রূপনগরের রূপনত্মী by ইব্রাহিম নোমান
ফুটফুটে একটি ছোট মেয়ে। ফুলের মতো সে
প্রাণোচ্ছল। বয়স কত হবে ১০ কি ১১। সে হাসলে মনে হয় সারা পৃথিবী হাসছে। আর
কাঁদলে মনে হয় গোটা প্রকৃতি তার সঙ্গে কাঁদছে।
কিন্তু
মেয়েটি ছিল খুবই গরিব। পায়ে দেয়ার মতো কোন স্যান্ডেল বা জুতো তার ছিল না।
তবু রূপনগর রাজ্যের মধ্যমণি ছিল এই মেয়েটি। রাজ্যের সকল প্রাণী, গাছ-গাছালি
তাকে ভালবাসত। মেয়েটির আপন বলতে কেউ ছিল না। তবু গোটা রাজ্যের সবাই ছিল
তার আপনজন। মেয়েটি হাঁটার সময় পাখিরা মাথার ওপর উড়ে উড়ে তাকে গান শোনাত।
গ্রীষ্মের খরতাপ থেকে বাঁচাতে গাছেরা তাকে ছায়া দিত। বাতাস তার শরীর জুড়িয়ে
দিত। রাজ্যের গোটা প্রকৃতি ছিল তার। নিতানত্মই আপন। কারণ গাছ থেকে একটি
ডাল ভেঙ্গে পড়লেও মেয়েটি কষ্ট পেত। আর কেউ গাছ কাটলে তো তার কান্না পেত। ঐ
দিন সারাটা বেলা কেঁদেই কাটাত।
এমন একটি দিনের কথা বলছি। এক কাঠ ব্যবসায়ী রূপনগরের সবচেয়ে প্রাচীন নিমগাছটি কেটে ফেলল। রূপনগরের প্রকৃতিপ্রেমিক রূপনত্মীর কান্না তো আর থামে না। সকাল থেকে নিমগাছের নিচে বসে কেঁদেই চলছে। তার কান্না শুনে রাজ্যের সব শিশু বেরিয়ে এল রাজপথে। ধর্ণা দিল রাজার কাছে গাছ কাটা চলবে না। বিশেষ করে অনেক বছরের পুরনো গাছ তো নয়-ই। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ গাছ কাটলে তাকে আগে লাগাতে হবে কমপ েচারটি গাছ।
রূপনগরের রাজা শিশুদের কথা প্রথমে পাত্তাই দিলেন না। বললেন, বড় বড় গাছ না কেটে কি উপায় আছে? ওগুলো বেচলে তো আমার অনেক টাকা আয় হয়। অগত্যা শিশুরা হতাশ হয়ে ফিরে এল রূপনত্মীর কাছে। শুধাল, ফুল, পাখিরা তো তোমার কথা শোনে। তোমায় কত ভালবাসে। ওদের কাছে বলে দেখ না_ কিছু একটা বিহিত করা যায় কি-না।
এবার রূপনত্মী ইশারায় ডাকল ফুল-পাখিদের। বলল, তার মনোকষ্টের কথা। বলল, বন্ধুরা আমি তোদের পরম আশ্রয়স্থল বড় বড় গাছগুলো আর রা করতে পারছি না। লোভী রাজার কোপানলে পড়ে সব উজাড় হতে চলেছে। রূপনত্মীর কান্না শুনে পরীদের রানীর খুব দয়া হলো। সে তার একদল অনুচর পাঠাল লোভী রাজাকে শিা দিতে।
পরদিন ভোরে রূপনগরে কোন পাখি দেখা গেল না, কোন ফুলও আর ফুটল না। অল্প ক'দিন পরেই ফসলের মৌসুম শুরম্ন হবে। তো, পাখি না থাকায় ঐ বছরে রাজ্যে ফসর হলো না। সব ধান নষ্ট হয়ে গেল। রাজা অবশেষে বুঝতে পারলেন, গাছ কেটে তিনি মহা ভুল করেছেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন রাজ্যের আর কোন বড় গাছ কাটা হবে না। আর যদি কাটতেই হয় তাহলে আগে লাগাতে হবে চারটি গাছ। এবার রূপনত্মীর কান্না থামল। রূপনগরে ফিরে এল সব পাখি। ফুল আর পাখিদের সমারোহে রূপনগর ফিরে পেল তার স্বগর্ীয় সৌন্দর্য।
রূপনত্মীও তার ফুল পাখিদের নিয়ে রূপনগরে বইতে লাগল আনন্দের হিলেস্নাল।
এমন একটি দিনের কথা বলছি। এক কাঠ ব্যবসায়ী রূপনগরের সবচেয়ে প্রাচীন নিমগাছটি কেটে ফেলল। রূপনগরের প্রকৃতিপ্রেমিক রূপনত্মীর কান্না তো আর থামে না। সকাল থেকে নিমগাছের নিচে বসে কেঁদেই চলছে। তার কান্না শুনে রাজ্যের সব শিশু বেরিয়ে এল রাজপথে। ধর্ণা দিল রাজার কাছে গাছ কাটা চলবে না। বিশেষ করে অনেক বছরের পুরনো গাছ তো নয়-ই। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ গাছ কাটলে তাকে আগে লাগাতে হবে কমপ েচারটি গাছ।
রূপনগরের রাজা শিশুদের কথা প্রথমে পাত্তাই দিলেন না। বললেন, বড় বড় গাছ না কেটে কি উপায় আছে? ওগুলো বেচলে তো আমার অনেক টাকা আয় হয়। অগত্যা শিশুরা হতাশ হয়ে ফিরে এল রূপনত্মীর কাছে। শুধাল, ফুল, পাখিরা তো তোমার কথা শোনে। তোমায় কত ভালবাসে। ওদের কাছে বলে দেখ না_ কিছু একটা বিহিত করা যায় কি-না।
এবার রূপনত্মী ইশারায় ডাকল ফুল-পাখিদের। বলল, তার মনোকষ্টের কথা। বলল, বন্ধুরা আমি তোদের পরম আশ্রয়স্থল বড় বড় গাছগুলো আর রা করতে পারছি না। লোভী রাজার কোপানলে পড়ে সব উজাড় হতে চলেছে। রূপনত্মীর কান্না শুনে পরীদের রানীর খুব দয়া হলো। সে তার একদল অনুচর পাঠাল লোভী রাজাকে শিা দিতে।
পরদিন ভোরে রূপনগরে কোন পাখি দেখা গেল না, কোন ফুলও আর ফুটল না। অল্প ক'দিন পরেই ফসলের মৌসুম শুরম্ন হবে। তো, পাখি না থাকায় ঐ বছরে রাজ্যে ফসর হলো না। সব ধান নষ্ট হয়ে গেল। রাজা অবশেষে বুঝতে পারলেন, গাছ কেটে তিনি মহা ভুল করেছেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন রাজ্যের আর কোন বড় গাছ কাটা হবে না। আর যদি কাটতেই হয় তাহলে আগে লাগাতে হবে চারটি গাছ। এবার রূপনত্মীর কান্না থামল। রূপনগরে ফিরে এল সব পাখি। ফুল আর পাখিদের সমারোহে রূপনগর ফিরে পেল তার স্বগর্ীয় সৌন্দর্য।
রূপনত্মীও তার ফুল পাখিদের নিয়ে রূপনগরে বইতে লাগল আনন্দের হিলেস্নাল।
No comments