মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস by মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মুক্তিযোদ্ধা আর ভারতীয় সৈন্যরা ঢাকা
ঘেরাও করে পাকিসত্মান সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্থন করার জন্য আহ্বান করল গবর্নর
হাউসে বোমা ফেলার কারণে তখন গবর্নর মালেক আর তার মন্ত্রীরা পদত্যাগ করে
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমান শেরাটনে) আশ্রয় দিয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী ঢাকার সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে লাখ লাখ লিফলেট ফেলেছে,
সেখানে লেখা 'মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ
করো।' ঢাকার 'পরম পরাক্রমশালী' পাকিসত্মানী সেনাবাহিনী তখন আত্মসমর্পণ করার
সিদ্ধানত্ম নিল। আত্মসমর্পণের দলিলে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ নেতৃত্বের
কাছে আত্মসমর্পণ করার কথাটি দেখে একজন পাকিসত্মানী জেনারেল দুর্বলভাবে
একবার সেখান থেকে বাংলাদেশের নামটি সরানোর প্রসত্মাব করেছিল কিন্তু কেউ তার
কথাকে গুরম্নত্ব দিল না, ইতিহাসে সত্যকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই!
১৬ ডিসেম্বর বিকেল বেলা রেসকোর্স ময়দানে হাজার হাজার মানুষের সামনে জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি থেকে মাথা নিচু করে বিদায় নেয়ার দলিলে স্বাৰর করল। যে বিজয়ের জন্য এই দেশের মানুষ সুদীর্ঘ নয় মাস অপেৰা করছিল সেই বিজয়টি এই দেশের স্বজন হারানো সাত কোটি মানুষের হাতে এসে ধরা দিল।
বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় পাকিসত্মানের সব সৈন্য আত্মসমর্পণ করে শেষ করতে করতে ডিসেম্বরের ২২ তারিখ হয়ে গেল। (চলবে)
১৬ ডিসেম্বর বিকেল বেলা রেসকোর্স ময়দানে হাজার হাজার মানুষের সামনে জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি থেকে মাথা নিচু করে বিদায় নেয়ার দলিলে স্বাৰর করল। যে বিজয়ের জন্য এই দেশের মানুষ সুদীর্ঘ নয় মাস অপেৰা করছিল সেই বিজয়টি এই দেশের স্বজন হারানো সাত কোটি মানুষের হাতে এসে ধরা দিল।
বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় পাকিসত্মানের সব সৈন্য আত্মসমর্পণ করে শেষ করতে করতে ডিসেম্বরের ২২ তারিখ হয়ে গেল। (চলবে)
No comments