শর্ষের ভেতরেই ভূত
আইন প্রণেতাদেরও আইনকে শ্রদ্ধা করতে হবে ভূত তাড়াতে শর্ষে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শর্ষের মধ্যেই যেসব ভূত বসবাস করে, তাদের তাড়ানো হবে কী দিয়ে? আমাদের এমপি সাহেবরা কি সেই শর্ষের ভূত! জাতীয় সংসদের স্পিকার নিজেই অভিযোগ করেছেন, এমপি সাহেবরা নিজেরাই আইন মানছেন না।
আইন প্রণেতারাই যদি আইন না মানেন, তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যৎ কী? সংরক্ষিত সংসদ ভবন এলাকা থেকে প্রতারকচক্র ধরা পড়ে, হত্যাকাণ্ড ঘটে, হত্যা মামলার একাধিক আসামি ধরা পড়ে, পুরনো এমপি হোস্টেল থেকে তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়, নানা রকম অসামাজিক কাজের অভিযোগ পাওয়া যায়- এগুলো কি সংসদ সদস্য কিংবা সংসদ ভবনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে না? আর এ ধরনের ঘটনা শুধু বর্তমান সরকারের আমলেই নয়, অতীতের সরকারগুলোর সময়েও অনেক ঘটেছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সংসদ ভবন থেকে তিন জঙ্গিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে আমরা কি এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে পারি না?
সংসদ ভবন বা সংরক্ষিত এলাকা নয়, সর্বত্রই একজন এমপি বা আইন প্রণেতার কাছ থেকে মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। মানুষ চায়, জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তাঁরা সংসদে কথা বলবেন। তেমন এমপি যে নেই, তা নয়। তবে সম্ভবত তাঁরা এখন সংখ্যায় কম। আর অধিকাংশ এমপির আচরণই আমাদের কেবল হতাশ করে। নিতান্ত দায়ে না পড়লে তাঁরা সংসদ অধিবেশনে যেতে চান না। ফলে কোরাম সংকট হয়। তখন সংসদে আসার জন্য সংসদ নেতাকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করতে হয়। সংরক্ষিত সংসদ ভবন এলাকা, এমপি হোস্টেল এবং এমপিদের নামে বরাদ্দ দেওয়া ন্যাম ফ্লাটগুলোতে সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের আনাগোনা থাকে। এমনকি তাদের অনেকের কাছে এমপি সাহেবদের রুম বা ফ্ল্যাটের চাবিও থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্পিকার নিজেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও অনেক এমপিই নির্দেশনা মানেন না। কেন? সংসদের বাইরেও কি এমপি সাহেবরা খুব দায়িত্বশীল আচরণ করছেন? কক্সবাজার এলাকার সরকারদলীয় একজন এমপি হলেন আবদুর রহমান বদি। গত তিন বছরে তিনি তিনজন শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং সংস্কৃতিকর্মীসহ এক ডজনেরও বেশি লোককে নিজ হাতে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মাস্তানি, চাঁদাবাজি, চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ প্রায় সব ধরনের অপকর্মের অভিযোগই রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি জঙ্গিদের সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এমপি হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৩টি মামলা ছিল। এমপি হওয়ার পর দু-তিনটি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলা থেকেই তিনি অব্যাহতি পেয়ে গেছেন। অবশিষ্ট মামলাগুলোও হয়তো প্রত্যাহার হয়ে যাবে। স্বেচ্ছাচারিতা, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাটের এমন অভিযোগ আরো অনেক এমপির বিরুদ্ধেই রয়েছে। কোনো কোনো এমপির দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য সংবলিত রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার এসব ব্যাপারে দ্রুত যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।
সংসদ ভবন বা সংরক্ষিত এলাকা নয়, সর্বত্রই একজন এমপি বা আইন প্রণেতার কাছ থেকে মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। মানুষ চায়, জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তাঁরা সংসদে কথা বলবেন। তেমন এমপি যে নেই, তা নয়। তবে সম্ভবত তাঁরা এখন সংখ্যায় কম। আর অধিকাংশ এমপির আচরণই আমাদের কেবল হতাশ করে। নিতান্ত দায়ে না পড়লে তাঁরা সংসদ অধিবেশনে যেতে চান না। ফলে কোরাম সংকট হয়। তখন সংসদে আসার জন্য সংসদ নেতাকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করতে হয়। সংরক্ষিত সংসদ ভবন এলাকা, এমপি হোস্টেল এবং এমপিদের নামে বরাদ্দ দেওয়া ন্যাম ফ্লাটগুলোতে সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের আনাগোনা থাকে। এমনকি তাদের অনেকের কাছে এমপি সাহেবদের রুম বা ফ্ল্যাটের চাবিও থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্পিকার নিজেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও অনেক এমপিই নির্দেশনা মানেন না। কেন? সংসদের বাইরেও কি এমপি সাহেবরা খুব দায়িত্বশীল আচরণ করছেন? কক্সবাজার এলাকার সরকারদলীয় একজন এমপি হলেন আবদুর রহমান বদি। গত তিন বছরে তিনি তিনজন শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং সংস্কৃতিকর্মীসহ এক ডজনেরও বেশি লোককে নিজ হাতে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মাস্তানি, চাঁদাবাজি, চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ প্রায় সব ধরনের অপকর্মের অভিযোগই রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি জঙ্গিদের সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এমপি হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৩টি মামলা ছিল। এমপি হওয়ার পর দু-তিনটি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলা থেকেই তিনি অব্যাহতি পেয়ে গেছেন। অবশিষ্ট মামলাগুলোও হয়তো প্রত্যাহার হয়ে যাবে। স্বেচ্ছাচারিতা, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাটের এমন অভিযোগ আরো অনেক এমপির বিরুদ্ধেই রয়েছে। কোনো কোনো এমপির দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য সংবলিত রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার এসব ব্যাপারে দ্রুত যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।
No comments