টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য-সমালোচনায় দোষ নেই, অসম্মান কাম্য নয়

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্যে জনমনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেউ এর সমালোচনা করছেন, কেউবা বলছেন যথার্থ। এ নিয়েই টেলিফোনে অভিমত জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা_ একরামুল হক শামীম
কাজী মইনুল হক সবুজ ব্যবসায়ী, ফেনী মন্ত্রীদের এসব মন্তব্য সত্যিই দুঃখজনক।


ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সারাবিশ্ব সম্মান করে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা এবং সৌদি আরবে জনশক্তি পাঠানোর ব্যাপারে ড. ইউনূসকে সরকার বিশেষ দূত করে পাঠাতে পারে। ড. ইউনূস সারাবিশ্বে বাঙালির গর্ব।
লতিফুর রহমান
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে তিনি বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন। আমরা বিশ্বের কোথাও গেলে বলি শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বাড়ি যেখানে আমার বাড়ি সেখানে। নোবেল কমিটির যেসব সদস্য তাকে নির্বাচন করেছেন তারা কিন্তু আমাদের দেশের মন্ত্রীদের চেয়ে কম জ্ঞানী নন।
হাসান আল আরিফ
চাকরিজীবী, উত্তরা, ঢাকা
ড. ইউনূস শুধু বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর গর্ব। তাকে সম্মান করা উচিত।
আবদুর রহমান
ব্যবসায়ী, ছাতক, সিলেট
ড. ইউনূস আমাদের জাতীয় গর্ব। তাই মনে করি তাকে নিয়ে এসব মন্তব্য করা ঠিক নয়। মন্ত্রীদের উচিত ইতিবাচক চিন্তা করা।
নুর উল্লাহ
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের গর্ব ড. ইউনূস। অথচ মন্ত্রীরা তার সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
ড. ইউনূসকে নিয়ে মন্ত্রীরা যেসব মন্তব্য করছেন তা সঠিক। তিনি এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন।
জুয়েল
ব্যবসায়ী, শেরপুর
নোবেল বিজয়ীকে নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্য এবং নোবেল বিজয়ী কর্তৃক দেশের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য দুঃখজনক। একজন নোবেল বিজয়ী যেভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বহির্বিশ্বে সমালোচনা করছেন তাও কাম্য নয়। তিনি দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি যেন নিজের সেই অবস্থান ধরে রাখেন।
সাদেক হোসেন
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, ঝিকরগাছা, যশোর
ড. ইউনূসকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার মতো তেমন কোনো কাজও তিনি করেননি।
বদরুল আমিন
চাকরিজীবী, ছাতক, সিলেট
সারাবিশ্বে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে যে মানুষটি বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন তিনি ড. ইউনূস। অথচ মন্ত্রীরা তার সম্বন্ধে আবোল-তাবোল কথা বলছেন। এ রকম একজন মানুষকে অসম্মান করা উচিত নয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এবং স্বীকৃত একজন মানুষকে যথার্থ মূল্যায়নের পরিবর্তে তাকে নানাভাবে অসম্মান করে যাচ্ছি। এটা ঠিক নয়। ড. ইউনূস যা অর্জন করেছেন সেটিকে ছোট করে দেখার কোনো উপায় নেই। আমরা যদি অপরকে সম্মান দেখাতে না পারি তাহলে নিজেরাও সম্মান পাব না। এই শাশ্বত কথার মূল্যায়ন সর্বমহল করুক, এ কথাটিই ইউনূস প্রসঙ্গে বলতে চাই।
আবদুল্লাহ আল ফারুক
শিক্ষক, বনশ্রী, রামপুরা
আমার এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের যে কার্যক্রম সেই আলোকে আমি ড. ইউনূস সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। ক্ষুদ্রঋণের যে কার্যক্রম তার সাফল্য আমাদের এলাকায় দেখতে পাইনি। ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তার নোবেল জয়ে জনগণের স্বার্থ নেই, আছে পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থ। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দ্বন্দ্বের কারণে জনগণের মধ্যে বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ড. ইউনূসকে সামনে আনতে চাইছে।
