রায় প্রত্যাখ্যান জামায়াতের আজো সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার
বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াতে ইসলামী। রায়ের
প্রতিবাদে আজ বুধবার তারা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে।
গতকাল
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এক
বিবৃতিতে এ কথা জানান। গতকালও দিনব্যাপী হরতাল পালন করেছে জামায়াত।
রাজধানীতে গতকাল সকালে সামান্য কিছু গাড়ি চললেও রায় দেয়ার পরপরই
রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের মিছিলে
পুলিশ গুলি করে। চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে এক শিবির নেতা নিহত হন,
দেশব্যাপী অসংখ্য জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের নামে ট্রাইব্যুনালে আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকার নির্দেশিত। সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যেসব বক্তব্য, বিবৃতি দিয়ে আসছেন এ রায়ে তার প্রতিফলন ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে কাদের মোল্লাকে শাস্তি দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এ রায়ে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হলো মাত্র। তিনি বলেন, বিশ্বের বিবেকবান মানুষ, মানবাধিকার সংস্থা, দেশী-বিদেশী আইনবিদগণ ও জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই বিচার, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বরাবরই আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এই বিচার গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সুস্পষ্ট মত ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সরকার সেসব মতামত উপেক্ষা করে তাদের নির্দিষ্ট ছকেই বিচার কার্য পরিচালনা করে আসছে। এই বিচারটি কত ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক তা স্কাইপ সংলাপের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার মানুষ জানতে পেরেছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্কাইপ সংলাপে কোন মামলার রায় আগে, কোনটির পরে হবে, কোন সাক্ষী কী সাক্ষ্য দেবে এসব বিষয়ে সলাপরামর্শ করে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আবদুল কাদের মোল্লার রায়ে। মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয় ১৭ জানুয়ারি। মাত্র ১৮ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা একটি ষড়যন্ত্রের জ্বলন্ত প্রমাণ। আদালত কর্তৃক পঠিত সংক্ষিপ্ত রায়ে দেখা গিয়েছে সরকারের বক্তব্যের যোগসাজশেই এই রায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রায়ে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তিনি বলেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগের সাথে জামায়াতকে জড়ানোর মাধ্যমে ঘাদানিকদের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য আদালতের মাধ্যমে যে রায় ঘোষণা করেছে দেশের জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী রায়ের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন সে সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা ও মামলা পরিচালাকারী প্রসিকিউটরদের সাথে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কর্তৃক রায়ের তারিখ ঘোষণা প্রমাণ করে এ রায় সরকারের নির্দেশে, সরকারের পরিকল্পনায়, সরকার নির্ধারিতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ সরকারের বেঁধে দেয়া ছকে পরিচালিত নীলনকশার বিচার মেনে নিতে পারে না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ আবদুল কাদের মোল্লাসহ নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করে আনবে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি সরকারের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বিচারের নামে অবিচারের প্রতিবাদে ঘোষিত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালিত হবে বলে তিনি বিবৃতিতে ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও সুশীলসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিচারের নামে অবিচারের বিরুদ্ধে আহূত এই হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সব জনশক্তিকে জনগণকে সাথে নিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
হরতালের আওতামুক্ত থাকবে : সংবাদপত্রের গাড়ি, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত গাড়ি।
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের নামে ট্রাইব্যুনালে আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকার নির্দেশিত। সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যেসব বক্তব্য, বিবৃতি দিয়ে আসছেন এ রায়ে তার প্রতিফলন ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে কাদের মোল্লাকে শাস্তি দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এ রায়ে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হলো মাত্র। তিনি বলেন, বিশ্বের বিবেকবান মানুষ, মানবাধিকার সংস্থা, দেশী-বিদেশী আইনবিদগণ ও জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই বিচার, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বরাবরই আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এই বিচার গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সুস্পষ্ট মত ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সরকার সেসব মতামত উপেক্ষা করে তাদের নির্দিষ্ট ছকেই বিচার কার্য পরিচালনা করে আসছে। এই বিচারটি কত ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক তা স্কাইপ সংলাপের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার মানুষ জানতে পেরেছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্কাইপ সংলাপে কোন মামলার রায় আগে, কোনটির পরে হবে, কোন সাক্ষী কী সাক্ষ্য দেবে এসব বিষয়ে সলাপরামর্শ করে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আবদুল কাদের মোল্লার রায়ে। মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয় ১৭ জানুয়ারি। মাত্র ১৮ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা একটি ষড়যন্ত্রের জ্বলন্ত প্রমাণ। আদালত কর্তৃক পঠিত সংক্ষিপ্ত রায়ে দেখা গিয়েছে সরকারের বক্তব্যের যোগসাজশেই এই রায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রায়ে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তিনি বলেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগের সাথে জামায়াতকে জড়ানোর মাধ্যমে ঘাদানিকদের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য আদালতের মাধ্যমে যে রায় ঘোষণা করেছে দেশের জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী রায়ের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন সে সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা ও মামলা পরিচালাকারী প্রসিকিউটরদের সাথে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কর্তৃক রায়ের তারিখ ঘোষণা প্রমাণ করে এ রায় সরকারের নির্দেশে, সরকারের পরিকল্পনায়, সরকার নির্ধারিতভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ সরকারের বেঁধে দেয়া ছকে পরিচালিত নীলনকশার বিচার মেনে নিতে পারে না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ আবদুল কাদের মোল্লাসহ নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করে আনবে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি সরকারের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বিচারের নামে অবিচারের প্রতিবাদে ঘোষিত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালিত হবে বলে তিনি বিবৃতিতে ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও সুশীলসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিচারের নামে অবিচারের বিরুদ্ধে আহূত এই হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সব জনশক্তিকে জনগণকে সাথে নিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
হরতালের আওতামুক্ত থাকবে : সংবাদপত্রের গাড়ি, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত গাড়ি।
No comments