বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি
আবার এলো গরমের কাল। প্রকৃতিতে শীতের
লেশমাত্র নেই। শেষ হতে চলেছে ফাল্গুন। চৈত্রও সমাগত। প্রভাব বিস্তার শুরু
করে দিয়েছে গ্রীষ্ম। দিন দিন বাড়ছে রোদের উত্তাপ।
নির্বৃৰ
শহরে রোদের এ খরতাপ ক্রমেই অতিষ্ঠ করে তুলবে জনজীবন। অবশ্য নগরবাসী যে
এখনও খুব একটা স্বস্তিতে আছে তা বলা যাবে না। পানির সমস্যা, গ্যাসের
সমস্যা, বিদ্যুতের লোডশেডিং, চালের বাজারের অস্থিরতা, সব মিলিয়ে মোটেও ভাল
নেই নগর জনগণ।
নগরীতে গরমের প্রভাব যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা ওয়াসার পানি সঙ্কট ও ঘন ঘন লোডশেডিংই বলে দিচ্ছে। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। রাজধানীর এমন কোন এলাকা নেই, যেখানে ওয়াসার সুপেয় পানির জন্য দিনের পর দিন অপেৰা করতে হয় না নগর বাসিন্দাদের । কারণ গন্ধমুক্ত স্বচ্ছ পানি পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার নাগরিকদের। দিনের বেলা তো নগরীর অধিকাংশ এলাকাতেই পানি থাকে না। যদিও বা কখনও আসে, তা দেখে 'পানির কোন রং নেই' এই চিরনত্মন সত্য বাক্যটিকে অবিশ্বাস করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। এ পানির নং থাকে কাদার মতো ঘোলা অথবা সবুজাভ শ্যাওলা কালার, তা না হলে সু্যয়ারেজ লাইনের কালচে রঙের পানি আসে। যা ব্যবহার করে নগর বাসিন্দারা নানা চর্মরোগে আক্রানত্ম হচ্ছে। শিশুসহ অনেকের ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে। এমনকি শিশুসহ অনেককে হাসপাতাল পর্যনত্ম যেতে হয়। এমন ভোগানত্মি বেশ কয়েক বছর যাবতই ভুগতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। তারপরও এদিকটিতে সংশিস্নষ্ট কতর্ৃপৰের কোন নজর নেই। সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান থেকে এমন ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে প্রতিবছরই জাতীয় দৈনিকগুলোতে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তারপরও এ বিষয়ে সরকারসহ কাউকেই কার্যকর পদৰেপ নিতে দেখা যায় না।
বিদু্যতের লাডশেডিং এখনই ভাবিয়ে তুলেছে নগরবাসিন্দাদের। শীত গেল মাত্র কয়েক দিন হলো, এর মধ্যেই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দিচ্ছে বিদু্যত কতর্ৃপৰ। শীঘ্রই যে ভাল কোন খবর দিতে পারবে, সে বিষয়েও সরকারের কোন উচ্চবাচ্য নেই। এদিকে চলছে এসএসসি পরীৰা, এর মধ্যে এই লোডশেডিং শিৰার্থীদের বেশ ভোগাচ্ছে। যখন তখন বিদু্যত চলে যাওয়ায়, তাঁদের পড়াশোনায় বেশ ব্যাঘাত ঘটছে। মশার কামড় খেয়ে, ঘামে ভিজে পাঠ তৈরি করতে হচ্ছে পরীৰার্থীদের। গ্যাস সঙ্কট চলছে নগরীতে বেশ কয়েক মাস হলো। এটাও মনে হচ্ছে ওয়াসা ও বিদু্যতের মতো স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হতে চলেছে। এখনই নগরীর অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দাদের রান্না-বান্নার কাজ করতে হচ্ছে তেলের চুলা, লাকড়ির চুলা বা সিলিন্ডার গ্যাসে। এই সমস্যাটিরও শীঘ্রই সমাধানের কোন উপায় নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তাই নগরবাসী যে খুব ভাল আছে তা আর বলা যায় না।
নগরীর বাজারে কাঁঠাল, তরমুজ, বাঙ্গি প্রভৃতি গরমকালের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে গরম এসে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফল বাজারগুলোতে এখন কম-বেশি এসব ফল দেখা যাচ্ছে। তবে দাম বেশ চড়া। সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রমাণ সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দু'শ' টাকার উপরে, আর বাঙ্গি তারও দাম হাঁকছে বিক্রেতা এক শ' টাকার উপরে। কাঁঠালে তো হাতই দেয়া যাচ্ছে না। দাম চড়া বলে রাসত্মায় চলাচলকারী তৃষ্ণার্ত পথচারীরা তরমুজের ফালি কিনে তৃষ্ণা নিবারণ করতে দেখা গেছে। যাঁদের সাধ্য আছে তাঁরা অবশ্য বাসাবাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মৌসুমের এই নতুন ফল।