হুমায়ুন কবির
ব্যবসায়ী, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ
ড. ইউনূস সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ যেসব মন্তব্য করেছেন তা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। এতে বাংলাদেশের সুনাম আরও নষ্ট হলো। বাংলাদেশে আর কাউকে নোবেল পুরস্কার দিতে চাইবে না নোবেল কমিটি। কারণ যাকেই নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে তাকে নিয়েই সমালোচনা হবে।
গোলাম মোস্তফা
চিকিৎসক, পাবনা
ড. ইউনূস বাংলাদেশের জন্য গৌরব। তার বিরুদ্ধে যেসব কথা বলছেন মন্ত্রীরা নিশ্চয়ই তা তাদের হীন ও ছোট মানসিকতার পরিচয়।
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, ফেনী
আমরা সাধারণ জনগণ দেশকে বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে দেখতে চাই। মন্ত্রীদের কাছে আবেদন, পারলে ড. ইউনূসের মতো নোবেল পুরস্কার জয় করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
মেহেদী হাসান সজীব
শিক্ষার্থী, পিরোজপুর
আমাদের দেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। ড. ইউনূস এই দেশের জন্য নোবেল পুরস্কারের সম্মান বয়ে এনেছেন। দেশের অতি দরিদ্র মানুষ যখন কোনো কাজের জন্য আর্থিক সহযোগিতা পেত না তখন তিনি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার ফলে দেশের দরিদ্র মানুষ আর্থিক দিক থেকে আজ সচ্ছল। এসবের ওপর ভিত্তি করে তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া সার্থক বলে আমি মনে করি। যারা তার সম্পর্কে কুমন্তব্য করছেন তাদের আগে ইউনূসের সমকক্ষ হওয়া উচিত।
বোরহান উদ্দিন সোহেল
চাকরিজীবী, পাবনা
ড. ইউনূসকে নিয়ে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তা সম্পূর্ণই রাজনৈতিক।
ফাতেমা তোজ জোহরা
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম
যে দেশে গুণীজনের সমাদর নেই সে দেশে গুণী জন্মায় না। এসব মন্ত্রীকে আমি ধিক্কার জানাই।
মোঃ আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, টাঙ্গাইল
ড. ইউনূস সম্বন্ধে মন্ত্রীরা যেসব কথা বলছেন সেসব সম্পর্কে আমি একমত নই। তিনি যোগ্য হিসেবেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সৈয়দ আশরাফ যেসব কথা বলছেন সেসব ঠিক নয়।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত এই গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রীরা দেশের ভালোর জন্যই মন্তব্য করছেন। কেউ যেন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষাসহ কোনোভাবেই দেশের উপার্জিত অর্থের অপচয়, সর্বোপরি দেশ ও জনগণের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের দেশের সচেতন নাগরিক সমাজসহ সবাইকে সরকারের পাশে থাকতে হবে।
সুশান্ত
শিক্ষার্থী, বরিশাল
মন্ত্রীরা যেসব মন্তব্য করছেন সেসব ঠিক নয়। ড. ইউনূস সম্মানিত মানুষ, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের গর্ব। তবে আমার মনে হয় তার অর্জনে মার্কিনদের লাভই বেশি হয়েছে। অন্য দেশের লেজুড়বৃত্তি বাদ নিয়ে দেশের প্রতি মমত্ববোধ রেখে তার কাজ করা উচিত।
শাহাদাৎ হোসেন
চাকরিজীবী, ঢাকা
ড. ইউনূস আমাদের দেশের গর্বর্। তার সম্পর্কে এভাবে মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। যদি তিনি বড় কিছু না হবেন তবে হিলারি কেন তার সঙ্গে দেখা করবেন? প্রধান কথা হলো, হিলারি চাচ্ছিলেন সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করা হোক। হয়তো সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের তা পছন্দ হয়নি। ফলে ডা. ইউনূস ও ড. আবেদকে কটূক্তি করা হচ্ছে।
ডা. সুমন সূত্রধর
ডাক্তার, ওসমানীনগর, সিলেট
ওয়ান-ইলেভেনের সময় তিনি যদি ক্ষমতার লোভ না করতেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে কটূক্তি না করতেন, তাহলে তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র থাকতেন। তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এটি টোটাল এশিয়া মহাদেশের সম্মান। তারপরও তিনি ক্ষমতার প্রতি লোভ করেছেন, তার ফলস্বরূপ মন্ত্রীদের এমন কটূক্তি।
