সিম বিক্রির ওপর বিধি আরোপ_ পিছিয়ে যাবে ডিজিটাল কর্মসূচী- বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য by ফিরোজ মান্না
সিম কার্ড বিক্রির ওপর কড়াকড়ি আরোপে
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ একধাপ পিছিয়ে যাবে। সরকারের এমন সিদ্ধানত্ম নিয়ে
আইটি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সেস্নাগানটি
জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে সরকার তখন মোবাইল ফোনের সিম বিক্রির ওপর একটি
অযৌক্তিক সিদ্ধানত্ম নিয়েছে।
এই সিদ্ধানত্মের কারণে সিম
বিক্রির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। দেশের গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট
পেঁৗছে দেয়ার সরকারের অঙ্গীকার বাধাগ্রসত্ম হতে পারে। মোবাইল থেকে সব ধরনের
সেবা পাওয়ার সংখ্যাও কমে যাবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) জিয়া আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, সিম বিক্রির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিনত্ম অনেক ৰেত্রে তা মানা হচ্ছিল না। সরকার বিষয়টি পর্যবেৰণ করেই এমন সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এখন সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের চাপে এমন সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধানত্ম মোবাইল সন্ত্রাস খুব একটা কমাতে পারবে না। প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রযুক্তি দিয়েই ঠেকাতে হবে। সেৰেত্রে সন্ত্রীদের ব্যবহৃত মোবাইল চিহ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। এতসব আইন করে কোনভাবেই সন্ত্রাসীদের মোবাইলের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যাবে না। প্রযুক্তির যেমন সুফল আছে তেমনি কুফলও রয়েছে। তবে কুফলের পরিমাণ অনেক কম। এখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং সংশিস্নষ্ট দফতরগুলোর অদৰতার কারণে মোবাইল সন্ত্রাস দূর হচ্ছে না। এই জায়গা ঠিক হলে আর বিটিআরসির মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে পারলে অনেকাংশে অপব্যবহারকারী সিম ধরা সম্ভব।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধানত্মে বলা হয়েছে, এখন থেকে যত্রতত্র ফোনের সিম বিক্রি করা যাবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি) না থাকলে কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। ১৮ বছরের নিচের সনত্মানদের ব্যবহার করা সিম অভিভাবকের মাধ্যমে কিনতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ফরমে সিমকার্ড কেনার আবেদন করতে হবে। সব সিমকার্ডের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
উলিস্নখিত বিষয়গুলো তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দু'টি কমিটি কাজ করবে। নিবন্ধনবিহীন সিমকার্ডের মাধ্যমে কাউকে হুমকি, চাঁদাবাজি বা কোন অপরাধ ঘটলে তার দায়দায়িত্ব মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বহন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধানত্ম বৃহস্পতিবার দিন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। তবে বর্তমানে চালু সিমকার্ডের বেলায় মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধানত্ম প্রযোজ্য হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধানত্মে মোবাইল কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িকভাবে কিছুটা ৰতিগ্রসত্ম হবে। তবে এতে সিম বিক্রি থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ মোবাইল ব্যবহার করবেই। এখন থেকে সিমকার্ড কিনতে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্রের সঙ্গে এনআইডি নম্বর লিখে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবাইল সিমের ওপর এমন কড়াকড়ি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ল্যে ইউনিয়ন পযর্ায়েও ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় ইন্টারনেট সহায়তা বাড়ানোর জন্য প্রতিটি হাসপাতালে ওয়েবক্যাম, ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল দেয়া হবে। মানুষ যাতে ই-মেডিসিনের মাধ্যমে সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পায়। ২৯৬টি উপজেলায় ফাইবার সরকার গ্রামাঞ্চলে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের লৰ্যে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়কে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক শ'টি ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদ এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাঁর সরকারের ঘোষিত ভিশন বাসত্মবায়নে সকল উপজেলা হাসপাতালে কম্পিউটার সরবরাহ এবং ওয়েব ক্যামেরাসহ ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল কানেকটিভিটি থাকবে। গ্রামের মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তারা বলেন, মোবাইল ফোনের সিম কেনার ব্যাপারে এমন কড়াকড়ি থাকলে গ্রামের মানুষের হাতে সহজে মোবাইল পেঁৗছবে না। ২০০৮ সালে দেশের সব মোবাইল অপারেটর এক কোটি ২ লাখ সিম বিক্রি করেছিল। কিছুটা কড়াকড়ির কারণে ২০০৯ সালে তা কমে ৮৭ লাখে দাঁড়ায়। এ বছর সিম কেনার ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি আরোপের কারণে সিম বিক্রির পরিমাণ আরও কমে যাবে। বিটিআরসি এর আগে ঘোষণা করেছিল ২০১০ সালের মধ্যে দেশে ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক তৈরি করা হবে। মানুষের যোগাযোগ যত বাড়ানো যাবে তত দেশের উন্নয়ন ঘটবে।
