দুর্নীতি তদন্তে সরকারের পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই’—এমন মতামত দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন পর্যালোচনায় করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করতে হলে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তে যদি সরকারের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হয়, তাহলে তো আর দুর্নীতি দমন সম্ভব হবে না।
কমিটি বলেছে, দুর্নীতিমুক্ত জাতি গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে দুদককে স্বাধীনভাবে কমিশনের সচিব নিয়োগসহ সব কাজ নিজেদের মতো করার স্বাধীনতা দিতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো দুদককে অর্থনৈতিক ও কাঠামোগতভাবে স্বাধীনতা দিতে হবে। যাতে করে নিজের দক্ষ জনবল গড়ে তুলে তারা কাজ করতে পারে। তাদের চাহিদা অনুসারে সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থও দিতে হবে।
সংসদ ন্যায়পালের অনুপস্থিতিতে দুদকের বার্ষিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করার দায়িত্ব আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এসে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধিদল এ সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আজ শনিবার এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে সভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. জিয়াউল হক মৃধা, মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম এ এন ছিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করা দরকার। এটাই এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনটি দেশ সফর সম্পর্কে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ওই তিন দেশে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীন সংস্থা দুদক। কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকোয়রি, ইনভেস্টিগেশন ও প্রসিকিউশনে কোনো পূর্বানুমতির বিধান নেই সেখানে। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরাও প্রতিবেদন দিয়েছি।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দুদক কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদনের নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সুপারিশে বলা হয়েছে। সুরঞ্জিত বলেন, দুদক কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেওয়ার প্রস্তাবিত বিধান যৌক্তিক নয় বলে কমিটি মনে করে। সরকারের কাছ থেকে পূর্বানোমুদন নিতে হলে কমিশনের দরকার কী? পুলিশ আছে। তিনি বলেন, ‘দুদককে তো ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে লাভ নেই, এটিকে কার্যকর করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এখন দুর্নীতি দমন (সংশোধন) বিল-২০১১ রয়েছে। সংসদে উত্থাপিত ওই বিলের ৩২(ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
সংসদ ন্যায়পালের অনুপস্থিতিতে দুদকের বার্ষিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করার দায়িত্ব আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘুরে এসে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধিদল এ সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আজ শনিবার এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে সভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মো. জিয়াউল হক মৃধা, মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম এ এন ছিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করা দরকার। এটাই এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনটি দেশ সফর সম্পর্কে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ওই তিন দেশে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীন সংস্থা দুদক। কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকোয়রি, ইনভেস্টিগেশন ও প্রসিকিউশনে কোনো পূর্বানুমতির বিধান নেই সেখানে। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরাও প্রতিবেদন দিয়েছি।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দুদক কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদনের নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সুপারিশে বলা হয়েছে। সুরঞ্জিত বলেন, দুদক কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেওয়ার প্রস্তাবিত বিধান যৌক্তিক নয় বলে কমিটি মনে করে। সরকারের কাছ থেকে পূর্বানোমুদন নিতে হলে কমিশনের দরকার কী? পুলিশ আছে। তিনি বলেন, ‘দুদককে তো ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে লাভ নেই, এটিকে কার্যকর করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এখন দুর্নীতি দমন (সংশোধন) বিল-২০১১ রয়েছে। সংসদে উত্থাপিত ওই বিলের ৩২(ক) ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
No comments