নিজেও জয়ের আশায় তামিম by তারেক মাহমুদ
ঢাকার পর চট্টগ্রামেও দেখা যাচ্ছিল ব্যাপারটা। দল অনুশীলনে আসার বেশ আগে কোচিং স্টাফের কাউকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে চলে আসছেন। নেটে ব্যাট করছেন এক-দেড় ঘণ্টা। কখনো অনুশীলন শেষেও টিম বয়দের নিয়ে থেকে যাচ্ছেন মাঠে। ছক্কা মারার মহড়া দিচ্ছেন। অথবা টুকটাক নক করছেন ড্রেসিংরুমের সামনের সবুজ জমিনে। নিজেকে ফিরে পাওয়ার এই লড়াই তামিম ইকবাল শুরু করেছেন অতি সম্প্রতি।
ব্যাটে প্রত্যাশামতো রান না পাওয়ার কারণ খুঁজতে দাঁড়িয়েছিলেন আত্মবিশ্লেষণের আয়নার সামনে। সমস্যার সমাধানও পেয়ে গেলেন। হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে মাঝে দলের বাইরে আলাদা অনুশীলন কমিয়ে দিয়েছিলেন। ভেবে দেখলেন, ওটাই হয়তো ধার কমিয়ে দিয়েছে ব্যাটের। তামিম তাই ফিরে গেলেন আগের অবস্থায়, ‘আমি সব সময়ই বাড়তি কাজ করতাম ব্যাটিং নিয়ে। হাতের অপারেশনের পর ওটা অনেক কমিয়ে দিয়েছিলাম। এখন আবার ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করছি।’ নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইটা এখনো জেতা হয়নি। তবে সুবাস পাচ্ছেন, জয় আসন্ন। তামিমও আছেন সেই প্রতীক্ষায়, ‘একটা কথা আছে, একটা ভালো ইনিংস সব বদলে দিতে পারে। সেই ইনিংসের অপেক্ষাতেই আছি।’
কাল ৫২ রান করে আউট হয়ে গেলেও যেভাবে আউট হলেন, সেটা নিয়ে আফসোস নেই বাঁহাতি ওপেনারের, ‘আগেও বলেছি, এই মুহূর্তে আমি আমার সেরা ফর্মে নেই। আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল উইকেটে সময় কাটানো। সেটা করতে পারলে ছন্দ পেয়ে যেতাম। তবে যে শটে আউট হয়েছি, সেটা নিয়ে অনুতাপ নেই। এভাবে প্রচুর রান করেছি। ওটা আমার প্রিয় শটগুলোর একটা।’
তামিমের ভালো ইনিংস মানে বাংলাদেশ দলেরও ভালো শুরু। তিনি আউট হয়ে গেলেন পঞ্চাশ পেরোতেই, ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিং জুটিটাও মাত্র ২৬ রানের! এটাকে ভালো শুরু বলার উপায় নেই। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে দলের অবস্থা বেশ ভালো। তামিমও বলছেন, ‘পুরো একটা দিন ব্যাটিং করা আমাদের জন্য ভালো অর্জন। শেষ পর্যন্ত কত করব, বলা মুশকিল। এটা দ্রুত রান তোলার উইকেট নয়। রানের জন্য কষ্ট করতে হবে। কাল (আজ) যতটা সম্ভব ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয়, ৩২০ থেকে ৩৫০ রান ভালো স্কোর হবে।’
তামিমের চোখে উইকেটের দুই রকম চেহারাই ধরা পড়েছে কাল। ওপরের বল বা বাজে বল ছাড়া মারা কঠিন মনে হচ্ছিল। তাই বলে আবার এটা বোলারদেরও উইকেট নয়। ‘মুভমেন্ট অথবা বাড়তি বাউন্স নেই উইকেটে। নিজেদের মাঠে যে রকম উইকেটে আমরা সচরাচর খেলে থাকি, ও রকমই উইকেট’—বলেছেন তামিম।
দলে ফেরা রকিবুলের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন উইকেটে। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাটিং। দিন শেষে দুজনেরই প্রশংসা তাঁর মুখে, ‘ছয় মাস ধরেই দারুণ খেলছে মুশফিক। আর অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে সব ঠিকই মনে হচ্ছে। আশা করি, কালও (আজ) ভালো কিছু করতে পারবে। ইতিবাচক মনে হয়েছে রকিবুলকেও। আগেও ওর সঙ্গে ব্যাটিং করেছি। এতটা ইতিবাচক কখনো মনে হয়নি তাকে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি সিরিজের আগে। প্রথম দিনে সেই বিশুকে উইকেটশূন্য ফেরাতে পারাটাও তামিমের দৃষ্টিতে একটা অর্জন। তবে আরও বড় আয়নায় দেখলে, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটাই তো বাংলাদেশের! দিন শেষে তামিম আশার বাণী শোনালেন, ভালো কিছু হবে আজও। তবে সেই ভালোর অনেকটাই নির্ভর করছে মুশফিকের ব্যাটের ওপর।
নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রতিদিনই যেন একটু একটু করে ফুটে উঠছে অধিনায়কত্বের আলো। চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিক কি পারবেন সেটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে? জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাঁর সাম্প্রতিক রেকর্ড আশাবাদীই করে তোলে। ছয় টেস্ট খেলে এ মাঠে রান ৫৮.১০ গড়ে ৫৮১। তার চেয়েও বড় কথা, কালকের অপরাজিত ৬৮-এর আগের টানা তিন ইনিংসও উজ্জীবিত হওয়ার মতোই। গত বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে ৭৯ ও ৯৫। আর জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে তো করলেন টেস্টে এখন পর্যন্ত নিজের একমাত্র সেঞ্চুরিটিই!