এ কারণে এ বছরের মধ্যে আরও একটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেট সুবিধা পেঁৗছে দিতে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। । নতুন অপাটেরকে লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিটিআরসি নীতিমালা চূড়ানত্ম করে ভারতীয় এয়ারটেল মোবাইল কোম্পানিকে কাজ শুরম্ন করতে বলেছে। দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য বড় কোন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা চলছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) জিয়া আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, সিম বিক্রির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিনত্ম অনেক ৰেত্রে তা মানা হচ্ছিল না। সরকার বিষয়টি পর্যবেৰণ করেই এমন সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এখন সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের চাপে এমন সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধানত্ম মোবাইল সন্ত্রাস খুব একটা কমাতে পারবে না। প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রযুক্তি দিয়েই ঠেকাতে হবে। সেৰেত্রে সন্ত্রীদের ব্যবহৃত মোবাইল চিহ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। এতসব আইন করে কোনভাবেই সন্ত্রাসীদের মোবাইলের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যাবে না। প্রযুক্তির যেমন সুফল আছে তেমনি কুফলও রয়েছে। তবে কুফলের পরিমাণ অনেক কম। এখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং সংশিস্নষ্ট দফতরগুলোর অদৰতার কারণে মোবাইল সন্ত্রাস দূর হচ্ছে না। এই জায়গা ঠিক হলে আর বিটিআরসির মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে পারলে অনেকাংশে অপব্যবহারকারী সিম ধরা সম্ভব।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধানত্মে বলা হয়েছে, এখন থেকে যত্রতত্র ফোনের সিম বিক্রি করা যাবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি) না থাকলে কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। ১৮ বছরের নিচের সনত্মানদের ব্যবহার করা সিম অভিভাবকের মাধ্যমে কিনতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ফরমে সিমকার্ড কেনার আবেদন করতে হবে। সব সিমকার্ডের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
উলিস্নখিত বিষয়গুলো তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দু'টি কমিটি কাজ করবে। নিবন্ধনবিহীন সিমকার্ডের মাধ্যমে কাউকে হুমকি, চাঁদাবাজি বা কোন অপরাধ ঘটলে তার দায়দায়িত্ব মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বহন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধানত্ম বৃহস্পতিবার দিন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। তবে বর্তমানে চালু সিমকার্ডের বেলায় মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধানত্ম প্রযোজ্য হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধানত্মে মোবাইল কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িকভাবে কিছুটা ৰতিগ্রসত্ম হবে। তবে এতে সিম বিক্রি থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ মোবাইল ব্যবহার করবেই। এখন থেকে সিমকার্ড কিনতে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পত্রের সঙ্গে এনআইডি নম্বর লিখে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবাইল সিমের ওপর এমন কড়াকড়ি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ল্যে ইউনিয়ন পযর্ায়েও ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় ইন্টারনেট সহায়তা বাড়ানোর জন্য প্রতিটি হাসপাতালে ওয়েবক্যাম, ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল দেয়া হবে। মানুষ যাতে ই-মেডিসিনের মাধ্যমে সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পায়। ২৯৬টি উপজেলায় ফাইবার সরকার গ্রামাঞ্চলে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের লৰ্যে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়কে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক শ'টি ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদ এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাঁর সরকারের ঘোষিত ভিশন বাসত্মবায়নে সকল উপজেলা হাসপাতালে কম্পিউটার সরবরাহ এবং ওয়েব ক্যামেরাসহ ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল কানেকটিভিটি থাকবে। গ্রামের মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তারা বলেন, মোবাইল ফোনের সিম কেনার ব্যাপারে এমন কড়াকড়ি থাকলে গ্রামের মানুষের হাতে সহজে মোবাইল পেঁৗছবে না। ২০০৮ সালে দেশের সব মোবাইল অপারেটর এক কোটি ২ লাখ সিম বিক্রি করেছিল। কিছুটা কড়াকড়ির কারণে ২০০৯ সালে তা কমে ৮৭ লাখে দাঁড়ায়। এ বছর সিম কেনার ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি আরোপের কারণে সিম বিক্রির পরিমাণ আরও কমে যাবে। বিটিআরসি এর আগে ঘোষণা করেছিল ২০১০ সালের মধ্যে দেশে ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক তৈরি করা হবে। মানুষের যোগাযোগ যত বাড়ানো যাবে তত দেশের উন্নয়ন ঘটবে।
এ কারণে এ বছরের মধ্যে আরও একটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেট সুবিধা পেঁৗছে দিতে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। । নতুন অপাটেরকে লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিটিআরসি নীতিমালা চূড়ানত্ম করে ভারতীয় এয়ারটেল মোবাইল কোম্পানিকে কাজ শুরম্ন করতে বলেছে। দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য বড় কোন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা চলছে।
No comments