স্থাপনাটি সংরক্ষিত ঘোষণা করে রক্ষা করুন-পদ্মার বুকে প্রত্নকীর্তি
পদ্মার বুকে এক প্রাচীন স্থাপনা নিমজ্জিত ছিল, তা কে জানত? আর যখন জানা গেল, তখন ঐতিহ্যের প্রাচীন নিদর্শন রক্ষার ব্যবস্থা নেওয়াই ছিল প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু কোনো উদ্যোগ গত কয়েক দিনে দেখা গেল না। বরং দেখা গেল উৎসুক জনতার উৎসাহের আতিশয্যে প্রত্নকীর্তিটির অবাধ ক্ষতিসাধনের চিত্র।
পদ্মার শুকিয়ে আসা জলরাশির ওপর ভেসে ওঠা এর ছাদ ও গম্বুজ ‘দেখতে আসা’ জনতার নর্তন-কুর্দনের সচিত্র সংবাদ গত শনিবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, একে ‘সরকারি মাল’ গণ্য করে ইট-পাথর খুলে বাড়ি নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। কী বিচিত্র এই আচরণ!
২৫-২৬ মার্চ রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার বুকে নিমজ্জিত প্রাচীন বাড়িটির ওপরের অংশ ভেসে ওঠে। এর দেখভাল করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের গড়িমসিতে দায়িত্বহীনতারই লক্ষণ ফুটে ওঠে। কয়েক শ বছরের প্রাচীন বলে অনুমিত একটি ডুবো-ভবনের ওপর মানুষের হুড়োহুড়ি বিপজ্জনকও। মানুষের ভারে এটি ধসে পড়লে তা হবে এক কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, বগুড়ার মহাস্থানগড়সহ বিভিন্ন স্থানের প্রাচীন পুরাকীর্তির গা থেকে ইট খুলে নিয়ে আশপাশের এলাকায় ঘরবাড়ি বানানো হয়েছে। অবহেলার এই পুনরাবৃত্তির নজির রাজশাহীর এই স্থাপনার বেলায়ও দেখা গেল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অবশ্য স্থানটি পরিদর্শন করে গেছে। কিন্তু জনতার অবাধ হস্তক্ষেপ থেকে স্থাপনাটি মুক্ত রাখার ব্যবস্থা হলো না কেন? তারা যদি ঠিক করে থাকে, গবেষণার পরই সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাহলে বলতে হয়, গবেষণা হয়তো হবে কিন্তু তত দিনে সংরক্ষণের মতো কিছু আর থাকবে না।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত, এ মুহূর্তেই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরাকীর্তিটি সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করা এবং সেখানে জনসমাগম বন্ধ করতে পাহারা বসানো। এটি সম্পন্ন হলে ভেসে ওঠা ভবনটি সংরক্ষণ এবং এর ইতিহাস উদ্ধার করার কাজ শুরু করতে হবে।
২৫-২৬ মার্চ রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার বুকে নিমজ্জিত প্রাচীন বাড়িটির ওপরের অংশ ভেসে ওঠে। এর দেখভাল করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের গড়িমসিতে দায়িত্বহীনতারই লক্ষণ ফুটে ওঠে। কয়েক শ বছরের প্রাচীন বলে অনুমিত একটি ডুবো-ভবনের ওপর মানুষের হুড়োহুড়ি বিপজ্জনকও। মানুষের ভারে এটি ধসে পড়লে তা হবে এক কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, বগুড়ার মহাস্থানগড়সহ বিভিন্ন স্থানের প্রাচীন পুরাকীর্তির গা থেকে ইট খুলে নিয়ে আশপাশের এলাকায় ঘরবাড়ি বানানো হয়েছে। অবহেলার এই পুনরাবৃত্তির নজির রাজশাহীর এই স্থাপনার বেলায়ও দেখা গেল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অবশ্য স্থানটি পরিদর্শন করে গেছে। কিন্তু জনতার অবাধ হস্তক্ষেপ থেকে স্থাপনাটি মুক্ত রাখার ব্যবস্থা হলো না কেন? তারা যদি ঠিক করে থাকে, গবেষণার পরই সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাহলে বলতে হয়, গবেষণা হয়তো হবে কিন্তু তত দিনে সংরক্ষণের মতো কিছু আর থাকবে না।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত, এ মুহূর্তেই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরাকীর্তিটি সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করা এবং সেখানে জনসমাগম বন্ধ করতে পাহারা বসানো। এটি সম্পন্ন হলে ভেসে ওঠা ভবনটি সংরক্ষণ এবং এর ইতিহাস উদ্ধার করার কাজ শুরু করতে হবে।
No comments