ভিওআইপি-জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বাস্তবতা
সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন
ফারুকের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দীন
আহমেদ রাজু। তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে জয় জড়িত নয় এটা আমি
চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি।
জয়নাল আবদীন ফারুক এই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তার দায়দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোই তাদের কাজ। অন্যায় অনিয়ম আর দুর্নীতির পাড়ার অর্জনকারীদের মুখে এমন বড় কথা মানায় কিভাবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের গোটা সময় হাওয়া ভবনের লোকেরাই অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তত্তাববধায়ক সরকারের সময় থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে একে একে হাওয়া ভবন কানেকশন আছে এমন লোকজনই ধরা পড়তে থাকে। সে সব অতীত ঢাকতে এমন কথা আসছে এ ধরনের বক্তব্য অনেকের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলে তাঁরা আদালতে যেতে পারেন। আর তা যদি না থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানহানির মামলা করা হবে। জয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তাদের নতুন কিছু নয়। '৭৫ সালের পর থেকে বিএনপি একের পর এক মিথ্যা প্রচার করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এখনও তারা তাই করছে। দেশের মানুষ জানে কারা এই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। হাওয়া ভবনের ইতিহাস এদেশের মানুষ কোন দিনই ভুলে যাবে না। জয় সবেমাত্র রংপুরে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নিয়েছেন। এতেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। জয় যে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করেন তার কোন প্রমাণ থাকলে জাতির সামনে তুলে ধরা হোক। তারা তা পারবে না। কিন্তু হাওয়া ভবনের কারা কারা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা প্রমাণিত।
এদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) জিয়া আহমেদ জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছেন। তাঁর এই কাজকে দেশের মানুষ মন থেকে গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলে দেশ উন্নত হবে এটা মানতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এ জন্যই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে কালিমা দেয়ার চেষ্টা করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে তিনি যে জ্ঞান প্রজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাকে বাধাগ্রস্ততা করার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র। আমি সজীব ওয়াজেদ জয়কে যেভাবে চিনি তাতে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের বক্তব্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। সিমেন্সের ঘুষ কেলেঙ্কারী কারা করেছে এটা দেশের মানুষ জানে। কোটি কোটি টাকা সিমেন্সের কাছ থেকে কোকো ঘুষ নিয়েছে তা আমেরিকার একটি আদালতে সিমেন্স কর্তৃপৰ বলেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সময়ে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের ব্যাপারে কোন অভিযান চালানো হয়নি। কারণ ব্যবসা ছিল হাওয়া ভবনের হাতে। তাই অভিযান চালানো হয়নি। তত্ত্বাধায়ক সরকারের সময় যখন অভিযান শুরু হয়, হাওয়া ভবনের লোকেরাই একের এক ধরা পড়তে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে আগামী দিনে জয় দেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেবেন। তিনি হবেন এ দেশের মানুষের মধ্য মণি। তাঁর এই সফলতাকে তারা সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু সত্য কোন দিন মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। অপরাধ একদিন না একদিন প্রকাশ পাবে। হাওয়া ভবনের কর্তারা মনে করেছিল তাদের অপকর্ম কেউ জানবে না। বেশি দিন লাগেনি দেশের মানুষ সব অপ কর্মের প্রমাণ পেয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে দেশের ক্ষতি করেছে যারা তাদের পুনর্বাসন করার কাজ চলছে। আর যিনি দেশের কল্যাণে কাজ করছেন তাঁকে দেয়া হচ্ছে মিথ্যা বদনাম। জনগণই বিচার করবে কার অবস্থান কোথায়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি জামায়াত জোটের সময় প্রতিদিন বৈধ ইনকামিং কল হতো দেড় থেকে দুই কোটি মিনিট। তখন অবৈধ কল হয়েছে ৫ থেকে ৬ কোটি মিনিট। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই কল বেড়ে সাড়ে তিন কোটি থেকে পৌনে চার কোটি মিনিটি হচ্ছে। অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের জন্য প্রতিদিন চালানো হচ্ছে অভিযান।
জয়নাল ফারুকের অভিযোগ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জড়িত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সংসদে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, অবৈধ এই ব্যবসার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে গেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় কানাডা ও আমেরিকায় বসে ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ভিওআইপির এই অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়েছিল। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ বছরে ১৫শ' কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আর এ বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে। অবিলম্বে জয়ের অবৈধ এই ভিওআইপি ব্যবসার বিষয়টি তদন্তসাপেৰে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তিনি। শুক্রবার সকালে গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বিরোধী দলের চীফ হুইপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, স্পেক্ট্রা সলিউশান কোম্পানির মাধ্যমে এ ব্যবসা শুরু হয়। যার মালিক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরম্ন করেন জয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকার চাইলে আমরা সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করব।
সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোই তাদের কাজ। অন্যায় অনিয়ম আর দুর্নীতির পাড়ার অর্জনকারীদের মুখে এমন বড় কথা মানায় কিভাবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের গোটা সময় হাওয়া ভবনের লোকেরাই অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তত্তাববধায়ক সরকারের সময় থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে একে একে হাওয়া ভবন কানেকশন আছে এমন লোকজনই ধরা পড়তে থাকে। সে সব অতীত ঢাকতে এমন কথা আসছে এ ধরনের বক্তব্য অনেকের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের সংসদে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলে তাঁরা আদালতে যেতে পারেন। আর তা যদি না থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানহানির মামলা করা হবে। জয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তাদের নতুন কিছু নয়। '৭৫ সালের পর থেকে বিএনপি একের পর এক মিথ্যা প্রচার করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এখনও তারা তাই করছে। দেশের মানুষ জানে কারা এই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। হাওয়া ভবনের ইতিহাস এদেশের মানুষ কোন দিনই ভুলে যাবে না। জয় সবেমাত্র রংপুরে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নিয়েছেন। এতেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। জয় যে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করেন তার কোন প্রমাণ থাকলে জাতির সামনে তুলে ধরা হোক। তারা তা পারবে না। কিন্তু হাওয়া ভবনের কারা কারা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা প্রমাণিত।
এদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) জিয়া আহমেদ জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছেন। তাঁর এই কাজকে দেশের মানুষ মন থেকে গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলে দেশ উন্নত হবে এটা মানতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এ জন্যই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে কালিমা দেয়ার চেষ্টা করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে তিনি যে জ্ঞান প্রজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাকে বাধাগ্রস্ততা করার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র। আমি সজীব ওয়াজেদ জয়কে যেভাবে চিনি তাতে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের বক্তব্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। সিমেন্সের ঘুষ কেলেঙ্কারী কারা করেছে এটা দেশের মানুষ জানে। কোটি কোটি টাকা সিমেন্সের কাছ থেকে কোকো ঘুষ নিয়েছে তা আমেরিকার একটি আদালতে সিমেন্স কর্তৃপৰ বলেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সময়ে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের ব্যাপারে কোন অভিযান চালানো হয়নি। কারণ ব্যবসা ছিল হাওয়া ভবনের হাতে। তাই অভিযান চালানো হয়নি। তত্ত্বাধায়ক সরকারের সময় যখন অভিযান শুরু হয়, হাওয়া ভবনের লোকেরাই একের এক ধরা পড়তে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে আগামী দিনে জয় দেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেবেন। তিনি হবেন এ দেশের মানুষের মধ্য মণি। তাঁর এই সফলতাকে তারা সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু সত্য কোন দিন মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। অপরাধ একদিন না একদিন প্রকাশ পাবে। হাওয়া ভবনের কর্তারা মনে করেছিল তাদের অপকর্ম কেউ জানবে না। বেশি দিন লাগেনি দেশের মানুষ সব অপ কর্মের প্রমাণ পেয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে দেশের ক্ষতি করেছে যারা তাদের পুনর্বাসন করার কাজ চলছে। আর যিনি দেশের কল্যাণে কাজ করছেন তাঁকে দেয়া হচ্ছে মিথ্যা বদনাম। জনগণই বিচার করবে কার অবস্থান কোথায়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি জামায়াত জোটের সময় প্রতিদিন বৈধ ইনকামিং কল হতো দেড় থেকে দুই কোটি মিনিট। তখন অবৈধ কল হয়েছে ৫ থেকে ৬ কোটি মিনিট। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই কল বেড়ে সাড়ে তিন কোটি থেকে পৌনে চার কোটি মিনিটি হচ্ছে। অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের জন্য প্রতিদিন চালানো হচ্ছে অভিযান।
জয়নাল ফারুকের অভিযোগ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জড়িত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সংসদে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, অবৈধ এই ব্যবসার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে গেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় কানাডা ও আমেরিকায় বসে ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ভিওআইপির এই অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়েছিল। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ বছরে ১৫শ' কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আর এ বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে। অবিলম্বে জয়ের অবৈধ এই ভিওআইপি ব্যবসার বিষয়টি তদন্তসাপেৰে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তিনি। শুক্রবার সকালে গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বিরোধী দলের চীফ হুইপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, স্পেক্ট্রা সলিউশান কোম্পানির মাধ্যমে এ ব্যবসা শুরু হয়। যার মালিক বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরম্ন করেন জয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকার চাইলে আমরা সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করব।
সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments