দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের মামলার বিচার শুরু-সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, বাস শনাক্ত করলেন বন্ধু
নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের মামলার
আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সাক্ষ্য
দেন ধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর বন্ধু। গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে যে
বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল তিনি ওই বাসটিও শনাক্ত করেছেন।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামিও গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিল।
তরুণীর বন্ধু ও ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী গতকাল হুইল চেয়ারে করে দিল্লির সাকেত জেলা আদালতে হাজির হন। ঘটনার দিন তাঁকেও বেদম মারধর করা হয়। এখনো দাঁড়াতে পারেন না তিনি। চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে সাদা রঙের এ বাসটি আনা হয়। ওই তরুণ নিশ্চিত করেন, ওই বাসেই সেই নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। আজ বুধবারও তাঁকে জেরা করা হবে। এ মামলায় মোট ৮০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তরুণী মারা যান। আইনগত কারণে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা হয়নি। মামলার কার্যক্রম শুরুর আগে আদালতে সাংবাদিকদের তাঁর বাবা বলেন, 'দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমার ছেলে তার পক্ষে সম্ভব সব কিছুই করবে। ও মামলায় সহযোগিতা করবে এবং বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিদের যেকোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।'
পুলিশ গতকাল আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এতে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে করা ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মুখ ঢাকা অবস্থায় পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতিসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ষষ্ঠ সন্দেহভাজন নাবালক হওয়ায় তার বিচার হবে কিশোর বিচার আদালতে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর সংশোধনাগারে রাখা হতে পারে।
এদিকে তরুণীর বাবা গতকাল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমি টেলিভিশন দেখি না, পত্রিকা পড়ি না। আমি শুধু চাই, ওই ছয় জনেরই ফাঁসি হোক।' সম্মেলনে ওই তরুণীর নামে দিল্লির নতুন একটি বিজ্ঞান জাদুঘরের নামকরণের দাবি জানায় বিজেপি।
পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে : সদ্য পাস হওয়া নারী নির্যাতনবিরোধী অধ্যাদেশ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে এ অধ্যাদেশ। বাজেট অধিবেশনেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমি সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এ আইন প্রণয়নে সরকার জনগণের মতামতকেও স্বাগত জানাবে।' আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
তরুণীর বন্ধু ও ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী গতকাল হুইল চেয়ারে করে দিল্লির সাকেত জেলা আদালতে হাজির হন। ঘটনার দিন তাঁকেও বেদম মারধর করা হয়। এখনো দাঁড়াতে পারেন না তিনি। চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে সাদা রঙের এ বাসটি আনা হয়। ওই তরুণ নিশ্চিত করেন, ওই বাসেই সেই নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। আজ বুধবারও তাঁকে জেরা করা হবে। এ মামলায় মোট ৮০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তরুণী মারা যান। আইনগত কারণে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা হয়নি। মামলার কার্যক্রম শুরুর আগে আদালতে সাংবাদিকদের তাঁর বাবা বলেন, 'দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমার ছেলে তার পক্ষে সম্ভব সব কিছুই করবে। ও মামলায় সহযোগিতা করবে এবং বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিদের যেকোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।'
পুলিশ গতকাল আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এতে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে করা ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মুখ ঢাকা অবস্থায় পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতিসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ষষ্ঠ সন্দেহভাজন নাবালক হওয়ায় তার বিচার হবে কিশোর বিচার আদালতে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর সংশোধনাগারে রাখা হতে পারে।
এদিকে তরুণীর বাবা গতকাল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমি টেলিভিশন দেখি না, পত্রিকা পড়ি না। আমি শুধু চাই, ওই ছয় জনেরই ফাঁসি হোক।' সম্মেলনে ওই তরুণীর নামে দিল্লির নতুন একটি বিজ্ঞান জাদুঘরের নামকরণের দাবি জানায় বিজেপি।
পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে : সদ্য পাস হওয়া নারী নির্যাতনবিরোধী অধ্যাদেশ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে এ অধ্যাদেশ। বাজেট অধিবেশনেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমি সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এ আইন প্রণয়নে সরকার জনগণের মতামতকেও স্বাগত জানাবে।' আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments