খাদ্যশস্য আমদানি কমছে by ওবায়দুল্লাহ রনি
কমতে শুরু করেছে খাদ্যশস্য আমদানি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) চাল ও গমে ৫৭৭ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ৬৯.৪৮ হিসাবে) ঋণপত্র খোলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ দুটি পণ্যে ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা বা প্রায় ৮২ শতাংশ ঋণপত্র কম খোলা হয়েছে। যদিও এ সময়ে অন্যান্য খাদ্যে ৩৩ শতাংশ বেশি ঋণপত্র খোলা হয়েছে, মোট ঋণপত্রের হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। আর আমদানি বেশি হয়েছে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় গম ও চাল আমদানির ওপর চাপ কমতে শুরু করেছে। যে কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ঋণপত্র খোলার হার বেশ কমে এসেছে। তবে আগে খোলা ঋণপত্র নিষ্পত্তির ফলে আমদানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে এটিও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ সময়ে সামগ্রিকভাবে আমদানি প্রবৃদ্ধিও বেশ কমে এসেছে। তবে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়ায় মোট আমদানি ও এলসি খোলার হার বেড়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট আমদানি হয়েছে ৪০ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা মূল্যমানের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার পণ্য। সে হিসাবে দুই মাসে ৯ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বা ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ আমদানি বেশি হয়েছে। দুই মাসে ৪৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৪২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার। সে হিসাবে ৪ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ ঋণপত্র বেশি খোলা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রথম দুই মাসে ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা মূল্যমানের চাল ও গম আমদানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর এ সময়ে অন্যান্য খাদ্য আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২২ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। দুই মাসে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৭১ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
সে হিসাবে একই সময়ের তুলনায় এ পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।
এ সময়ে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ১৩ কোটি টাকার। গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি। শিল্পে ব্যবহৃত মেশিনারি আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার, যা ৩৫ শতাংশ বেশি। আর অন্যান্য পণ্য আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার। একই সময়ের তুলনায় যা ৯ শতাংশ কম। জ্বালানি খাতের প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বাড়ায় সামগ্রিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট আমদানি হয়েছে ৪০ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা মূল্যমানের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার পণ্য। সে হিসাবে দুই মাসে ৯ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বা ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ আমদানি বেশি হয়েছে। দুই মাসে ৪৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৪২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার। সে হিসাবে ৪ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ ঋণপত্র বেশি খোলা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রথম দুই মাসে ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা মূল্যমানের চাল ও গম আমদানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর এ সময়ে অন্যান্য খাদ্য আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২২ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। দুই মাসে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৭১ কোটি টাকার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
সে হিসাবে একই সময়ের তুলনায় এ পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।
এ সময়ে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ১৩ কোটি টাকার। গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি। শিল্পে ব্যবহৃত মেশিনারি আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার, যা ৩৫ শতাংশ বেশি। আর অন্যান্য পণ্য আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার। একই সময়ের তুলনায় যা ৯ শতাংশ কম। জ্বালানি খাতের প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বাড়ায় সামগ্রিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলে জানা গেছে।
No comments