ভারতের সঙ্গে চুক্তি সংসদে উত্থাপনের দাবি মওদুদের

ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব চুক্তি করেছেন তা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করার দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন না করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। আমাদের সংবিধানে আছে বাইরের দেশের সঙ্গে চুক্তি করা হলে তা দ্রম্নততম সময়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কী কারণে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো সংসদে উপস্থাপন করা হলো না তা জাতি জানতে চায় বলে মনত্মব্য করেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসকাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে 'বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান : সম্ভাবনার নতুন দিগনত্ম' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩য় কারাবন্দী দিবস উপল েজাতীয়তাবাদী তাঁতী দল এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবুল কালাম আজাদ। বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য শামসুজ্জামান খান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির সভাপতি শওকত হোসেন নিলু, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সহকারী সম্পাদক সঞ্জিত চৌধুরী, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, তাঁতী দলের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মমতাজ উদ্দিন, মেজর (অব) মেহেবুর রহমান প্রমুখ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার গত দেড় বছরে দেশের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। জাতীয় কোন ধরনের ইসু্য নিয়ে আলোচনা হয়নি। দেশের সমস্যাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে সরকার শুধু জিয়া পরিবারকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সঙ্কট উত্তরণে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।
সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় বছর ধরে ৰমতায় আছে কিন্তু তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে একটি মামলাও প্রমাণ করতে পারেনি। তারেক রহমান কোন দুর্নীতি করেনি। তার বিরম্নদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে সবই ভুয়া এবং মিথ্যা। তাই তারেকের বিরম্নদ্ধে এই সরকার কখনও মামলা প্রমাণ করতে পারবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরম্নদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ছিল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। কিন্তু একই ধরনের মামলা থেকে প্রধানমন্ত্রী অব্যাহতি পেলেও তারেক রহমান কেন মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন না। এক দেশে দ্বিমুখী নীতি জনগণ কখনও মেনে নেবে না। অবিলম্বে তারেকের নামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.