বিশ্লেষকদের মত-যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানকে সঙ্গে না নিলে শান্তি ফিরবে না
ব্রিটেনের উদ্যোগে পাকিস্তান ও
আফগানিস্তানকে নিয়ে গত সোমবার হয়ে গেল ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। ২০১৪ সালে
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সেনাদের প্রত্যাহারের পর
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যেই এ সম্মেলনের
আয়োজন।
শুরুর আগেই ব্যাপক প্রচার, সাফল্যের নিশ্চয়তা দিয়ে
করা নানা বিশ্লেষণ সম্মেলনের ব্যাপারে আশার সঞ্চার করে। তবে তালেনবান ও
যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে আফগানিস্তান বিষয়ে করা এ বৈঠক আদৌও কতটা ফলপ্রসূ
হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে এই প্রথম অংশ নেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনা ও গোয়েন্দাপ্রধানরা। তবে শুরু থেকেই এই আলোচনায় অনুপস্থিত তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। নয়/এগারোর পর ২০০১ সালে আল-কায়েদার আশ্রয়দাতা তালেবানকে নির্মূলের লক্ষ্যেই আফগানিস্তান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণেই আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় এ দুই পক্ষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
তালেবান নেতারা অনেক দিন ধরেই কারজাই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নয়। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ত্রিপক্ষীয় এ সম্মেলন অনেকটা একতরফাভাবেই শেষ হলো। ছয় মাসের মধ্যে শান্তি সমঝোতার যে আহবান এ বৈঠকে জানানো হয়েছে তাকে 'অতিমাত্রায় উচ্চাভিলাষী' বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিশ্লেষক হাসান আসকারি। তাঁর মতে, বৈঠকে তালেবানের অনুপস্থিতিই সবচেয়ে বড় সংকট, 'আমার মনে হয় না ছয় মাসের মধ্যে কোনো সমাধান হবে। পরে দেখা যাবে, পুরো হিসাবেই বড় ধরনের গরমিল হয়ে গেছে।'
পাকিস্তানে বন্দি তালেবান নেতাদের মুক্তি নিয়ে সংকটের জের ধরে গত বছর মার্চে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কাবুলের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। সম্প্রতি পাকিস্তান বেশ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে আলোচনা দূরে থাক, তালেবানের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে গঠিত আফগান সরকারের উচ্চ শান্তি পরিষদকে স্বীকৃতি দিতেও রাজি নয় তারা।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ার সরকার পরিচালিত সম্প্রচার মাধ্যম ভয়েস অব রাশিয়া ক্যামেরন, কারজাই ও জারদারির বৈঠক প্রসঙ্গে এক বিশ্লেষণে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে আফগানিস্তানে আসে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের শান্তি বা স্থিতিশীলতা নিয়ে কখনোই মাথাব্যথা ছিল না তাদের। যে কারণে সেখানে মাদক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয় হয়নি ওয়াশিংটন। ওই অঞ্চলে এখন নতুন এক খেলা শুরু করেছে তারা। এখন আর আফগানিস্তানে তাদের আগ্রহ নেই। বরং ওয়াশিংটন ২০১৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি সেনা সরিয়ে নিতে চাচ্ছে। বিষয়টি এমন নয় যে, ওই তিন পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েছে। বরং যুক্তরাষ্ট্রই আফগানিস্তান বিষয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে এই প্রথম অংশ নেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনা ও গোয়েন্দাপ্রধানরা। তবে শুরু থেকেই এই আলোচনায় অনুপস্থিত তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। নয়/এগারোর পর ২০০১ সালে আল-কায়েদার আশ্রয়দাতা তালেবানকে নির্মূলের লক্ষ্যেই আফগানিস্তান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণেই আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় এ দুই পক্ষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
তালেবান নেতারা অনেক দিন ধরেই কারজাই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নয়। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ত্রিপক্ষীয় এ সম্মেলন অনেকটা একতরফাভাবেই শেষ হলো। ছয় মাসের মধ্যে শান্তি সমঝোতার যে আহবান এ বৈঠকে জানানো হয়েছে তাকে 'অতিমাত্রায় উচ্চাভিলাষী' বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিশ্লেষক হাসান আসকারি। তাঁর মতে, বৈঠকে তালেবানের অনুপস্থিতিই সবচেয়ে বড় সংকট, 'আমার মনে হয় না ছয় মাসের মধ্যে কোনো সমাধান হবে। পরে দেখা যাবে, পুরো হিসাবেই বড় ধরনের গরমিল হয়ে গেছে।'
পাকিস্তানে বন্দি তালেবান নেতাদের মুক্তি নিয়ে সংকটের জের ধরে গত বছর মার্চে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কাবুলের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। সম্প্রতি পাকিস্তান বেশ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে আলোচনা দূরে থাক, তালেবানের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে গঠিত আফগান সরকারের উচ্চ শান্তি পরিষদকে স্বীকৃতি দিতেও রাজি নয় তারা।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ার সরকার পরিচালিত সম্প্রচার মাধ্যম ভয়েস অব রাশিয়া ক্যামেরন, কারজাই ও জারদারির বৈঠক প্রসঙ্গে এক বিশ্লেষণে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে আফগানিস্তানে আসে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের শান্তি বা স্থিতিশীলতা নিয়ে কখনোই মাথাব্যথা ছিল না তাদের। যে কারণে সেখানে মাদক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয় হয়নি ওয়াশিংটন। ওই অঞ্চলে এখন নতুন এক খেলা শুরু করেছে তারা। এখন আর আফগানিস্তানে তাদের আগ্রহ নেই। বরং ওয়াশিংটন ২০১৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি সেনা সরিয়ে নিতে চাচ্ছে। বিষয়টি এমন নয় যে, ওই তিন পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েছে। বরং যুক্তরাষ্ট্রই আফগানিস্তান বিষয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
No comments