নগরীতে গরমের প্রভাব যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা ওয়াসার পানি সঙ্কট ও ঘন ঘন লোডশেডিংই বলে দিচ্ছে। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। রাজধানীর এমন কোন এলাকা নেই, যেখানে ওয়াসার সুপেয় পানির জন্য দিনের পর দিন অপেৰা করতে হয় না নগর বাসিন্দাদের । কারণ গন্ধমুক্ত স্বচ্ছ পানি পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার নাগরিকদের। দিনের বেলা তো নগরীর অধিকাংশ এলাকাতেই পানি থাকে না। যদিও বা কখনও আসে, তা দেখে 'পানির কোন রং নেই' এই চিরনত্মন সত্য বাক্যটিকে অবিশ্বাস করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। এ পানির নং থাকে কাদার মতো ঘোলা অথবা সবুজাভ শ্যাওলা কালার, তা না হলে সু্যয়ারেজ লাইনের কালচে রঙের পানি আসে। যা ব্যবহার করে নগর বাসিন্দারা নানা চর্মরোগে আক্রানত্ম হচ্ছে। শিশুসহ অনেকের ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে। এমনকি শিশুসহ অনেককে হাসপাতাল পর্যনত্ম যেতে হয়। এমন ভোগানত্মি বেশ কয়েক বছর যাবতই ভুগতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। তারপরও এদিকটিতে সংশিস্নষ্ট কতর্ৃপৰের কোন নজর নেই। সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান থেকে এমন ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে প্রতিবছরই জাতীয় দৈনিকগুলোতে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তারপরও এ বিষয়ে সরকারসহ কাউকেই কার্যকর পদৰেপ নিতে দেখা যায় না।
বিদু্যতের লাডশেডিং এখনই ভাবিয়ে তুলেছে নগরবাসিন্দাদের। শীত গেল মাত্র কয়েক দিন হলো, এর মধ্যেই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দিচ্ছে বিদু্যত কতর্ৃপৰ। শীঘ্রই যে ভাল কোন খবর দিতে পারবে, সে বিষয়েও সরকারের কোন উচ্চবাচ্য নেই। এদিকে চলছে এসএসসি পরীৰা, এর মধ্যে এই লোডশেডিং শিৰার্থীদের বেশ ভোগাচ্ছে। যখন তখন বিদু্যত চলে যাওয়ায়, তাঁদের পড়াশোনায় বেশ ব্যাঘাত ঘটছে। মশার কামড় খেয়ে, ঘামে ভিজে পাঠ তৈরি করতে হচ্ছে পরীৰার্থীদের। গ্যাস সঙ্কট চলছে নগরীতে বেশ কয়েক মাস হলো। এটাও মনে হচ্ছে ওয়াসা ও বিদু্যতের মতো স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হতে চলেছে। এখনই নগরীর অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দাদের রান্না-বান্নার কাজ করতে হচ্ছে তেলের চুলা, লাকড়ির চুলা বা সিলিন্ডার গ্যাসে। এই সমস্যাটিরও শীঘ্রই সমাধানের কোন উপায় নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তাই নগরবাসী যে খুব ভাল আছে তা আর বলা যায় না।
নগরীর বাজারে কাঁঠাল, তরমুজ, বাঙ্গি প্রভৃতি গরমকালের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে গরম এসে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফল বাজারগুলোতে এখন কম-বেশি এসব ফল দেখা যাচ্ছে। তবে দাম বেশ চড়া। সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রমাণ সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দু'শ' টাকার উপরে, আর বাঙ্গি তারও দাম হাঁকছে বিক্রেতা এক শ' টাকার উপরে। কাঁঠালে তো হাতই দেয়া যাচ্ছে না। দাম চড়া বলে রাসত্মায় চলাচলকারী তৃষ্ণার্ত পথচারীরা তরমুজের ফালি কিনে তৃষ্ণা নিবারণ করতে দেখা গেছে। যাঁদের সাধ্য আছে তাঁরা অবশ্য বাসাবাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মৌসুমের এই নতুন ফল।
No comments