হরতালে 'সশস্ত্র' জামায়াত আবার চার হত্যা-চট্টগ্রামে সংঘর্ষ, রাজশাহীতে শিবির-পুলিশ গোলাগুলি বোমা, ভাঙচুর, আগুন, আহত দেড় শতাধিক

ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়াধাওয়ি ও গোলাগুলির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা 'সশস্ত্র' হরতাল পালন করেছে জামায়াত-শিবির। চট্টগ্রামে দুপুরের দিকে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়।
সন্ধ্যায় হরতাল শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীতে আবার সশস্ত্র মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা বোমা মেরে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে। রাতে উদ্ধার করা হয় এক তরুণের লাশ। নিহত ওই তরুণ শিবিরকর্মী এবং সংঘর্ষে নিহত হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে।
রাজশাহীতে প্রকাশ্যে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি, পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির ক্যাডাররা। ঢাকায় যানবাহনে ভাঙচুর, আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানীতে বাসে আগুন, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তা অবরোধ করে 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস' চালায় হরতালকারীরা। রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও দিনাজপুরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে হরতালকারীরা। সাতক্ষীরা, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও নেত্রকোনায় বাস, ট্রাক ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে দেড় শতাধিক আহত এবং ২১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের দিন ঘোষণার পরপরই মঙ্গলবার হরতাল ঘোষণা করে জামায়াত। গতকাল রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পর আজ বুধবারও সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।
চট্টগ্রামে হত্যা-তাণ্ডব : গতকাল হরতালের সময় চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। সংঘর্ষে ৫০ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করছে জামায়াত। পুলিশ বলেছে, শিবিরকর্মীরা পুলিশের দিকে গুলি ও রকেট ফ্লেয়ার বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। দুপুরের দিকে সংঘর্ষে নিহত ইমরান খান চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। সে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার টেনাই গ্রামের বাবুল খানের ছেলে। শিবিরের পক্ষ থেকে তাকে নিজেদের 'সাথি' বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চললেও দুপুর ১টার পর জামায়াত-শিবিরকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। লাঠি মিছিল নিয়ে তারা পুলিশ বক্স, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলা শুরু করে। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে নগরীর পাহাড়তলীর অলংকার মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, মির্জাপুরসহ কয়েকটি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের একটি ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. হাবিবুর রহমান জানান, জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পুলিশ বক্সে হামলা ও গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে শিবিরকর্মীদের চালানো আক্রমণে পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন। পরে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে। ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবারের ডাকা হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা সন্ধ্যা ৭টায় আবার মিছিল করে আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় মুহুর্মুহু ককটেল ছুড়লে শফিকুল (২২) ও আফজাল (২৫) নামে দুজন নিহত হয়। নিহত আফজাল একজন ব্যবসায়ী এবং শফিকুল ইপিজেডের কোরিয়ান কম্পানি ইয়াং ওয়ানের কর্মী। জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে ছোড়া ককটেলে তাঁরা দুজনসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। শফিকুলের মাথার খুলি উড়ে যায়। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনই মারা যান। সেখানে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির মাথার খুলি উড়ে গেছে। এ কারণে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।' অপর আহত আফজাল পরে মারা যান।
রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য সারওয়ার উদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, আগ্রাবাদ এলাকায় হোটেল রুচিতার পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। লাশটি আবিদ (১৮) নামে এক তরুণের। সে হালিশহরের নিউ এল ব্লকের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মনিরুল হকের ছেলে। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁর ছেলে শিবির করত। সন্ধ্যায় আগ্রাবাদে সংঘর্ষে সে নিহত হয়েছে।
রাজশাহী : সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর বিনোদপুরে শিবির ক্যাডাররা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে থাকলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, ইটপাটকেল ও হাতবোমা ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। সংঘর্ষে শিবিরের পাঁচ কর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। দুপুর সোয়া ১টার দিকে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অবস্থিত কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঢাকা : গতকাল সকালেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সহিংস হয়ে ওঠে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দার কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেই মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, ধানমণ্ডি ও তেজগাঁও এলাকায় বাসে আগুন, ভাঙচুর, ককটেলের বিস্ফোরণ এবং রাস্তা অবরোধ করে হরতালকারীরা। ঢাকায় জামায়াত-শিবিরের ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।
