নেপালে বাঘশুমারি শুরু
বাঘের সংখ্যা গণনা শুরু করেছে নেপাল।
হিমালয়ের পাদদেশে টেরাই আর্ক অঞ্চলে কী পরিমাণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে, তার
হিসাব বের করতে গত সোমবার থেকে এ শুমারি শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ উদ্যোগ
হাতে নিয়েছে নেপালের পরিবেশ ও বন রক্ষা বিভাগ। শুমারির ফল নির্ভুল করতে
ভারতের সাহায্য নেওয়া হবে। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হতে
পারে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালে কয়েক দশক আগেও হাজার হাজার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ ছিল। কিন্তু নির্বিচারে বন উজাড়ের কারণে আবাসভূমি ও খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা এখন তিন হাজারের কিছু বেশি হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে তাই ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত সম্মেলনে নতুন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে ওই সম্মেলনে অঙ্গীকার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নেপালও এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে। অনুমান করা হয়, নেপালে এখন ১৭৬টি বাঘ আছে। তবে বন উজাড় ও শিকারিদের কারণে সেগুলোও হুমকির মুখে আছে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) হিসাবে ভারত ও নেপাল সীমান্তে হিমালয়ের পাদদেশে ৯৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত টেরাই আর্ক অঞ্চল এখনো বিশ্বে বাঘের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বর্তমানে সেখানে অন্তত ৫০০ বাঘ আছে। ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও নেপালের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত এ এলাকা বিস্তৃত।
টেরাই আর্ক অঞ্চলের এক ডজনেরও বেশি বন ও সংরক্ষিত এলাকায় বাঘশুমারি চালাবে নেপাল। ডাব্লিউডাব্লিউএফও এ শুমারিতে অংশ নিচ্ছে। বাঘের সঠিক সংখ্যা জানতে ওই সব অঞ্চলে শত শত ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বাঘের আনাগোনা বেশি_এমন সব জায়গায় ক্যামেরা পেতে রাখা হয়েছে। ক্যামেরায় লাগানো সেন্সরে বাঘের গতিবিধি ধরা পড়বে। নেপালের জাতীয় উদ্যান ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক মেঘ বাহাদুর পাণ্ডে বলেন, নেপাল অংশে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়া বাঘ পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যেতে পারে। পরে সেটা আবার নেপালে ফিরতে পারে। এ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে ভারত অংশেও ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পরে দুই অংশের ছবি মিলিয়ে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। এক বাঘকে দুই বার হিসাব করা এড়াতেই এ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি বাঘের ডোরাই আলাদা।
বাঘ যেসব প্রাণী শিকার করে এ শুমারির মাধ্যমে সেগুলোরও হিসাব বের করার চেষ্টা করা হবে। বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণেও এ শুমারি সহায়ক হবে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালে কয়েক দশক আগেও হাজার হাজার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ ছিল। কিন্তু নির্বিচারে বন উজাড়ের কারণে আবাসভূমি ও খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা এখন তিন হাজারের কিছু বেশি হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে তাই ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত সম্মেলনে নতুন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে ওই সম্মেলনে অঙ্গীকার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নেপালও এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে। অনুমান করা হয়, নেপালে এখন ১৭৬টি বাঘ আছে। তবে বন উজাড় ও শিকারিদের কারণে সেগুলোও হুমকির মুখে আছে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) হিসাবে ভারত ও নেপাল সীমান্তে হিমালয়ের পাদদেশে ৯৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত টেরাই আর্ক অঞ্চল এখনো বিশ্বে বাঘের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বর্তমানে সেখানে অন্তত ৫০০ বাঘ আছে। ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও নেপালের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত এ এলাকা বিস্তৃত।
টেরাই আর্ক অঞ্চলের এক ডজনেরও বেশি বন ও সংরক্ষিত এলাকায় বাঘশুমারি চালাবে নেপাল। ডাব্লিউডাব্লিউএফও এ শুমারিতে অংশ নিচ্ছে। বাঘের সঠিক সংখ্যা জানতে ওই সব অঞ্চলে শত শত ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বাঘের আনাগোনা বেশি_এমন সব জায়গায় ক্যামেরা পেতে রাখা হয়েছে। ক্যামেরায় লাগানো সেন্সরে বাঘের গতিবিধি ধরা পড়বে। নেপালের জাতীয় উদ্যান ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক মেঘ বাহাদুর পাণ্ডে বলেন, নেপাল অংশে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়া বাঘ পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যেতে পারে। পরে সেটা আবার নেপালে ফিরতে পারে। এ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে ভারত অংশেও ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পরে দুই অংশের ছবি মিলিয়ে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। এক বাঘকে দুই বার হিসাব করা এড়াতেই এ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি বাঘের ডোরাই আলাদা।
বাঘ যেসব প্রাণী শিকার করে এ শুমারির মাধ্যমে সেগুলোরও হিসাব বের করার চেষ্টা করা হবে। বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণেও এ শুমারি সহায়ক হবে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
No comments