তারেকের দেশে ফিরতে বাধা নেই, তবে যেতে হবে জেলে- ওয়াশিংটনে আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশের বিচার, আইন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ওয়াশিংটন ডিসিতে সর্বজনীন মতবিনিময় সভায় বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ সংবাদদাতা শিবি্বর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাই চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে।
তাই তিনি বাংলাদেশে ফিরলে আইনের রীতি অনুযায়ী সংশিস্নষ্ট কর্তৃপ তাকে কারাগারে নেবে এবং এরপর আইন অনুযায়ী পরবতর্ী পদপে গ্রহণ করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেছেন যে, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনই বাধা নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকেরই সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে আত্মপ সমর্থনে তারেক রহমানও তা পাবেন। দর্শক সাড়ি থেকে জামাতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার কর্মকর্তা আখতার হোসেন প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, জামায়াতে ইসলামীকে টার্গেট করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা। এর জবাবে আইনমন্ত্রী অত্যনত্ম স্পষ্টভাবে বলেন, দলগতভাবে কাউকে টার্গেট করার প্রশ্নই উঠে না। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যারা এর বিপ েঅবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানী, বাড়িঘরে অগি্নসংযোগে লিপ্ত ছিল- কেবলমাত্র তাদেরকেই সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারে সোপর্দ করা হবে। একাত্তরে মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধ সংগঠন করেছেন এবং পরবতর্ীতে তারা যদি কোন রাজনৈতিক দলে জড়িত হয়ে থাকেন তাহলেও বিচারের সময় সংশিস্নষ্ট অপরাধীদের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে না। আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা একাত্তরের অপরাধীদের বিচার এমনভাবে করতে চাই যা নিয়ে কেউ বিতর্কের অবতারণা করতে পারবে না। এ বিচারের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল একাত্তরের ঘাতকদের বিচার প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে সে বিচারের জন্যে রায় প্রদান করেছেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বর্তমান সরকার সকল অপরাধেরই বিচার করবে। এজন্যে প্রবাসীদের আনত্মরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। গণতন্ত্রকে কুসুমাসত্মীর্ণ রাখতে আইনের শাসনের বিকল্প নেই। অপরাধীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন আইনের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
১১ মার্চ সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল) ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় সপ্রিংফিল্ডে একটি হোটেলের বলরম্নমে প্রবাসীদের আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সংবাদ ভাষ্যকার রোকেয়া হায়দার এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কমু্যনিটি লিডার মাহমুদুন্নবী বাকী এবং অমর ইসলাম। বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বক্তব্য রাখেন এ সমাবেশে। উলেস্নখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এবং সন্ত্রাস নিমর্ূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের জন্যে ৮ মার্চ ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিয়ার রহমান। ১০ মার্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ওয়াশিংট্ন ডিসি ত্যাগ করেছেন ড. আতিয়ার রহমান। আইনমন্ত্রী এবং এ্যাটর্নি জেনারেল ফিরবেন ১৬ মার্চ।

No comments

Powered by Blogger.