তদন্ত-প্রক্রিয়া হোক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন-যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল
স্বাধীনতার ৩৯তম বার্ষিকীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল, তদন্তকারী সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্তকে আমরা নীতিগতভাবে স্বাগত জানাই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে—এখন আমরা সেই প্রত্যাশাই করব।
তবে এই প্রক্রিয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ তদন্ত সংস্থার সাফল্য। তাদের জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। সে কারণে আমরা আশা করব, তদন্তকারী সংস্থা যথাশিগগির কোনো একটি উপযুক্ত সময়ে তদন্ত-প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে একটা সময়সীমার ধারণা দেবে। আইনমন্ত্রীর বর্ণনায় তথ্য, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহসহ আনুষঙ্গিক কাজে ‘কিছু সময়’ লাগার ধারণা বড় বেশি অনির্দিষ্ট। তদন্তের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা সম্ভব হলেই কেবল আমরা আশ্বস্ত হতে পারি। আমরা তখনই শুধু নিশ্চিত ধারণা পেতে পারি যে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা সত্যি চার দশক আগে সংঘটিত অপরাধের দায়ে সাজা পেতে পারেন। সাবেক জেলা জজ আবদুল মতিনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের তদন্ত সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার বিষয়টি গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ করবে। পুরো বিচার-প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্ভাব্য তালিকা যদি আগেভাগেই প্রকাশ করা হতো, তাহলে এতে জনগণের বা সচেতন মহলের একটা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা হয়নি। তদন্তকারী সংস্থাই হবে অভিযোগকারী। দলীয় রাজনৈতিক বা কোনো সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠার প্রাথমিক দায়দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই বর্তাবে।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট সবাই যথাযথ সতর্কতা ও যত্ন নিলে সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম তেমন কোনো বাধার মুখে পড়বে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতো একটি বড় চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের অভিজ্ঞতা সরকারের রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযুক্তদের চেয়ে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধীরা ঢের বেশি শক্তিশালী ও সংগঠিত। বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কোনো রাজনৈতিক দল সক্রিয় ছিল না। সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না। কিন্তু সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের তা রয়েছে। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক মহলের একটা বিশেষ নজরদারি এই বিচার-প্রক্রিয়ার ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকবে। জামায়াতে ইসলামী বিদেশিদের দ্বারে ইতিমধ্যে হাজির হয়ে গেছে। তারা বিচার-প্রক্রিয়ার যেকোনো ধরনের বিচ্যুতি বা ভ্রান্তিকে দ্রুততার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট থাকবে।
তবে আমরা আশা করি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উচিত হবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানানো। এমনকি জামায়াতের নতুন প্রজন্মও ভাবতে পারে যে তারা কেন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বোঝা কাঁধে নেওয়ার ঝুঁকি নেবে? তারা বিবেচনায় নিতে পারে যে রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য বিচার নয়, যারা ওই সময় খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবে। এবার কিন্তু হানাদার বাহিনীকে মদদ বা রাজাকার হওয়ার প্রশ্ন নেই, যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অপরাধ করেছে, তাদেরই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। অপরাধীদের বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিতে তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত গণসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। তাদের পুরো কার্যক্রম গুণে-মানে অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হতে হবে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক বলেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় তা নিশ্চিত করতে তিনি সংকল্পবদ্ধ। আমাদের প্রত্যাশা, এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না এবং তদন্ত-প্রক্রিয়া হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট সবাই যথাযথ সতর্কতা ও যত্ন নিলে সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম তেমন কোনো বাধার মুখে পড়বে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতো একটি বড় চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের অভিজ্ঞতা সরকারের রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযুক্তদের চেয়ে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধীরা ঢের বেশি শক্তিশালী ও সংগঠিত। বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কোনো রাজনৈতিক দল সক্রিয় ছিল না। সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না। কিন্তু সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের তা রয়েছে। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক মহলের একটা বিশেষ নজরদারি এই বিচার-প্রক্রিয়ার ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকবে। জামায়াতে ইসলামী বিদেশিদের দ্বারে ইতিমধ্যে হাজির হয়ে গেছে। তারা বিচার-প্রক্রিয়ার যেকোনো ধরনের বিচ্যুতি বা ভ্রান্তিকে দ্রুততার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট থাকবে।
তবে আমরা আশা করি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উচিত হবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানানো। এমনকি জামায়াতের নতুন প্রজন্মও ভাবতে পারে যে তারা কেন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বোঝা কাঁধে নেওয়ার ঝুঁকি নেবে? তারা বিবেচনায় নিতে পারে যে রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য বিচার নয়, যারা ওই সময় খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবে। এবার কিন্তু হানাদার বাহিনীকে মদদ বা রাজাকার হওয়ার প্রশ্ন নেই, যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অপরাধ করেছে, তাদেরই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। অপরাধীদের বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিতে তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত গণসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। তাদের পুরো কার্যক্রম গুণে-মানে অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হতে হবে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক বলেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় তা নিশ্চিত করতে তিনি সংকল্পবদ্ধ। আমাদের প্রত্যাশা, এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না এবং তদন্ত-প্রক্রিয়া হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
No comments