জামিনে মুক্তির পর মির্জা ফখরুল- দেশের মানুষকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না
৫৬ দিন কারাগারে আটক থাকার পর অবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গতকাল
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর কাশিমপুর কারাগার
থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়ে গাড়িতে দাঁড়িয়ে মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে এখন মুক্তির সংগ্রাম চলছে। আমাদের
বন্দী করে, হত্যা , গুম করে এ দেশের মানুষকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। এ
সংগ্রাম চলছে, ইনশাহ আল্লাহ এ সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষ জয়ী হবে।
কারাগার সূত্র জানায়, গতকাল উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-২ এ পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় বিকেল ৫টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়। কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই ঢাকার ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে দুপুরের পর থেকেই কারাগার এলাকায় বিপুল বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মী ফুলের তোড়া নিয়ে অপো করতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা মিছিল করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি দাবি করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির সময় গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৩৭টি মামলা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে। এর মধ্যে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দু’টি মামলায় ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পরে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দু’টি মামলায় গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও ওই দিনই সূত্রাপুর ও মতিঝিল থানার দু’টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। সর্বশেষ রাজধানীর কলাবাগান থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শেখ মো: জাকির হোসেনের সমন্বিত বেঞ্চ থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন মির্জা ফখরুল।
গ্রেফতারের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হলেও সরকারের উপরের নির্দেশে গত ১২ ডিসেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয় তাকে। ৫৬ দিনের কারাবাস শেষে গতকাল তিনি মুক্ত বাতাসে বেরিয়ে আসেন।
মির্জা ফখরুলের মুক্তি প্রসঙ্গে কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার-২ এ ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী ছিলেন। আদালতের জামিননামা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
এ দিকে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিননামা দাখিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আলোকে গতকাল ফখরুলের পক্ষে মো: সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ ও মো: তাহেরুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশনামা দাখিল করে জামিননামা দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম সাইদুর রহমান কাগজপত্র পর্যালোচনা করে হাইকোর্টের জামিনের আদেশনামা দেখে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে একজন আইনজীবীর জিম্মায় জামিননামা দাখিলের অনুমতি দেন। অনুমতি পাওয়ার পর জামিননামা প্রস্তুত করে আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত ফখরুলের জামিননামা পেয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন।
কলাবাগান থানার মামলা ছাড়াও মতিঝিল, পল্টন ও সূত্রাপুর থানার মামলায় উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা ইউনিট শাখার নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।
কারাগার সূত্র জানায়, গতকাল উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-২ এ পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় বিকেল ৫টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়। কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই ঢাকার ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে দুপুরের পর থেকেই কারাগার এলাকায় বিপুল বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মী ফুলের তোড়া নিয়ে অপো করতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা মিছিল করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি দাবি করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির সময় গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৩৭টি মামলা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে। এর মধ্যে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দু’টি মামলায় ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পরে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দু’টি মামলায় গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও ওই দিনই সূত্রাপুর ও মতিঝিল থানার দু’টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। সর্বশেষ রাজধানীর কলাবাগান থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শেখ মো: জাকির হোসেনের সমন্বিত বেঞ্চ থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন মির্জা ফখরুল।
গ্রেফতারের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হলেও সরকারের উপরের নির্দেশে গত ১২ ডিসেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয় তাকে। ৫৬ দিনের কারাবাস শেষে গতকাল তিনি মুক্ত বাতাসে বেরিয়ে আসেন।
মির্জা ফখরুলের মুক্তি প্রসঙ্গে কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার-২ এ ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী ছিলেন। আদালতের জামিননামা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
এ দিকে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিননামা দাখিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আলোকে গতকাল ফখরুলের পক্ষে মো: সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ ও মো: তাহেরুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশনামা দাখিল করে জামিননামা দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম সাইদুর রহমান কাগজপত্র পর্যালোচনা করে হাইকোর্টের জামিনের আদেশনামা দেখে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে একজন আইনজীবীর জিম্মায় জামিননামা দাখিলের অনুমতি দেন। অনুমতি পাওয়ার পর জামিননামা প্রস্তুত করে আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত ফখরুলের জামিননামা পেয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন।
কলাবাগান থানার মামলা ছাড়াও মতিঝিল, পল্টন ও সূত্রাপুর থানার মামলায় উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা ইউনিট শাখার নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।
No comments