প্রতিক্রিয়া : আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বিতীয় রায়-দেশবাসীর প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি-সরকারের মনোভাবে নাটকীয় পরিবর্তন by মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে
ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লাকে আদালত একটি মামলায় অব্যাহতি দিয়ে বাকি পাঁচটি
মামলার তিনটিতে অভিযুক্ত করে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও দুটিতে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ মামলার রায় নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবী,
নাগরিকসমাজ এবং সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এ রায়ের পর কালের কণ্ঠের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদমানবতাবিরোধী অপরাধে ছয়টির
মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার পরও ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হয়নি।
দেশের মানুষ ভেবেছিল এবং মনে করে, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।
একাত্তর সালে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে কাদের মোল্লার যে ভূমিকা এবং
মানবতাবিরোধী অপরাধ, তা সর্বজনবিদিত। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সেটা আদালতে
প্রমাণও হয়েছে। এ রায়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এর বাইরে রায় সম্পর্কে
আর বেশি কিছু বলার নেই। কাদের মোল্লার হাতে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের
আত্মীয়স্বজনরা এ রায় নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁরা ক্ষুব্ধ
হয়েছেন। শুধু তাঁরাই নন, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সব মানুষই
হতাশ হয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, তাঁরা ন্যায্য বিচার পাননি। তার চেয়ে বড়
কথা, আমরা লক্ষ করছি, জামায়াতের প্রতি সরকারের মনোভাবে নাটকীয় পরিবর্তন
ঘটেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। সরকারের মনোভাব অতিসম্প্রতি নমনীয় বলে মনে হচ্ছে।
কিন্তু এই মনোভাব এ দেশের জনগণকে ক্ষুব্ধ করছে।
জামায়াত হরতাল দিয়ে, ভাঙচুর করে এই ট্রাইব্যুনালকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছে। তারা সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। অব্যাহতভাবে পুলিশ পেটাচ্ছে। অথচ সরকারের শুধু মুখে হুমকি-ধমকি করা ছাড়া সত্যিকারের কোনো অ্যাকশন দেখা যাচ্ছে না। এখন সরকার আপিল করবে কি না তার চেয়ে বড় কথা, সরকারের নমনীয় মনোভাব কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। জামায়াত ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠেছে, প্রতিবাদ করছে, মিটিং-মিছিল করতে চেষ্টা করছে। এবং সেটা আজ নতুন করে নয়, বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু তাদের কঠোর হস্তে দমনের কোনো উদ্যোগ প্রকৃত অর্থে দেখা যায়নি। অধিকন্তু সরকার গত সোমবার তাদের অনুমোদন দিল মিটিং সমাবেশ করার। এসব মোটেই ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। কোন যুক্তিতে সোমবার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো? আমরা আমাদের প্রতিবাদ-কর্মসূচি অব্যাহত রাখছি। আর সে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তথা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা, দেশের মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে আমরা সরকারের কাছে স্বচ্ছ ভূমিকা আশা করি। শুধু ট্রাইব্যুনাল নয়, জামায়াত-শিবিরের ব্যাপারেও সরকারের ভূমিকা স্পষ্ট হতে হবে।
জামায়াত হরতাল দিয়ে, ভাঙচুর করে এই ট্রাইব্যুনালকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছে। তারা সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। অব্যাহতভাবে পুলিশ পেটাচ্ছে। অথচ সরকারের শুধু মুখে হুমকি-ধমকি করা ছাড়া সত্যিকারের কোনো অ্যাকশন দেখা যাচ্ছে না। এখন সরকার আপিল করবে কি না তার চেয়ে বড় কথা, সরকারের নমনীয় মনোভাব কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। জামায়াত ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠেছে, প্রতিবাদ করছে, মিটিং-মিছিল করতে চেষ্টা করছে। এবং সেটা আজ নতুন করে নয়, বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু তাদের কঠোর হস্তে দমনের কোনো উদ্যোগ প্রকৃত অর্থে দেখা যায়নি। অধিকন্তু সরকার গত সোমবার তাদের অনুমোদন দিল মিটিং সমাবেশ করার। এসব মোটেই ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। কোন যুক্তিতে সোমবার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো? আমরা আমাদের প্রতিবাদ-কর্মসূচি অব্যাহত রাখছি। আর সে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তথা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা, দেশের মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে আমরা সরকারের কাছে স্বচ্ছ ভূমিকা আশা করি। শুধু ট্রাইব্যুনাল নয়, জামায়াত-শিবিরের ব্যাপারেও সরকারের ভূমিকা স্পষ্ট হতে হবে।
No comments