উন্নয়ন সহায়তা দেবে কাতার, ৩ লাখ টন সার কিনবে বাংলাদেশ- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত মন্ত্রী আতিয়ার বৈঠক
নদী খনন, সড়ক অবকাঠামো, কমিউনিটি
স্বাস্থ্যসেবা এবং বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণসহ উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশকে
সহায়তা দেবে কাতার। এ ছাড়া কাতার থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি করবে
বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে
বৈঠককালে ঢাকা সফররত কাতারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী
খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়া এ কথা জানান। তিনদিনের সফরে বুধবার রাতে ঢাকায়
আসেন কাতারের মন্ত্রী।
সকালে খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন, ব্যবসাবাণিজ্য এবং দেশটিতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিসহ দু'টি মুসলিম দেশের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাতারের সঙ্গে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক অভিন্নতার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে কাতারের সহযোগিতার প্রয়োজন নিরূপণে আগত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি জনাব আতিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সফর দু'দেশের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার পথ করে দেবে এবং ভ্রাতৃত্বে বন্ধন আরও জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা ও বাণিজ্যে বিশেষ করে বেসরকারী খাতে সহযোগিতা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দু'টি দেশের জনগণের স্বার্থে শিল্পকলা, সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে দু'দেশের সফর বিনিময় বাড়ানো প্রয়োজন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের নদী খননে ড্রেজিং সহায়তা, দৰ ও আধা দৰ জনশক্তি তৈরি এবং নার্সদের জন্য প্রশিৰণ কেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং কমিউনিটি কিনিং স্থাপনে আমরা সহায়তা দেব। পর্যটন খাতের উন্নয়নে দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানেও আমরা সহায়তা দেব। তিনি জানান, সহযোগিতা এ সকল সুনির্দিষ্ট ৰেত্রে নিয়ে পরবর্তীতে দু'দেশের মধ্যে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাৰরিত হবে বলে তিনি জানান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফরের সময় দু'দেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়নের বেশকিছু সুনির্দিষ্ট খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে রাজি হয়েছে কাতার। তিনি জানান, আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ কাতার থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এই সার আমদানি করা হবে। দু'দেশের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামে এই সার প্যাকেটজাত করা হবে। তিনি জানান, উভয় দেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য একে অপরকে জমি বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।
সকালে খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন, ব্যবসাবাণিজ্য এবং দেশটিতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিসহ দু'টি মুসলিম দেশের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাতারের সঙ্গে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক অভিন্নতার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে কাতারের সহযোগিতার প্রয়োজন নিরূপণে আগত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি জনাব আতিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সফর দু'দেশের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার পথ করে দেবে এবং ভ্রাতৃত্বে বন্ধন আরও জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা ও বাণিজ্যে বিশেষ করে বেসরকারী খাতে সহযোগিতা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দু'টি দেশের জনগণের স্বার্থে শিল্পকলা, সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে দু'দেশের সফর বিনিময় বাড়ানো প্রয়োজন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের নদী খননে ড্রেজিং সহায়তা, দৰ ও আধা দৰ জনশক্তি তৈরি এবং নার্সদের জন্য প্রশিৰণ কেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং কমিউনিটি কিনিং স্থাপনে আমরা সহায়তা দেব। পর্যটন খাতের উন্নয়নে দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানেও আমরা সহায়তা দেব। তিনি জানান, সহযোগিতা এ সকল সুনির্দিষ্ট ৰেত্রে নিয়ে পরবর্তীতে দু'দেশের মধ্যে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাৰরিত হবে বলে তিনি জানান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফরের সময় দু'দেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়নের বেশকিছু সুনির্দিষ্ট খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে রাজি হয়েছে কাতার। তিনি জানান, আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ কাতার থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এই সার আমদানি করা হবে। দু'দেশের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামে এই সার প্যাকেটজাত করা হবে। তিনি জানান, উভয় দেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য একে অপরকে জমি বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।
No comments