আশিস দাশ
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শিল্পমন্ত্রী যা বলেছেন তা অনেকাংশেই ঠিক। মিডিয়াতে শুধু বুদ্ধিজীবী এলিটশ্রেণীর মানুষের কথা আসে। সেখানে সাধারণ জনগণ উপেক্ষিত। সাধারণ মানুষের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু রাজনীতিতে এলে তা বোঝা যায়। মন্ত্রী সম্পর্কে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বক্তব্য তীব্র বিদ্বেষমূলক। ক্ষুদ্রঋণ কতটা উপকার করছে তা নিয়ে গবেষণা বা সঠিক প্রতিবেদন আশা করি।
সাদেক হোসেন
শিক্ষার্থী, নাজিরবাড়ী, চট্টগ্রাম
ড. ইউনূস শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো এশিয়া মহাদেশের সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে নিয়ে যারা অশুভ আচরণ কিংবা সমালোচনা করছেন তারা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করেননি। তাই তারা এসব মন্তব্য করেছেন। সম্মান পেতে হলে ড. ইউনূসকে সম্মান দিন।
সুমন
মেডিসিন ব্যবসায়ী, শেরপুর, নকলা
তিনি আমাদের দেশের জন্য অনেক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন। এখন তাকে নিয়ে যেসব মন্তব্য হচ্ছে তা দেশের জন্য দুঃখজনক। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।
হাসান
রাজনৈতিক কর্মী, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ
সম্মান পেতে চাইলে অন্যকে সম্মান দিন। আমরা এমন এক দেশে বাস করি যে দেশে শিক্ষিত রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রের সম্পদ। ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনেকে কুৎসা রটায়। এদিক থেকে সরকারি দলই এগিয়ে। তারাও কি নোবেল পেতে আগ্রহী, নাকি না পাওয়ার বেদনায় এ রকম কথাবার্তা চলছে?
খায়রুল ইসলাম
পল্লী চিকিৎসক, নাটোর
ড. ইউনূস একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীরা আপত্তিকর বক্তব্য পেশ করেছেন। এটা নিন্দনীয়।
আরিফ শিকরার
ব্যবসায়ী, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ডা. ইউনূসকে নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। এতে করে তার সম্মানকে খর্ব করা হয়েছে। আমি বলতে চাই, আমাদের দেশের এমপি-মন্ত্রীরা দেশ নিয়ে ভাবেন না। কে কী করল না করল এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
সিদ্দিকুর রহমান
কৃষক, ময়মনসিংহ
ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় কয়েকজন মন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তা দুঃখজনক। ড. ইউনূসের সম্মান ক্ষুণ্ন করার মানে সবার সম্মান ক্ষুণ্ন করা।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, মহেশখালী
ড. ইউনূসকে নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তারা আসলে দেশের উন্নতি চান না। তাদের মুখে কেবল তোতা পাখির মতো দেশের উন্নয়নের কথা। সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, কোনো যুদ্ধ বন্ধ না করেও ড. ইউনূস কেন নোবেল পুরস্কার পেলেন; অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রাবিশ। এ ধরনের মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।
কুমার চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ
ড. ইউনূস অরাজনৈতিক এক ব্যক্তি। তাকে সম্মান করি। অথচ তিনি গণতান্ত্রিক সরকার উচ্ছেদ করে অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চান। মন্ত্রীরা গণতন্ত্রের পক্ষে। এ জন্য মন্ত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে ড. ইউনূসকে অনেক কথা বলেছেন, এটা দেশ ও জনগণের ভালোর জন্যই বলেছেন।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
