বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ॥ জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি by মুহম্মদ শফিকুর রহমান

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। _অন্নদা শংকর রায় আজ যখন লেখাটি তৈরি করছি তার ঠিক পাঁচদিন পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯১তম জন্মদিন।
১৭ মার্চ। এবারের লেখাটি তাই তাঁর স্মৃতির প্রতি পরম শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করছি। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ১৭ মার্চ ৯০ বছর পার করে ৯১-তে পা রাখা হাজারো মানুষ আছেন এই বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুরও বেঁচে থাকার কথা ছিল যদি না ঘাতকরা তাঁকে হত্যা করে ৩৫টি বছর তাঁর জীবন থেকে কেড়ে নিত। এই ৩৫ বছর কি যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হয়েছে বাঙালি জাতিকে। একদিকে বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক অন্যদিকে জাতির জনককে হত্যার পাপ বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তবুও এবারের জন্মদিনে কিছুটা হলেও পাপমুক্ত পরিবেশে এবং স্বসত্মির সাথে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারব। খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। এখনও মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৫ খুনী বহির্বিশ্বে আত্মগোপন করে আছে। তাদেরও কূটনৈতিক প্র্রক্রিয়ায় দেশের মাটিতে এনে দন্ড কার্যকর করা হবে এবং যেদিন তা সম্পন্ন হবে সেদিন নিজেকে আরও হাল্কা মনে হবে, বাংলার গাছে গাছে কোকিল গাইবে আপন মনে। শুধু তাই নয়, যেদিন ৪ জাতীয় নেতা হত্যা তথা জেল হত্যার বিচার হবে, যেদিন একাত্তরের ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে, যেদিন শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানউলস্নাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আইভি রহমানের খুনীদের গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো যাবে, যেদিন পূর্ণিমাদের যন্ত্রণা ও অপমানের প্রতিশোধ নিতে পারবে এবং দেশে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি মজবুত হবে, নারী-শিশু নির্যাতনের বর্বর চিত্র আর দেখতে হবে না এবং রাজনীতিকের চেহারার দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, লুটেরাদের দেখা যাবে না, সেদিনই কেবল মাথা উঁচু করে বলতে পারব_বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা বাংলাদেশকে অন্ধকার জগতের জীবদের চারণভূমি বানাতে চেয়েছিল, তাদের আমরা পরাভূত করেছি। বঙ্গবন্ধুরই স্নেহে-আদর্শে লালিত জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে ৩৫ বছর সংগ্রাম শেষে আজ বলতে পারছি আমরা এক সভ্য দেশের সভ্য জাতির সভ্য নাগরিক।
কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখানও চলছে। যন্ত্রযন্ত্রকারীরা কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও এখন আবার বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সেই পুরনো পথে নেতিবাচক রাজনীতি শুরম্ন করেছে। ক'দিন আগে টিভি পর্দায় দেখলাম বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলছেন বর্তমান মহাজোট সরকারের ১৩ মাসে বাংলাদেশের শতকরা ২০ ভাগ নারী নির্যাতিত হয়েছেন। ২০ ভাগ মানে এক কোটি ৬০ লাখ। কি উদ্ভট কথা। দুইবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রীর এমন ডাহা মিথ্যা বলা অজ্ঞতা না ইচ্ছাকৃত তা দেখতে হবে। আমি মনে করি ইচ্ছাকৃত। রাজনীতিকে ঘোলাটে করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা। তবে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম খালেদা জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণে নির্যাতিতাদের নাম, ঠিকানা, ঘটনাস্থল প্রকাশ করতে হবে। তা না করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দিয়ে বলিয়েছেন, সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে নির্যাতন হয়নি। বিএনপির সহযোগী পরম আত্মীয় জামায়াত সব সময়ই কৌশলী এবং তাদের হীনকর্মের জুড়িহীন। একদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের দড়ি তাদের গলার খুব কাছে এবং অপরদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কমর্ী হত্যার দায়ে শিবিরে বিভক্তি। অবশ্য আমার মত ভিন্ন_ শিবিরের এই বিভক্তিও আরেক লোক দেখানো কৌশল যাতে করে পদত্যাগী শিবির নেতা-কর্মীরা বাইরে মুক্ত থেকে অভিযুক্তদের