জগৎ চলে পাওয়ারে

ড্রাইসেল ব্যাটারি যদি শক্তির আধার হয়, কেউ কেউ তবে জন্মসূত্রেই সৌভাগ্যবান। কোনো ব্যাটারি জন্মসূত্রেই প্রচুর পাওয়ার নিয়ে জন্মায়, কোনোটা দুর্বল পেনসিল-দেহ, সস্তা আর ক্ষমতাহীন। বাস্তবেই শুধু নয়, ব্যাটারি রাজ্যেও কম শক্তির ওপর বেশি শক্তির আধিপত্য চিরন্তন সত্য।


কথাটা মনে হয়েছিল যখন পুরোনো ক্যামেরায় ফুল-পাখির ছবি তুলতে বসেছিলেন স্বদেশ হাসনাইন। দু-একবার শাটার টিপেই দেখেন ব্যাটারি মরো মরো। কী আর করা, সেগুলোই টেবিলে সাজিয়ে থিম সাজালেন তিনি। সবশেষে মনে হয়েছে...হুম...সব জায়গায় রাজনীতি! অভিনয়ে: খেলনা ও ক্যামেরার নষ্ট ব্যাটারি।

দৃশ্য ১
নেতার চারপাশে তার অনুসারীরা নির্দেশের অপেক্ষায়।
দৃশ্য ২
নেতার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। একজন মানছে না। বিদ্রোহ করছে, অথচ অধিকাংশ অনুসারী সুবিধার জন্য নেতার ছত্রচ্ছায়ায় আছে।
দৃশ্য ৩
সাধারণত বিদ্রোহীরা বিচ্ছিন্ন থাকলে একসময় তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হয়। অন্যরাও সুবিধার জন্য এ রকম পরিস্থিতিতে নির্বিকার থাকে।
দৃশ্য ৪
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নেতার বিরুদ্ধে সবাই একত্র হয়ে বিপ্লব করে।
দৃশ্য ৫
অস্ত্রের জোরে পরাজিত হতে পারে বিপ্লবীরা।
দৃশ্য ৬
বিপ্লবের সময়ও কিছু চাটুকার স্বৈরাচারের সঙ্গে থাকে।
দৃশ্য ৭
স্বৈরাচারী শাসক একদিন পরাজিত হয়।
দৃশ্য ৮
শান্তির সময় যদিও কেউ নেতার খুব কাছে ঘুমায়, কেউ পায়ের নিচে।
দৃশ্য ৯
শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি, বিচ্ছিন্ন নেতা।
দৃশ্য ১০
স্বজনপ্রীতি খুব সাধারণ ঘটনা। যখন সব শান্ত থাকে, দেশে কিছু লোক নেতার ঘনিষ্ঠ থেকে সুবিধা ভোগ করে।

No comments

Powered by Blogger.