কাল ৫২ রান করে আউট হয়ে গেলেও যেভাবে আউট হলেন, সেটা নিয়ে আফসোস নেই বাঁহাতি ওপেনারের, ‘আগেও বলেছি, এই মুহূর্তে আমি আমার সেরা ফর্মে নেই। আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল উইকেটে সময় কাটানো। সেটা করতে পারলে ছন্দ পেয়ে যেতাম। তবে যে শটে আউট হয়েছি, সেটা নিয়ে অনুতাপ নেই। এভাবে প্রচুর রান করেছি। ওটা আমার প্রিয় শটগুলোর একটা।’
তামিমের ভালো ইনিংস মানে বাংলাদেশ দলেরও ভালো শুরু। তিনি আউট হয়ে গেলেন পঞ্চাশ পেরোতেই, ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিং জুটিটাও মাত্র ২৬ রানের! এটাকে ভালো শুরু বলার উপায় নেই। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে দলের অবস্থা বেশ ভালো। তামিমও বলছেন, ‘পুরো একটা দিন ব্যাটিং করা আমাদের জন্য ভালো অর্জন। শেষ পর্যন্ত কত করব, বলা মুশকিল। এটা দ্রুত রান তোলার উইকেট নয়। রানের জন্য কষ্ট করতে হবে। কাল (আজ) যতটা সম্ভব ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয়, ৩২০ থেকে ৩৫০ রান ভালো স্কোর হবে।’
তামিমের চোখে উইকেটের দুই রকম চেহারাই ধরা পড়েছে কাল। ওপরের বল বা বাজে বল ছাড়া মারা কঠিন মনে হচ্ছিল। তাই বলে আবার এটা বোলারদেরও উইকেট নয়। ‘মুভমেন্ট অথবা বাড়তি বাউন্স নেই উইকেটে। নিজেদের মাঠে যে রকম উইকেটে আমরা সচরাচর খেলে থাকি, ও রকমই উইকেট’—বলেছেন তামিম।
দলে ফেরা রকিবুলের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন উইকেটে। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাটিং। দিন শেষে দুজনেরই প্রশংসা তাঁর মুখে, ‘ছয় মাস ধরেই দারুণ খেলছে মুশফিক। আর অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে সব ঠিকই মনে হচ্ছে। আশা করি, কালও (আজ) ভালো কিছু করতে পারবে। ইতিবাচক মনে হয়েছে রকিবুলকেও। আগেও ওর সঙ্গে ব্যাটিং করেছি। এতটা ইতিবাচক কখনো মনে হয়নি তাকে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি সিরিজের আগে। প্রথম দিনে সেই বিশুকে উইকেটশূন্য ফেরাতে পারাটাও তামিমের দৃষ্টিতে একটা অর্জন। তবে আরও বড় আয়নায় দেখলে, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটাই তো বাংলাদেশের! দিন শেষে তামিম আশার বাণী শোনালেন, ভালো কিছু হবে আজও। তবে সেই ভালোর অনেকটাই নির্ভর করছে মুশফিকের ব্যাটের ওপর।
নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রতিদিনই যেন একটু একটু করে ফুটে উঠছে অধিনায়কত্বের আলো। চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিক কি পারবেন সেটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে? জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাঁর সাম্প্রতিক রেকর্ড আশাবাদীই করে তোলে। ছয় টেস্ট খেলে এ মাঠে রান ৫৮.১০ গড়ে ৫৮১। তার চেয়েও বড় কথা, কালকের অপরাজিত ৬৮-এর আগের টানা তিন ইনিংসও উজ্জীবিত হওয়ার মতোই। গত বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে ৭৯ ও ৯৫। আর জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে তো করলেন টেস্টে এখন পর্যন্ত নিজের একমাত্র সেঞ্চুরিটিই!
No comments