পাঁচ অভিযোগ প্রমাণিত
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের ৪৬(২) বিধি অনুযায়ী রায়ের দিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে। রায়
শেষে সাজার পরোয়ানাসহ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে,
মিরপুরে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের সঙ্গে নিজে ও দলগতভাবে কাদের মোল্লা জড়িত
ছিলেন বলে সাক্ষ্য-প্রমাণে পাওয়া গেছে। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এসব অপরাধ
কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে ছয়টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল
রাষ্ট্রপক্ষ তার মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের খানবাড়ী ও শহীদনগরে (ঘাটারচর) কাদের মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি ও গোলাম মোস্তফাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া মোজাম্মেল হক, নবী হোসেন বুলু, নাসির উদ্দিন, অশ্বিনী মণ্ডল, বৃন্দাবন মণ্ডল, হরিনন্দ মণ্ডল, হাবিবুর রহমান, আবদুর রশিদ, মিয়াজ উদ্দিন, ধনি মাতবর, বৃন্দাবন মৃধা, সন্তোষ মণ্ডল, বিতাম্বর মণ্ডল, নীলাম্বর মণ্ডল, লক্ষ্মণ মিস্ত্রি, সূর্য কামার, অমর চান্দ, গুরুদাস, পঞ্চানন নন্দ, গিরিবালা, মরণদাসী, দরবেশ আলী, আরজ আলীসহ শতাধিক নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় বলে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল- তা সাক্ষীদের বক্তব্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে রায়ে সেগুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
এক. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(১), ৩(২)(এ)(এইচ) ধারায় এই অভিযোগ গঠন করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, আবদুল কাদের মোল্লার নির্দেশে একাত্তর সালের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে নওয়াবপুর এলাকা থেকে ধরে মিরপুর ১২ নম্বরে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে সেখানে ঈদগাহ মাঠে একটি গাছের সঙ্গে ঝোলানো হয়। কাদের মোল্লার নির্দেশে বিহারি আখতার তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর পল্লবের লাশ নিহত আরো সাত ব্যক্তির সঙ্গে কালাপানি ঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।
দুই. কাদের মোল্লার নির্দেশে ও তাঁর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ২৭ মার্চ কোনো একসময় মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে কবি মেহেরুননিসা ও তাঁর বৃদ্ধ মা এবং দুই ভাইকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মেহেরুননিসাকে হত্যার পর তাঁর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তিন. কাদের মোল্লার নির্দেশে সাংবাদিক-আইনজীবী খন্দকার আবু তালেবকে মিরপুর ১০ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে ধরে নিয়ে মিরপুর জল্লাদখানা পাম্প হাউসের পাশে হত্যা করা হয়। তিনি সেই দিন আরামবাগ এলাকা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসায় আসেন। এরপর বাসা থেকে আবার আরামবাগ ফিরে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
চার. রাজাকার, ৫০ জন অবাঙ্গালী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল কাদের মোল্লা মিরপুরের (পল্লবী) আলোকদী গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামটি ঘিরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বুসা মিয়া, জেরাত আলী, ফুয়াদ আলী, শুকুর মিয়া, আওয়াল মোল্লা, সোলে মোল্লা, রুস্তম আলী বেপারী, আজল হক, ফজল হক, রহমান বেপারী, নবী মোল্লা, আলমাত মিয়া, মোখলেসুর রহমান, ফুলচাঁন, নওয়াব আলী, ইয়াছিন, লালু চান বেপারী, সুনু মিয়াসহ ৩৪৪ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়।
পাঁচ. একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় মিরপুরের কালাপানি এলাকার ৫ নম্বর লেনের ২১ নম্বর বাড়িতে ঢুকে কাদের মোল্লার নির্দেশে হযরত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আমেনা, দুই মেয়ে খাদিজা ও তাহমিনাকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ২ বছরের শিশু বাবুকে আছড়িয়ে হত্যা করা হয়। এরপর হযরত আলীর ১১ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের ২০(২) ধারা অনুযায়ী কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
রায়ে বিচারকরা উল্লেখ করেন, 'হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসমূহ, যা মানুষের বিবেককে দংশন করে, সেসব অপরাধের গভীরতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে অভিযুক্ত আসামির অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ধরন ও অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় নিয়েছি। সুতরাং আমাদের রায় অবশ্যই অপরাধের গভীরতা ও আসামির ভূমিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।'
রায়ে আরো বলা হয়েছে, আবদুল কাদের মোল্লা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু বিহারি অবাঙালিদের ও পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য নিয়ে একই উদ্দেশ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। আবদুল কাদের মোল্লা সজ্ঞানে এসব কাজে অংশ নিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে নিরস্ত্র জনসাধারণ গণহত্যার শিকার হন। মিরপুরের আলোকদী গ্রামে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার সময় কাদের মোল্লা রাইফেল হাতে সেখানে উপস্থিত থেকে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২১ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয় । একই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তদন্ত শেষে ১৮ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল-১-এ উত্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছর ১৬ এপ্রিল মামলাটি দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর গত ২৮ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে কাদের মোল্লার বিচারকাজ শুরু হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ১৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে দুজন তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে কয়েকজন নারী সাক্ষীও রুদ্ধদ্বার আদালতে সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে গত বছর ১৫ নভেম্বর কাদের মোল্লার পক্ষে ছয় জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
