বিশেষজ্ঞ প্রতিক্রিয়া- ‘রায়ের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত
থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের
মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যে রায় দিয়েছেন,
তা
সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান
খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার নয়া দিগন্তের সাথে আলোচনাকালে তিনি
এ মন্তব্য করেন। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে দাবি
করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল
আবেদীন।
গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই রায় দেন।
ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেশে-বিদেশে বিশেষ করে যারা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ তাদের প্রায় কারো কাছেই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নামে যে বিচারকার্যক্রম হচ্ছে তার বিচারিক মানদণ্ড গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে কারণেই বর্তমান ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, সে রায়ের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছেনÑ যাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, তার পেছনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ রায়ে সরকারপক্ষও সন্তুষ্ট নয়। বিষয়টি সাজানো নাটক হতে পারে। কেননা তারা প্রমাণ করতে চাচ্ছেÑ ট্রাইব্যুনাল নিরপেক্ষভাবে বিচার করছে। এখানে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেইÑ তা তারা প্রমাণ করতে চাইছে। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আপিলের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর। রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অবশ্যই জানেন যে, ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সাজা বৃদ্ধির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে কোনো আপিল করা যায় না। আসামি বেকসুর খালাস পেলেই কেবল সরকারপক্ষ আপিল করতে পারবে। জেনে-শুনে রাষ্ট্রপক্ষের এমন বক্তব্যে মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক।
রায়ের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিÑ ট্রাইব্যুনালে বিচার ঠিকভাবে হচ্ছে না। সেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। আগেও করেছে, এখনো করার চেষ্টা করছে। কয়েকজন মন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সতর্ক করার ঘটনা তারই প্রমাণ।
গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই রায় দেন।
ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেশে-বিদেশে বিশেষ করে যারা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ তাদের প্রায় কারো কাছেই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নামে যে বিচারকার্যক্রম হচ্ছে তার বিচারিক মানদণ্ড গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে কারণেই বর্তমান ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, সে রায়ের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছেনÑ যাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, তার পেছনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, এ রায়ে সরকারপক্ষও সন্তুষ্ট নয়। বিষয়টি সাজানো নাটক হতে পারে। কেননা তারা প্রমাণ করতে চাচ্ছেÑ ট্রাইব্যুনাল নিরপেক্ষভাবে বিচার করছে। এখানে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেইÑ তা তারা প্রমাণ করতে চাইছে। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আপিলের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর। রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অবশ্যই জানেন যে, ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সাজা বৃদ্ধির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে কোনো আপিল করা যায় না। আসামি বেকসুর খালাস পেলেই কেবল সরকারপক্ষ আপিল করতে পারবে। জেনে-শুনে রাষ্ট্রপক্ষের এমন বক্তব্যে মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক।
রায়ের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিÑ ট্রাইব্যুনালে বিচার ঠিকভাবে হচ্ছে না। সেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। আগেও করেছে, এখনো করার চেষ্টা করছে। কয়েকজন মন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সতর্ক করার ঘটনা তারই প্রমাণ।
No comments