স্মরণসভায় বক্তারা- সাংবাদিক মুসা ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শের মানুষ
দৈনিক ইনকিলাব যাদের হাতে ও নেতৃত্বে ১৯৮৬
সালের ৪ জুন আত্মপ্রকাশ করে, মোহাম্মদ মুসা ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি চিফ
সাব-এডিটর হিসেবে দৈনিক ইনকিলাবে যোগদান করেন।
তার
সাংবাদিকতায় আগমন ১৬৬৯ সালে। ইনকিলাবে যোগদানের আগে তিনি দৈনিক সংগ্রাম,
দৈনিক বাংলার মুখ, দৈনিক সমাজ ও দৈনিক আজাদে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন
করেন। দৈনিক ইকিলাবে চিফ সাব-এডিটর হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালনের পর
তিনি বার্তা সম্পাদক হন; পরে সম্পাদকীয় বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি
ছিলেন অজাতশত্রু। অফিসের দারোয়ান-পিয়ন থেকে শুরু করে সবার কাছেই তিনি
ছিলেন সমান প্রিয়। সদা হাস্যময়, শিশুর মতো সরল এই মানুষটি সববয়সী
মানুষের ছিলেন অকৃত্রিম সুহৃদ ও বন্ধু। সন্তানের বয়সীদেরও তিনি আপনি ও ভাই
বলতেন।
৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচারের (সিএনসি) অনুষ্ঠানে বক্তারা তার সম্পর্কে এসব কথা বলেন। শাহ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মরহুম মোহাম্মদ মুসার ছোট ভাই সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি বলেন, বড় ভাই ছিলেন আমাদের কাছে পিতৃতুল্য অভিভাবক। তার জীবন সংগ্রাম, সততা, ধার্মিকতা, সজ্জনতা, ব্যক্তিগত আচার-আচরণ, সত্যতা-ভদ্রতা থেকে আমরা অনুপ্রেরণা লাভ করতাম। শাহ আবদুল হালিম বলেন, সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ও প্রতিষ্ঠিত করার অন্তর্গত প্রেরণা থেকেই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। সাংবাদিকতার এমন কোনো বিভাগ নেই যেখানে তিনি কাজ করেননি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কর্মক্ষেত্রে কনিষ্ঠ সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন একজন উচ্চ দায়িত্বশীল শিক্ষক। সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তার এই অনুরাগ, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা অনুকরণযোগ্য। তিনি সব সময় সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা, অর্থনেতিক সমৃদ্ধি, সমাজে শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ, গণমুখী শিল্প-সাহিত্যের অনুশীলন এবং সাংবাদিকতায় সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার পরিচর্যা কামনা করতেন। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল এক ধরনের সারল্যে ভরা। সবার কল্যাণ ও শুভ কামনা ছিল তার চরিত্রের অলঙ্কার।
ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। খেলার প্রতি এই অনুরাগ থেকেই স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে তার অভিষেক হয়। তিনি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিগণিত হন আশির দশকেই। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নির্ভীক ও প্রগাঢ় আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। এ রকম একজন সংগ্রামী, সহৃদয় স্বজন, সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ এভাবে হঠাৎই চলে যাবেন তা তার আত্মীয়পরিজন ও পরিচিতিজন, সহকর্মী কারো পক্ষেই মেনের নেয়া সহজ নয়।
অনুষ্ঠানে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ সিরাজউদ্দীন এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসির) নির্বাহী পরিচালক কথাশিল্পী মাহবুবুল হক। উপস্থিত ছিলেন আলী আহম্মেদ ওয়াসেকপুরী, অ্যাডভোকেট কে এম আশরাফ, কবি আতিক হেলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি সাঈদ যোবায়ের, কবি আবদুল আজিজ চৌধুরী, কবি মিহিরকান্তি ভৌমিক, কবি শাহজাহান মুহাম্মদ, কবি আনোয়ার হোসেন, মো: জাহাঙ্গীর আলম, রায়হান শহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হামদ ও নাত পরিবেশন করেন শিল্পী সানজানা চৈতি পপি, শেফালী দৌসি ও মীর্যা সিকান্দার। উপস্থাপনায় ছিলেন মামুন।
৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচারের (সিএনসি) অনুষ্ঠানে বক্তারা তার সম্পর্কে এসব কথা বলেন। শাহ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মরহুম মোহাম্মদ মুসার ছোট ভাই সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি বলেন, বড় ভাই ছিলেন আমাদের কাছে পিতৃতুল্য অভিভাবক। তার জীবন সংগ্রাম, সততা, ধার্মিকতা, সজ্জনতা, ব্যক্তিগত আচার-আচরণ, সত্যতা-ভদ্রতা থেকে আমরা অনুপ্রেরণা লাভ করতাম। শাহ আবদুল হালিম বলেন, সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ও প্রতিষ্ঠিত করার অন্তর্গত প্রেরণা থেকেই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। সাংবাদিকতার এমন কোনো বিভাগ নেই যেখানে তিনি কাজ করেননি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কর্মক্ষেত্রে কনিষ্ঠ সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন একজন উচ্চ দায়িত্বশীল শিক্ষক। সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তার এই অনুরাগ, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা অনুকরণযোগ্য। তিনি সব সময় সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা, অর্থনেতিক সমৃদ্ধি, সমাজে শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ, গণমুখী শিল্প-সাহিত্যের অনুশীলন এবং সাংবাদিকতায় সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার পরিচর্যা কামনা করতেন। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল এক ধরনের সারল্যে ভরা। সবার কল্যাণ ও শুভ কামনা ছিল তার চরিত্রের অলঙ্কার।
ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। খেলার প্রতি এই অনুরাগ থেকেই স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে তার অভিষেক হয়। তিনি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিগণিত হন আশির দশকেই। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নির্ভীক ও প্রগাঢ় আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। এ রকম একজন সংগ্রামী, সহৃদয় স্বজন, সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ এভাবে হঠাৎই চলে যাবেন তা তার আত্মীয়পরিজন ও পরিচিতিজন, সহকর্মী কারো পক্ষেই মেনের নেয়া সহজ নয়।
অনুষ্ঠানে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ সিরাজউদ্দীন এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসির) নির্বাহী পরিচালক কথাশিল্পী মাহবুবুল হক। উপস্থিত ছিলেন আলী আহম্মেদ ওয়াসেকপুরী, অ্যাডভোকেট কে এম আশরাফ, কবি আতিক হেলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি সাঈদ যোবায়ের, কবি আবদুল আজিজ চৌধুরী, কবি মিহিরকান্তি ভৌমিক, কবি শাহজাহান মুহাম্মদ, কবি আনোয়ার হোসেন, মো: জাহাঙ্গীর আলম, রায়হান শহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হামদ ও নাত পরিবেশন করেন শিল্পী সানজানা চৈতি পপি, শেফালী দৌসি ও মীর্যা সিকান্দার। উপস্থাপনায় ছিলেন মামুন।
No comments