মাধ্যমিক শিক্ষার বেহালদশা
মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে যে চিত্র বিরাজ করছে তা বড় ধরনের অশুভ সংকেত। সম্প্রতি কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২২৫টিতেই প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৪৬০টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৪৯ জন।
শিক্ষক সংকট কাটিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে এক বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মধ্যে অনেক কথাবার্তা, চিঠি চালাচালি হচ্ছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।
মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের উলি্লখিত চিত্রগুলো স্পষ্ট বলে দেয়, বিষয়টি কত উপেক্ষিত। অথচ একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার নিরন্তর প্রয়াসের কথা সরকারের তরফে অহরহ ব্যক্ত হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যমান চিত্র, উচ্চারিত অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক কত? এই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় কেবল শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনেও বিপুলসংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। এত পদ শূন্য থাকলে একটি বিভাগ যেভাবে চলে তাকে তো চলা বলে না।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এ চলার নানামুখী বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমগ্র মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষা ভবনে শিক্ষকদের নিত্য ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। এ চিত্র জিইয়ে রেখে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অসাড়। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এসব জিইয়ে রাখলে চলবে না।
আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা নানা মহল থেকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে, এর বাস্তব রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের উদাসীনতা বর্জন করে কাজের কাজটি সর্বাগ্রে করতে হবে। সবচেয়ে বেশি বিবর্ণ চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
শিক্ষাক্ষেত্রে গত দুই বছরে অনেকটা পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা অসত্য নয়। কিন্তু এ-ও সত্য, এ পরিবর্তন সবক্ষেত্রে সমভাবে ঘটেনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন তো সামগ্রিক পরিবর্তন নয়। মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় সমস্যার পাহাড় গড়ে উঠেছে। এখনই যদি এর সমাধানকল্পে জোরদার পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে তা ধসে পড়ার উপক্রম হবে এবং এমনটি হলে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি নিরূপণ করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। আমরা আশা করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের উলি্লখিত চিত্রগুলো স্পষ্ট বলে দেয়, বিষয়টি কত উপেক্ষিত। অথচ একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার নিরন্তর প্রয়াসের কথা সরকারের তরফে অহরহ ব্যক্ত হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যমান চিত্র, উচ্চারিত অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক কত? এই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় কেবল শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনেও বিপুলসংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। এত পদ শূন্য থাকলে একটি বিভাগ যেভাবে চলে তাকে তো চলা বলে না।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এ চলার নানামুখী বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমগ্র মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষা ভবনে শিক্ষকদের নিত্য ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। এ চিত্র জিইয়ে রেখে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অসাড়। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এসব জিইয়ে রাখলে চলবে না।
আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা নানা মহল থেকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে, এর বাস্তব রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের উদাসীনতা বর্জন করে কাজের কাজটি সর্বাগ্রে করতে হবে। সবচেয়ে বেশি বিবর্ণ চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
শিক্ষাক্ষেত্রে গত দুই বছরে অনেকটা পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা অসত্য নয়। কিন্তু এ-ও সত্য, এ পরিবর্তন সবক্ষেত্রে সমভাবে ঘটেনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন তো সামগ্রিক পরিবর্তন নয়। মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় সমস্যার পাহাড় গড়ে উঠেছে। এখনই যদি এর সমাধানকল্পে জোরদার পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে তা ধসে পড়ার উপক্রম হবে এবং এমনটি হলে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি নিরূপণ করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। আমরা আশা করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে।
No comments