তবে সকালে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সদরঘাট থেকে লঞ্চও ছেড়ে গেছে। যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল।
সকাল ৭টার দিকে মহাখালী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে শাহীন নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হন। আটক করা হয় দুজনকে। এলিফ্যান্ট রোডসংলগ্ন বাটা সিগন্যাল মোড়ে আইসিবির একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় পিকেটাররা। সকাল পৌনে ৭টার দিকে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় জামায়াত-শিবির একটি মিছিল বের করে। এ সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ। একই সময় আগারগাঁও তালতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শিবিরকর্মীরা। সাড়ে ৭টার দিকে শ্যামলী শিশুপল্লীর সামনে বিআরটিসির একটি বাসে ভাঙচুর চালায় হরতাল সমর্থকরা। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। সকাল সোয়া ৭টার দিকে নর্থ সাউথ রোডে সুরিটোলা স্কুলের সামনে বিআরটিসির একটি বাস ভাঙচুর ও চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবিরকর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে জামায়াত-শিবির ফকিরাপুল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তায় চটের বস্তায় আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
হরতাল চলাকালে মিরপুর, ফার্মগেট ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়।
হরতাল ডেকে সোমবার রাতেই উত্তরায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়। আগুনে পুড়ে গত রাতেই একজন ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান।
বগুড়ায় শহরতলির সাবগ্রাম এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ছয়টি ককটেল ছোড়ে পিকেটাররা। রাবার বুলেট ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। আটক করা হয় ১০ জনকে। সাতক্ষীরা শহরের বাঙালের মোড়ে পুলিশের গাড়ি ও পিকআপে আগুন দেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। সংঘর্ষে চার পুলিশ আহত হয়। দেবহাটা উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে হরতালবিরোধীদের সঙ্গেও। সেখান থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ডাকবাংলোর মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে চারটি ককটেল ছোড়ে পিকেটাররা। এতে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। এ সময় ১০টি গুলি ছোড়ে পুলিশ। জেলায় ২১ জন আটক হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, বন্দরবাজার পেপারপয়েন্ট, ধোপাদীঘির পাড়, জেলরোড ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ দুই শতাধিক গুলি, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, কালার গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশসহ অন্তত ৩৬ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১২ জনকে।
নেত্রকোনায় ২০টি বাস ভাঙচুর ও দুটিতে আগুন দেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। গতকাল ভোরে সীতাকুণ্ডের ছোট দারোগারহাট এলাকায় কাঁচামালবাহী একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। ভাঙচুরের শিকার হয় পুলিশের গাড়িসহ আটটি গাড়ি। পটিয়ায় আটক হয়েছে দুজন।
লক্ষ্মীপুরে লাঠি মিছিলসহ সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় শিবিরের চার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নোয়াখালীর দত্তেরহাটে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর শেষে তাঁর মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয় জামায়াত-শিবির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ দুটি ব্যাংকের কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। ভোলায় পুলিশের সঙ্গে হরতালকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ১৫ জন এবং আটক করা হয়েছে চারজনকে। দাউদকান্দি ও চান্দিনায় ছয়টি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে পিকেটাররা। কুমিল্লায় জামায়াত-শিবির নেতাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এ ছাড়া পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয় পিকেটাররা। আটক করা হয়েছে শিবিরের তিন কর্মীকে।
রাজবাড়ীতে সংঘর্ষে থানার ওসি ও এসআই আহত হয়েছেন। আটক হয়েছে একজন। কক্সবাজারেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাবনায় অন্তত ১৫টি যানবাহন এবং ক্লাব ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালায় হরতালকারীরা। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়। শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশ। নাটোরের বাগাতিপাড়া ও বড়াইগ্রামে ভাঙচুরের শিকার হয়েছে তিনটি ট্রাক। আটক হয়েছে শিবিরের এক কর্মী। ফরিদপুরের সদরপুরে কাদের মোল্লার গ্রামের বাড়িতে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করলে লাঠিপেটা করে একটি গুলি ছোড়ে পুলিশ। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে তিনজনকে। সিরাজগঞ্জে পুলিশকে লক্ষ্য করে অন্তত চারটি ককটেল ছোড়ে পিকেটাররা। আটক করা হয়েছে আটজনকে।
এ ছাড়া বরিশালে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে দুজন, চাঁদপুরে ১৮ জন ও কিশোরগঞ্জে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের পৃথক দুটি স্পটে গতকাল রাতে মিছিল করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আধা ঘণ্টার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.