ভুয়া পরীক্ষার্থী-ঢাবি-জাবি পার, জবিতে ধরা

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই কর্ম করে পার পেয়ে গেলেও এবার শেষ রক্ষা হয়নি তার। দেশের নামকরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন জালিয়াতি ধরা না পড়ায় জবি প্রশাসন বিস্ময় প্রকাশ করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জবির ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। এ বছর ৭১০টি আসনের বিপরীতে ৩৩ হাজার ৩৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।


বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের ৪১২ নম্বর কক্ষে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করেন সংশ্লিষ্ট কক্ষের পরিদর্শকরা। পরিদর্শকরা জানান, খাইরুল ইসলাম নামের পরীক্ষার্থী যশোর বোর্ডের ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসে। কাগজপত্র যাচাইকালে বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রক্টর অফিসে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আটকে রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খাইরুলের দাবি, তার রেজিস্ট্রেশন কার্ড বৈধ। একই কাগজপত্রে সে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। অথচ তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর নেই। এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি সে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, 'খাইরুল ইসলাম নামের পরীক্ষার্থীর কাগজপত্রের অসংগতি ধরা পড়ায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এর আগে সে কিভাবে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে, তা অবাক করা ব্যাপার।'
ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত দুই
পূর্বশত্রুতার জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের অবস্থা গুরুতর।
জানা যায়, নারীঘটিত বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রলীগের একপক্ষ আবু তাহের নামের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাহেরের সহপাঠী ছাত্রলীগ কর্মীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স পর্বের শিক্ষার্থী শরীফকে চাকু দিকে বুকে ও পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে। তিনি ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরীফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি এ হামলা-মারধরে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অশোক কুমার সাহা, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন, খন্দকার আরিফুজ্জামান ও ওমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ এ ব্যাপারে বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এর পরও তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে মারামারি করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জানান, ঘটনা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.