বিবিএসের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আধুনিকায়নে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে গৃহীত তিন পর্যায়ের কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বের কাজ এখন চলছে। এ পর্বের কাজের মূল্যায়ন করে পরিসংখ্যান পদ্ধতির সংস্কারের জন্য আগামী বছর দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কৌশল হাতে নেওয়া হবে।পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহিম বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য আমরা কৌশল প্রণয়ন করব। লম্বা সময় ধরে চলবে এর বাস্তবায়ন। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দেবে।


বাংলাদেশের পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে ইতিমধ্যে ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন এসেছে বলে তিনি জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদমশুমারি সম্পন্ন করে তিন মাসের মাথায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও জাতীয় খানা জরিপ করার মধ্য দিয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। বাংলাদেশের তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন পদ্ধতি আরো মানসম্পন্ন করার জন্যই নেওয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল। সাতটি বিভাগীয় শহরে ও ৬৪টি জেলায় পরিসংখ্যান কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ডেভলপমেন্ট অব স্ট্যাটিসটিক্স (এনএসডিএস) সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে গতকাল তথ্য ব্যবহারকারীদের জন্য এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেন, নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সরকারের কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অলি আহমেদ, পরিসংখ্যান সচিব রীতি ইব্রাহিম, বিবিএসের মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
এনএসডিএস প্রকল্পের পরিচালক ইমদাদ হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুন মাসে। এর মধ্যেই আমরা দীর্ঘমেয়াদি কর্মকৌশল তৈরি করে ফেলব। জাতীয় পরিকল্পনায় কাজে লাগবে, জাতীয় নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে_এমন পরিসংখ্যানই আমরা দিতে চাই। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করতে চাই আমরা। সেজ ন্যই আজকের কর্মশালায় বিভিন্ন সংস্থাকে আহ্বান করেছিলাম কী ধরনের ব্যবহারিক তথ্য তাদের দরকার, তা জানতে।

No comments

Powered by Blogger.