ড. ইউনূসকে নিয়ে একাধিক মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সফরের পরপরই তা লক্ষ্য করা যায়। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ড. ইউনূস নোবেল বিজয়ী হিসেবে বড় মনের পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি হিলারিকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিস্থিতি সঠিকভাবে বোঝাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংক দমন করতে চায়। এটা তো পরিষ্কার আক্রমণাত্মক কথা। গ্রামীণ ব্যাংক জনগণের ব্যাংক। এখানে দমনের কী আছে? তিনি উদার বক্তব্য দিতে পারলে হিলারির বক্তব্য গঠনমূলক হতো। তার কাছে আরও উদারতা চাই। দেশের জন্য অনেক বড় কিছু তিনি করবেন বলে আশা করি।
মুহম্মদ হানিফ
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
আমাদের এলাকার ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে অনেক পরিবার অশান্তিতে পড়েছে।
মোঃ লতিফুর রহমান
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
তিনি শান্তিতে নোবেল পেয়ে আমাদের দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন।
বিপ্লব কুমার মণ্ডল
শিক্ষার্থী, খুলনা
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লার একটা কথা আছে, যে দেশে গুণীজনের কদর নেই সে দেশে গুণীজন জন্মায় না। এটা আরও একবার মন্ত্রিপরিষদ প্রমাণ করতে চাইছে। আমাদের মাঝে দু'একজন গুণীজন থাকা সত্ত্বেও তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। আমি চাই ড. ইউনূস সবার কাছে সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকুক।
ফয়জুর রহমান
ব্যবসায়ী, মৌলভীবাজার
আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বিভিন্ন সমাবেশে এমন সব কথা বলছেন যাতে মনে হয় তারা নোবেল কমিটির সদস্য এবং তারাই নোবেল পাওয়ার যোগ্য!
মোঃ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ, ঢাকা
ড. ইউনূসকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে তা দুঃখজনক। তিনি আমাদের দেশের জন্য গর্ব। আমরা যেন তাকে সম্মান করি। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প দরিদ্র মানুষের উপকার করেছে।
শাহাব উদ্দিন
পরিবহন শ্রমিক, চট্টগ্রাম
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি আমাদের জাতির গর্ব। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা না করার জন্যই তার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে।
রাসেল মাহমুদ
ব্যবসায়ী, বগুড়া
বগুড়ায় নোবেল পুরস্কারের টাকায় গ্রামীণ আই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে এলে বোঝা যাবে জনগণ কীভাবে উপকৃত হচ্ছে। তবে আমি নোবেল পদক নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
মোঃ আমিনুল হক চৌধুরী
সরকারি চাকরিজীবী, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ
যে সমাজ গুণীজনকে সম্মান করতে জানে না সে সমাজে গুণীজন জন্ম নেয় না। আমাদের মন্ত্রীদের মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত।
মোঃ ইয়াসিন খান
শিক্ষার্থী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর, ঢাকা
ড. ইউনূস সম্পর্কে তিনজন মন্ত্রী যা বলেছেন তা ঠিক। যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকে দুর্বল করাটাই হচ্ছে ইউনূসের মিশন।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে একাধিক মন্ত্রী অনেক মন্তব্য করেছেন, যা আমরা মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পেরেছি। নোবেল বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সম্মান, যা ড. ইউনূস অর্জন করে বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচিত করিয়েছেন। আর রাজনীতি না করলেই যে দেশের নাগরিক হিসেবে কিছু বলা যাবে না_ এমনটি মনে হয় ঠিক নয়। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে এ অধিকার সবার আছে। আমাদের মনীষীরাই তো বলে গেছেন_ যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। তাই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সংযতভাবে কথা বললে দেশ ও জাতির সম্মান অনেক বাড়ে।
 

No comments

Powered by Blogger.