেই মনে করেন সোয়ার। তিনি মনে করেন, এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত ছিলেন গাদ্দাফি তা জানতেন, 'গাদ্দাফি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তবে আমি মনে করি, তিনি (গাদ্দাফি) হয়তো জানতেন, কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।'
ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহি মাত্র মাসতিনেক বাঁচবেন_চিকিৎসকদের এমন কথার ওপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালের আগস্টে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এখনো বেঁচে আছেন তিনি।
১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়ারিংটনে পরপর দুই দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনায় ব্যবহৃত আইআরএ বোমার উপকরণ লিবিয়া সরকারের দেওয়া ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই বিস্ফোরণে ১৩ বছরের ছেলে টিমকে হারান কলিন পেরি। তিনিও মনে করেন, গাদ্দাফিকে বিচারের মুখোমুখি করাই হতো 'সবচেয়ে ভালো পরিণতি'। সূত্র : বিবিসি।
১৯৮৮ সালে লকারবির আকাশে মার্কিন বিমানে বোমা বিস্ফোরণে ২৭০ জনের সঙ্গে নিহত হন ড. জিম সোয়ারের মেয়ে ফ্লোরা। মেয়ে হারানো এ বাবাও গাদ্দাফির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'এভাবে কাউকে মেরে ফেলা বিচারের কোনো ধরন নয়। আমি মনে করি, কিছু প্রশ্নের উত্তর গাদ্দাফি হয়তো জানতেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গেও সে সবের উত্তরও হারিয়ে গেল।' গাদ্দাফির মৃত্যুসংক্রান্ত সম্প্রচারিত ভিডিওচিত্র প্রসঙ্গে সোয়ার বলেন, 'যতটা দেখে বোঝা যায়, তাতে মনে হয় প্রথমে গাদ্দাফিকে আটক করা হয়। পরে বিনা বিচারে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমি মনে করি, ন্যায়বিচারের প্রশ্নে এটি ঠিক হয়নি।'
ফ্লেচারের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। তবে ১৯৮৯ সালে গাদ্দাফি সরকার ফ্লেচারের মৃত্যুর দায় মেনে নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়। এ ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন। তাঁর নাম মাতৌক মোহামেদ মাতৌক। মারের আশা, মাতৌককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
অন্যদিকে লকারবির ঘটনায় অভিযুক্ত লিবীয় নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহিকে নির্দোষ বলেই মনে করেন সোয়ার। তিনি মনে করেন, এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত ছিলেন গাদ্দাফি তা জানতেন, 'গাদ্দাফি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তবে আমি মনে করি, তিনি (গাদ্দাফি) হয়তো জানতেন, কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।'
ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহি মাত্র মাসতিনেক বাঁচবেন_চিকিৎসকদের এমন কথার ওপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালের আগস্টে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এখনো বেঁচে আছেন তিনি।
১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়ারিংটনে পরপর দুই দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনায় ব্যবহৃত আইআরএ বোমার উপকরণ লিবিয়া সরকারের দেওয়া ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই বিস্ফোরণে ১৩ বছরের ছেলে টিমকে হারান কলিন পেরি। তিনিও মনে করেন, গাদ্দাফিকে বিচারের মুখোমুখি করাই হতো 'সবচেয়ে ভালো পরিণতি'। সূত্র : বিবিসি।
No comments