শ্রমিকদের প্রতি মানবিক আচরণ করুন-অশান্ত আশুলিয়া
রাজধানীর অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় একজন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যুর গুজবে উত্তেজিত সহকর্মীরা শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চালান, তার পরিসমাপ্তি সেদিনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন, রোববারও সকাল থেকে শ্রমিক বিক্ষোভ চলতে থাকে।
কারণ, আটক ভান্ডাররক্ষকের জামিনের ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের সামনে হাজির করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু সকালে তা না হওয়ায় আবার বিক্ষোভ শুরু হয়। মৃত্যুর গুজব মিথ্যা প্রমাণের জন্যই সেই ভান্ডাররক্ষকের মুক্তি দরকার। অন্যদিকে শনিবার শ্রমিক বিক্ষোভের সময় এক নারীশ্রমিক বাসের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। শ্রমিকেরা তাহলে কী পেলেন? এর আগে পোশাক শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলামকে গুম করে খুন করা হয়েছে। বিচার হয়নি। এরপর আবার মৃত্যুর গুজবে শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হলে দোষ কার?
শ্রমিকেরা পেটে-ভাতে জীবন চালান। জীবিকা টিকিয়ে রাখা যে কত দরকার, তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পান। এর পরও কেন তাঁরা জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় নামেন, নিজেদের কারখানায় ভাঙচুর করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন, সেটা ভেবে দেখা দরকার। কারখানা ভাঙচুর-লুটপাট সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু পেটের দায়ে যাঁরা মজুরি খাটেন, তাঁদের যেন সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করা কারখানার কর্মকর্তা, সর্বোপরি মালিকপক্ষের দায়িত্ব। শুধু পুলিশ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ তার প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তা যেন শ্রমিক নির্যাতনের পর্যায়ে না যায়, সেটা দেখা দরকার।
আশুলিয়ার পোশাকশ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বেশ কিছু পোশাক শিল্পকারখানা কর্তৃপক্ষ এখন উন্নত শ্রম-পরিবেশ, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম রয়েছে। কিন্তু তার পরও শ্রমিকেরা চান তাঁদের প্রতি মানবিক আচরণ। যদি কোনো ভুল-ত্রুটির জন্য মারধর করা হয়, থানায় ধরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে, তা কি কারও অজানা? শ্রমিকদের কোমরের জোর নেই বলে তাঁদের ভাঙা কোমর আরও ভাঙতে হবে, এ রকম মনোভাব সুষ্ঠু শ্রম পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। সরকারও এই শিল্পকে বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে থাকে। বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির একটি অন্যতম শর্ত হলো ন্যায্য মজুরি ও শ্রমপরিবেশ নিশ্চিত করা। এখানে যদি শ্রমিক অসন্তোষ লেগে থাকে, তাহলে বিদেশে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
আশুলিয়ার ঘটনার তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শ্রমিকের ন্যায্য স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া সংশ্লিষ্ট সব মহলের কর্তব্য।
শ্রমিকেরা পেটে-ভাতে জীবন চালান। জীবিকা টিকিয়ে রাখা যে কত দরকার, তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পান। এর পরও কেন তাঁরা জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় নামেন, নিজেদের কারখানায় ভাঙচুর করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন, সেটা ভেবে দেখা দরকার। কারখানা ভাঙচুর-লুটপাট সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু পেটের দায়ে যাঁরা মজুরি খাটেন, তাঁদের যেন সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করা কারখানার কর্মকর্তা, সর্বোপরি মালিকপক্ষের দায়িত্ব। শুধু পুলিশ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ তার প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তা যেন শ্রমিক নির্যাতনের পর্যায়ে না যায়, সেটা দেখা দরকার।
আশুলিয়ার পোশাকশ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বেশ কিছু পোশাক শিল্পকারখানা কর্তৃপক্ষ এখন উন্নত শ্রম-পরিবেশ, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম রয়েছে। কিন্তু তার পরও শ্রমিকেরা চান তাঁদের প্রতি মানবিক আচরণ। যদি কোনো ভুল-ত্রুটির জন্য মারধর করা হয়, থানায় ধরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে, তা কি কারও অজানা? শ্রমিকদের কোমরের জোর নেই বলে তাঁদের ভাঙা কোমর আরও ভাঙতে হবে, এ রকম মনোভাব সুষ্ঠু শ্রম পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। সরকারও এই শিল্পকে বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে থাকে। বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির একটি অন্যতম শর্ত হলো ন্যায্য মজুরি ও শ্রমপরিবেশ নিশ্চিত করা। এখানে যদি শ্রমিক অসন্তোষ লেগে থাকে, তাহলে বিদেশে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
আশুলিয়ার ঘটনার তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শ্রমিকের ন্যায্য স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া সংশ্লিষ্ট সব মহলের কর্তব্য।
No comments