পদ্মা সেতু-স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে
অবশেষে আশা-নিরাশার দোলাচল থেকে মুক্ত
হয়েছে পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর
বিদায় নিয়েছে এডিবি, আইডিবি ও জাইকা। সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের
ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই সেতু নির্মাণের পক্ষে
সরকার।
অর্থমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের পক্ষে
তিনি সংসদকে জানিয়েছেন, এ বছরই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতুর নকশায়
কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। রেল ও সড়কপথ দুটোই থাকছে সেতুতে। নিজস্ব অর্থায়ন,
নাকি বিকল্প অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে, সেটা সময় বলে দেবে। তবে সেতু যে
নির্মিত হবে, তা এখন নিশ্চিত। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হবে।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল ওই এলাকার মানুষের কাছে। মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল এই সেতু। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আগে থেকেই আগ্রহী ছিল। জাইকাও বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকও অর্থায়নে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একসময় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা ওঠে। সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের টানাপড়েন শুরু হয়। যোগাযোগমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় সব শর্ত পূরণ করার পরও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিশ্চিত করা যায়নি। কিন্তু সেতু নির্মাণ করতে হলে সরকারের আর কালক্ষেপণের সুযোগ নেই, এমন কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এর আগেও যখন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তখন একবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে এখন আর সরকারের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর সরকারের কাছে এখন দুটি উপায় থাকছে। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের পাশাপাশি সরকার এখন নতুন অর্থায়ন খুঁজতে পারে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের অর্থনীতিকে অনেকটা চাপের মুখে ফেলতে পারে, এমন কথা অনেকে বলেছেন। সে ক্ষেত্রে সরকার বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা করতে পারে। বিশ্বব্যাংক থেকে সরে এলেও রাজনৈতিক কারণে পদ্মা সেতু থেকে সরে আসার উপায় নেই। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারকে ইতিবাচক সব ভূমিকা নিতে হবে। আবার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি যেন চাপের মুখে না পড়ে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অন্য উন্নয়ন বাজেটে যেন চাপ না পড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
আমরা আশা করব, সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল ওই এলাকার মানুষের কাছে। মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল এই সেতু। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আগে থেকেই আগ্রহী ছিল। জাইকাও বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকও অর্থায়নে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একসময় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা ওঠে। সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের টানাপড়েন শুরু হয়। যোগাযোগমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় সব শর্ত পূরণ করার পরও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিশ্চিত করা যায়নি। কিন্তু সেতু নির্মাণ করতে হলে সরকারের আর কালক্ষেপণের সুযোগ নেই, এমন কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এর আগেও যখন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তখন একবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে এখন আর সরকারের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর সরকারের কাছে এখন দুটি উপায় থাকছে। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের পাশাপাশি সরকার এখন নতুন অর্থায়ন খুঁজতে পারে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের অর্থনীতিকে অনেকটা চাপের মুখে ফেলতে পারে, এমন কথা অনেকে বলেছেন। সে ক্ষেত্রে সরকার বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা করতে পারে। বিশ্বব্যাংক থেকে সরে এলেও রাজনৈতিক কারণে পদ্মা সেতু থেকে সরে আসার উপায় নেই। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারকে ইতিবাচক সব ভূমিকা নিতে হবে। আবার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি যেন চাপের মুখে না পড়ে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অন্য উন্নয়ন বাজেটে যেন চাপ না পড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
আমরা আশা করব, সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।
No comments