রাজনৈতিক কর্মসূচি আদালতের বিচার্য নয় by ড. ইমতিয়াজ আহমেদ
আমি এখনো আদালতের রায়টি পড়িনি। তাই
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা কঠিন। তবে আপাতদৃষ্টিতে বা তাৎক্ষণিকভাবে যেটা বলা
যায়, তা হলো, আদালত ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটিতে প্রমাণ পেয়েছেন এবং একটিতে
খালাস দিয়েছেন।
এখন যে পাঁচটিতে কাদের মোল্লা অভিযুক্ত
হয়েছেন, সেখানে কী ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ, কী ধরনের অ্যাভিডেন্স উপস্থাপন করা
হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই আদালত রায় দিয়ে থাকতে পারেন। সেসব আলামতের
ভিত্তিতে এবং যুক্তিতর্কে মাননীয় বিচারপতিরা হয়তো ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের
কথা বিবেচনা করেননি। একইসঙ্গে এ কথা মনে রাখতে হবে, একটি মামলায় কে আইনজ্ঞ,
কে প্রসিকিউটর- এসব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে কিভাবে একটি অভিযোগ
উপস্থাপন করা হলো, তাও আদালতের বিবেচ্য বিষয়।
আমি মনে করি, একটি মামলার বিচারকাজ সম্পূর্ণই যুক্তিতর্কের বিষয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল কী বিষয়ে কী কর্মসূচি দিল, তা আদালতের বিষয় নয়। এবং সেই প্রভাব আদালতে পড়েনি, পড়তে পারে না বা পড়ার কথা নয়। তবে যাঁরা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আদালতকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছেন বা যদি করে থাকেন, তাহলে সেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সে অর্থে জামায়াতের এই হরতাল বা সমাবেশ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, কোনো পক্ষ যেন এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে রাজনৈতিকীকরণের চেষ্টা না করে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়, যদি এমন চেষ্টা কেউ করে। এখন আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিল করা হলে হয়তো সেখানে ভিন্ন রায় আসতে পারে, সেটা আমাদের জানা নেই। তবে আমি আবারও বলছি, যেকোনো আইনি লড়াই একটি টিমের ওপর নির্ভর করে যে তারা আদালতে কতটা জোরালোভাবে নিজেদের পক্ষকে সমর্থন করতে পারবে। এটি যুক্তিতর্কের বিষয়। ধরুন, একটি মামলায় যদি ড. কামাল হোসেন অথবা ব্যারিস্টার রফিক-উল হক থাকেন এবং প্রতিপক্ষ যদি কোনো সাদামাটা আইনজীবী হন, তাহলে যুক্তিতর্কের ক্ষেত্রে ওই প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আদালত সেখানে আইন ও যুক্তিতর্কের কথাই শুনবেন, সেটা স্বাভাবিক। সুতরাং প্রশ্ন হলো, এ মামলা কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং আদালত কতটা কনভিন্সড হয়েছে, সেটা দেখার বিষয়।
গ্রন্থনা: মহসীন হাবিব
আমি মনে করি, একটি মামলার বিচারকাজ সম্পূর্ণই যুক্তিতর্কের বিষয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল কী বিষয়ে কী কর্মসূচি দিল, তা আদালতের বিষয় নয়। এবং সেই প্রভাব আদালতে পড়েনি, পড়তে পারে না বা পড়ার কথা নয়। তবে যাঁরা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আদালতকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছেন বা যদি করে থাকেন, তাহলে সেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সে অর্থে জামায়াতের এই হরতাল বা সমাবেশ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, কোনো পক্ষ যেন এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে রাজনৈতিকীকরণের চেষ্টা না করে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়, যদি এমন চেষ্টা কেউ করে। এখন আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিল করা হলে হয়তো সেখানে ভিন্ন রায় আসতে পারে, সেটা আমাদের জানা নেই। তবে আমি আবারও বলছি, যেকোনো আইনি লড়াই একটি টিমের ওপর নির্ভর করে যে তারা আদালতে কতটা জোরালোভাবে নিজেদের পক্ষকে সমর্থন করতে পারবে। এটি যুক্তিতর্কের বিষয়। ধরুন, একটি মামলায় যদি ড. কামাল হোসেন অথবা ব্যারিস্টার রফিক-উল হক থাকেন এবং প্রতিপক্ষ যদি কোনো সাদামাটা আইনজীবী হন, তাহলে যুক্তিতর্কের ক্ষেত্রে ওই প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আদালত সেখানে আইন ও যুক্তিতর্কের কথাই শুনবেন, সেটা স্বাভাবিক। সুতরাং প্রশ্ন হলো, এ মামলা কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং আদালত কতটা কনভিন্সড হয়েছে, সেটা দেখার বিষয়।
গ্রন্থনা: মহসীন হাবিব
No comments