পক্ষে কাজ করতে পারে। এদিকে উদ্ভট সব বক্তব্য দিয়ে সমাজে বিতর্ক তুলে সরকারের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির ল্যে সমপ্রতি হাওয়া ভবনের সেই বিতর্কিত যুবককে আবার জাতির সামনে আনা হচ্ছে। তাকে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে তুলনা করে বীরবেশে প্রবাস থেকে দেশে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সস্ত্রীক এই যুবক বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। এই সিরাজ-উদ-দৌলা এবং নেলসন ম্যান্ডেলার ওপর প্রফেসর এমাজউদ্দিনদের দিয়ে প্রবন্ধ লিখিয়ে কিতাব আকারে তা প্রকাশও করা হয়েছে। এরই প্রকাশনা উৎসবে বিএনপির যুগ্ম সিনিয়র মহাসচিব মীর্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর এই তুলনা করে বলেছেন, তারেক রহমান শীঘ্রই বীরবেশে দেশে ফিরবেন। আমি এই কিতাবটি অনেক খুঁজেও পাইনি। যদিও জানি এ ধরনের চাটুকারিতা অতীতেও কম হয়নি এবং এতে কোন সুফল বয়ে আনেনি। বরং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই বিতর্কিত করেছে। বস্তুত কিতাবটিতে কি লেখা হয়েছে তা জানার জন্যই সংগ্রহ করার অনেক চেষ্টা করেও পাইনি। সম্ভবত 'বেস্ট সেলার' হওয়ায় বাজার থেকে সব 'আউট' হয়ে গেছে? বিএনপিপন্থী সাংবাদিক বন্ধুদের কয়েকজনের কাছে চেয়েও পাইনি। এক বন্ধুর কাছে আছে কি না জানতে চাইলে বন্ধুটি বিনয়ের হাসি হেসে বললেন, তার কাছেও নেই। পরণেই না থাকার অপরাধবোধ এভাবে প্রকাশ করলেন 'আমার কাছে থাকা উচিত ছিল, না থাকায় বরং লজ্জিত বোধ করছি।' বন্ধুটির নাম প্রকাশ করলাম না। বিপদে পড়তে পারে। ষাটের দশকে ক্যাম্পাসে বিপস্নবী ছাত্র ইউনিয়ন করত। সেই সুবাদে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অনুসারী মশিউর রহমানের কাছে যেতে পেরেছিল। স্বাধীনতার পরও এ ধারায় বিশ্বাসী ছিল কিন্তু ৭৫-এ জাতির জনককে হত্যা পর বন্ধুটি 'চীনের নেতা আমার নেতা_মাও সে তুং মাও সে তুং'_ 'চীনের চেয়ারম্যান আমার চেয়ারম্যান_ মাও সে তুং মাও সেতুং' সেস্নাগান সিটি করপোরেশনের ট্রাকে ছুড়ে ফেলে মশিউর রহমানের হাত ধরে জিয়ার বিএনপিতে নাম লেখায়। সেই থেকে খেয়ে না খেয়ে ভালই আছে।
ভেবেছিলাম এসব ব্যাপারে নিজে কিছু বলব। বন্ধুর মনত্মব্যের পর আর কিছু বলতে মন চাইল না। তাছাড়া বিগত নির্বাচনের পর যে সচেতন তরম্নণ প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটেছে তাদের দেখে আমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছি। আমি বিশ্বাস করি, এই তরম্নণ প্রজন্মই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের বর্বরতা কিংবা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেবে। আজকের তরম্নণ প্রজন্ম দিন বদলে বিশ্বাস করে, তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। তারা বঙ্গবন্ধুর কথা জানতে চায়, তারা বাঙালী জাতির হাজার বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ৰা, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে চায়, পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে চায়। তারা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা করছে, লিখছে, নাটক রচনা ও মঞ্চস্থ করছে। এবারের একুশে বই মেলায় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর ওপর রচিত বই দেদার বিক্রি হয়েছে।
ভেবেছিলাম কোন প্রসঙ্গ না টেনে নির্মলভাবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাব। কিন্তু তারপরও কিছু কথা বলতে হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সমপ্রতি কয়েকটি টকশো দেখে কিছু কথা বলা দরকার বলে মনে করছি। আমি মনে করি কোন সুস্থ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সাথে অন্য কারও তুলনা করবে না। তারপরও দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সামনে জিয়াউর রহমানকে দাঁড় করানো হচ্ছে। এমন ধৃষ্টতাও দেখানো হয়েছে যে, জিয়াউর রহমানের সাথে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এভাবে বিএনপি-জামায়াত নোংরামি করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তা প্রত্যাখ্যান করে তাদের নোংরামির জবাব দিয়েছিলেন। পার্লামেন্টেও কথায় কথায় জিয়াকে টেনে এনে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়। এই অপচেষ্টা কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর থেকে শুরম্ন হয়। যেমন ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকা-ের পর পরিবারের সবাইকে ঢাকায় দাফন করা হলেও বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে দাফন করা হয়। এর পেছনে সামরিক জানত্মার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের বাইরে রাখা। কারণ তারা জানত মৃত মুজিব জীবিত মুজিবের মতোই বাংলার সমাজকে রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। অথচ জিয়ার লাশ একবার চট্টগ্রামে দাফন করার দুই দিনের মাথায় তুলে এনে ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হয়। এর পেছনে উদ্দেশ্যটা হলো আওয়ামী লীগের বিরোধিতার জন্য জিয়াকে রাজনীতিতে রাখতে হবে এবং সে ল্যে ঢাকায় এনে দাফন করতে হবে। না হলে ব্যবহার করা যাবে না। তাই শেরে বাংলা নগরে পার্লামেন্ট ভবনের পাশে দাফন করেছে। যদিও কথা উঠেছে যে কফিনটি শেরেবাংলা নগরে দাফন করা হলো তাতে জিয়ার লাশ আদৌ ছিল কি-না, না-কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালি কফিনটিই দাফন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সমপ্রতি সংসদে কথাটি বলার সাথে সাথে বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এক টকশোতে মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান বিএনপির এক নেতার তীব্র প্রতিবাদের মুখে বলেছেন, এ সমস্যার সহজ সমাধান আছে। কফিনটি তুলে ডিএনএ টেস্ট করিয়ে শেখ সেলিমকে মিথ্যা প্রমাণিত করে দিন। তাহলে আর কেউ এমন মনত্মব্য করবেন না।
আমিও মনে করি এটি একটি সহজ সমাধান। এতে করে আমার মনের সন্দেহও দূর হবে। এটি আজ আর কঠিন কাজ নয়। আমার সুযোগ হয়েছিল কায়রো মিউজিয়ামে সংরতি সাড়ে তিন হাজার বছর আগের ফেরাও সম্রাট তুতান খামুনের মমিটি দেখার। তুতান খামুন অতি অল্প বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন এবং অল্প বয়সেই মারা যান। সমপ্রতি খবরের কাগজে দেখলাম তার মমির ডিএনএ টেস্ট করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জিয়াউর রহমান তো মারা গেছেন মাত্র ৩০ বছরের মতো হলো, তার টেস্ট করানো তো সহজ ব্যাপার। আমার মনের সন্দেহও দূর হবে। এ জন্য বললাম যে, জিয়ার লাশের কফিন ঢাকায় আনার পর যে গান ক্যারেজে করে তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় নেয়া হয়েছিল তার একটি গাড়িতে আমাদের দু'জন সাংবাদিক যাবার সুযোগ হয়েছিল। অন্য সাংবাদিক ছিলেন পলস্নী কবি জসীম উদ্দীনের ছেলে হাসু, বিদেশের একটা টিভি চ্যানেলের ঢাকা বু্যরো চীফ। হাসু আজ বেঁচে নেই। গান ক্যারেজটি যখন শেরেবাংলা নগর থেকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির দিকে যাত্রা শুরম্ন করে তখন আমরা দুই সাংবাদিক একজন আর্মি অফিসারকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করায় তিনি একটি গাড়িতে আমাদের তুলে নেন। সে গাড়িতে করে ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে যাই। গাড়ি থেকে কফিন নামানোর পর বেগম জিয়া এলেন, কফিন ধরে কাঁদলেন। সেখান থেকে কফিনটি তেজগাঁও সংসদ ভবনের সামনে রাখা হয়। এ সময় পর্যন্ত আমরা দু'জন সঙ্গে ছিলাম এবং কফিনের একটি পেরেক বা তক্তা খুলতে দেখিনি। আগে-পরে খুলেছিল কি না জানি না। আর এ জন্যই আমার মনেও একটা সন্দেহ কখনও কখনও জেগে ওঠে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আগে আরেকটি ইস্যু সামনে এসেছে তা হলো পবিত্র চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া, পাহাড়ী-বাঙালী সংঘর্ষের ঘটনা। বিএনপি এ বিষয়টিকে দেখছে এভাবে যে, সেনাবাহিনীকে সেখান থেকে তুলে আনায় এ ঘটনা ঘটছে। দেশের এক-দশমাংশ ভূমি হাতছাড়া হয়ে যাবার আশঙ্কা করছে তারা। অবশ্যই এ নিয়ে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। শান্তি চুক্তির সময় তারা বলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্ট নিয়ে সেখানে যেতে হবে। এতদিন যখন ভারত হয়নি তখন পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এসেছেও।
এই প্রোপটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আমরা পালন বরব। জন্মদিন পালনের মাধ্যমে আমরা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে জানাতে চাই নিজেদের বদলাতে হলে বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের যেতে হবে। আজ, কাল এবং বার বার। কবি সিকান্দার আবু জাফর যেভাবে দেখেছেন-

'বাঙালির ঘরে ঘরে বাঁচবে বাঙালি
তার যথার্থ সম্মানে
মৃত্যুমুখে জননীর কোন পুত্রকন্যা
নয়
অশক্ত নির্জীব
সে নাম শেখ মুজিব।'

ঢাকা-১১ মার্চ ২০১০
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.