ফেসবুকেও চরম অসন্তোষ, নানা মন্তব্য...- আঁতাত নাকি?

কুখ্যাত রাজাকার কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের সংবাদে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ, হতাশা আর নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ক্ষোভের বহির্প্রকাশে রায় কিংবা ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে চরম আপত্তিকর আর অশালীন মন্তব্য করতেও দ্বিধান্বিত হচ্ছেন না কেউ। বোধকরি দেশের কোন আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন ঝড় এটাই প্রথম। গেরামের মাটির মানুষের মাঝেও। এতকাল যারা যুদ্ধাপরাধী, গো. আযমদের নামই শোনেনি, ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় তারাও এখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। সবারই ক্ষোভের ধরন একই রকম। কুখ্যাত এই জানোয়ারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এটা কোন্ রায় হলো? ‘বিপক্ষে রায় এলে দেশ গৃহবুদ্ধে পরিণত হবে’ ‘আগের দিনে জামায়াতের এমন হুঙ্কারের ভয়েই মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আপোস করেছে’ এমন মন্তব্যের পাশাপাশি এই রায় মানি না, রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব, লিখে যাব প্রতিদিন প্রতিক্ষণ এমন মন্তব্যেরও ঝড় বইছে সর্বত্রই।
প্রবাসী রওশন জাহান লিসা মন্তব্য করেছেন, ‘এই রায় জামায়াতের সঙ্গে আপোস করার মতো রায়। জামায়াত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে বলে গতকাল যে হুমকি দিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় বৈ আর কিছু নয়। নতুন প্রজন্ম এই রায় কোনদিনও মেনে নেবে না। নতুন প্রজন্মের একজন হিসেবে এই রায় প্রত্যাখ্যান করলাম। আমি ভয় পাওয়ার দলে না। আদালতের এই রায় প্রত্যাখ্যানের দায়ে কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ঠুকে দেয়, দিক, আমি ভয় পাই না।’
এদিকে রায়ের পর আদালত থেকে সে (কাদের মোল্লা) বেরিয়ে যাওয়ার সময় দু’আঙ্গুলের ‘ভি’ চিহ্নের ছবি দিয়ে হাজী মোহাম্মদ সেলিম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন রায়ের পর কাদির ‘...পুতের’ এই প্রতিক্রিয়া দেইখা আমি লজ্জিত...আমার আর কিছুই বলার নাই...ক্ষমা চাই আমার পূর্বপুরুষের কাছে, ক্ষমা করো মা শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, ক্ষমা করো মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও অগণিত ধর্ষিতা মা-বোন।
মুন্না নামের একজন লিখেছেন আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কাদের মোল্লার মামলায় ট্রাইব্যুনাল যে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে এটাতে খুশি হতে পারলাম না। ৪শ’ মানুষকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত, গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত, তার পরও এ লঘুদ-। তাহলে আর কত মানুষকে হত্যা করলে এ রায় মৃত্যুদ- হতো...? এটা কিসের আভাস, সরকার কি জামায়াতের সঙ্গে কোন আঁতাত করছে, যদি করে থাকে তাহলে জাতি তা মানবে না। জাতি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়, এ কাজে কেউ বিঘœ ঘটালে জাতি তাদের কোনদিনই ক্ষমা করবে না..।
মনীষ চন্দ্র বিশ্বাস নামের একজন কমেন্টস বক্সে লিখেছেন এ শাস্তি দেয়ার জন্য এত নাটকের কী দরকার ছিল? মুন্না নামের একজন তার কষ্টের কথা এভাবেই লিখেছেন নাটকীয় এ রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা আর শহীদদের অপমান করা হয়েছে। ইমরান সরদার নামের একজন লিখেছেন আমি লজ্জিত, আমি ক্ষুব্ধ, আমি হতাশ। আমি এ রায় মানি না। সব রাজাকারের ফাঁসি চাই!

কৈফিয়ত
অনিবার্যকারণে আজ ফিচার পাতা খেলা, চলমান বিশ্ব ও শিক্ষাসাগর প্রকাশ করা গেল না।

No comments

Powered by Blogger.