গতকাল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্বাধীনতার ইতিহাসসহ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও ওই সময় রাজাকার, আলবদরদের ভূমিকা তুলে ধরেন। ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও রায়ে বলা হয়।
রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের খানবাড়ী ও শহীদনগরে (ঘাটারচর) কাদের মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি ও গোলাম মোস্তফাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া মোজাম্মেল হক, নবী হোসেন বুলু, নাসির উদ্দিন, অশ্বিনী মণ্ডল, বৃন্দাবন মণ্ডল, হরিনন্দ মণ্ডল, হাবিবুর রহমান, আবদুর রশিদ, মিয়াজ উদ্দিন, ধনি মাতবর, বৃন্দাবন মৃধা, সন্তোষ মণ্ডল, বিতাম্বর মণ্ডল, নীলাম্বর মণ্ডল, লক্ষ্মণ মিস্ত্রি, সূর্য কামার, অমর চান্দ, গুরুদাস, পঞ্চানন নন্দ, গিরিবালা, মরণদাসী, দরবেশ আলী, আরজ আলীসহ শতাধিক নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় বলে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল- তা সাক্ষীদের বক্তব্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে রায়ে সেগুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
এক. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(১), ৩(২)(এ)(এইচ) ধারায় এই অভিযোগ গঠন করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, আবদুল কাদের মোল্লার নির্দেশে একাত্তর সালের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে নওয়াবপুর এলাকা থেকে ধরে মিরপুর ১২ নম্বরে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে সেখানে ঈদগাহ মাঠে একটি গাছের সঙ্গে ঝোলানো হয়। কাদের মোল্লার নির্দেশে বিহারি আখতার তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর পল্লবের লাশ নিহত আরো সাত ব্যক্তির সঙ্গে কালাপানি ঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।
দুই. কাদের মোল্লার নির্দেশে ও তাঁর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ২৭ মার্চ কোনো একসময় মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে কবি মেহেরুননিসা ও তাঁর বৃদ্ধ মা এবং দুই ভাইকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মেহেরুননিসাকে হত্যার পর তাঁর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তিন. কাদের মোল্লার নির্দেশে সাংবাদিক-আইনজীবী খন্দকার আবু তালেবকে মিরপুর ১০ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে ধরে নিয়ে মিরপুর জল্লাদখানা পাম্প হাউসের পাশে হত্যা করা হয়। তিনি সেই দিন আরামবাগ এলাকা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসায় আসেন। এরপর বাসা থেকে আবার আরামবাগ ফিরে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
চার. রাজাকার, ৫০ জন অবাঙ্গালী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল কাদের মোল্লা মিরপুরের (পল্লবী) আলোকদী গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামটি ঘিরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বুসা মিয়া, জেরাত আলী, ফুয়াদ আলী, শুকুর মিয়া, আওয়াল মোল্লা, সোলে মোল্লা, রুস্তম আলী বেপারী, আজল হক, ফজল হক, রহমান বেপারী, নবী মোল্লা, আলমাত মিয়া, মোখলেসুর রহমান, ফুলচাঁন, নওয়াব আলী, ইয়াছিন, লালু চান বেপারী, সুনু মিয়াসহ ৩৪৪ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়।
পাঁচ. একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় মিরপুরের কালাপানি এলাকার ৫ নম্বর লেনের ২১ নম্বর বাড়িতে ঢুকে কাদের মোল্লার নির্দেশে হযরত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আমেনা, দুই মেয়ে খাদিজা ও তাহমিনাকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ২ বছরের শিশু বাবুকে আছড়িয়ে হত্যা করা হয়। এরপর হযরত আলীর ১১ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের ২০(২) ধারা অনুযায়ী কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
রায়ে বিচারকরা উল্লেখ করেন, 'হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসমূহ, যা মানুষের বিবেককে দংশন করে, সেসব অপরাধের গভীরতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে অভিযুক্ত আসামির অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ধরন ও অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় নিয়েছি। সুতরাং আমাদের রায় অবশ্যই অপরাধের গভীরতা ও আসামির ভূমিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।'
রায়ে আরো বলা হয়েছে, আবদুল কাদের মোল্লা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু বিহারি অবাঙালিদের ও পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য নিয়ে একই উদ্দেশ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। আবদুল কাদের মোল্লা সজ্ঞানে এসব কাজে অংশ নিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে নিরস্ত্র জনসাধারণ গণহত্যার শিকার হন। মিরপুরের আলোকদী গ্রামে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার সময় কাদের মোল্লা রাইফেল হাতে সেখানে উপস্থিত থেকে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২১ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয় । একই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তদন্ত শেষে ১৮ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল-১-এ উত্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছর ১৬ এপ্রিল মামলাটি দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর গত ২৮ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে কাদের মোল্লার বিচারকাজ শুরু হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ১৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে দুজন তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে কয়েকজন নারী সাক্ষীও রুদ্ধদ্বার আদালতে সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে গত বছর ১৫ নভেম্বর কাদের মোল্লার পক্ষে ছয় জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
গতকাল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্বাধীনতার ইতিহাসসহ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও ওই সময় রাজাকার, আলবদরদের ভূমিকা তুলে ধরেন। ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও রায়ে বলা হয়।
No comments