রুট চূড়ান্ত, রাজশাহী শহর ও নাটোরে জনসভা নেই
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ শুরু হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের এ রোডমার্চের রুট নানা ঘষামাজা শেষে অবশেষে চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।রাজশাহী বিভাগের এ রোডমার্চের রুট ও জনসভা অনুষ্ঠানের ভেন্যু নিয়ে একাধিকবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। রাজশাহী মহানগরী ও নাটোর জেলা রোডমার্চ রুটের আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েও একবার বাতিল করা হয়। গতকাল রবিবার আবার বিএনপি ঘোষণা করেছে যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনসভা করে ফেরার পথে রাজশাহী মহানগরী ও নাটোর জেলা রোডমার্চের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কিন্তু এ দুই জেলায় কোনো জনসভা, এমনকি পথসভাও থাকবে না।রাজধানীর উত্তরা থেকে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে রোডমার্চ কর্মসূচি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে খালেদা জিয়া রোডমার্চের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। বিএনপি নেত্রী গুলশান থেকে বনানী, স্টাফ রোড, জিয়া কলোনি, বিশ্বরোড, এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরা দিয়ে টঙ্গী, গাজীপুর, কালিয়াকৈর বাইপাস রোড, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায় যাবেন। বগুড়ায় জনসভা শেষে এখানেই তিনি রাত যাপন করবেন। পরদিন বুধবার বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাবে রোডমার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনসভা শেষে রাতেই রাজশাহী ও নাটোর হয়ে ঢাকা অভিমুখে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।
রোডমার্চ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চে এবং সিলেটের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। রাজশাহী বিভাগে অনুষ্ঠেয় এ রোডমার্চেও মানুষের ঢল নামবে। বিএনপির চেয়ারপারসন এ রোডমার্চে বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি জনসভা এবং পাঁচটি পথসভায় বক্তব্য দেবেন। চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের নেতারা রোডমার্চে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তিনি বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করতে চাই। আশা করি, সরকার সহযোগিতা করবে।'
গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, পূর্বঘোষিত রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, রোডমার্চের প্রথম পথসভা হবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাইপাস রোডে। দ্বিতীয় পথসভা হবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তৃতীয় পথসভা সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে হওয়ার কথা রয়েছে। এদিনই বিকেলে বগুড়ার আলতাফুননেসা মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। পরদিন ১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁর এটিএম হাই স্কুল মাঠে হবে রোডমার্চের চতুর্থ পথসভা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভাটি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পরিবর্তে সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
রোডমার্চের প্রস্তুতি সম্পর্কে রিজভী বলেন, যেসব রোড দিয়ে রোডমার্চ যাবে, ওই সব জেলার নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোডমার্চ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। পোস্টার, প্রচারপত্র বিতরণে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাশেদা বেগম হীরা এমপি, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
উৎসাহ-উদ্দীপনা কম
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ ও জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম হলেও রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চে দলের মধ্যে তেমন একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে সিলেটের রোডমার্চ কর্মসূচি উপলক্ষে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর চাঁদাবাজির অভিযোগ দলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এম ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে নিজ দলের এক নেতা অভিযোগ তুলে ধরে তদন্ত দাবি করেছেন। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশের পর এম ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
রোডমার্চ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চে এবং সিলেটের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। রাজশাহী বিভাগে অনুষ্ঠেয় এ রোডমার্চেও মানুষের ঢল নামবে। বিএনপির চেয়ারপারসন এ রোডমার্চে বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি জনসভা এবং পাঁচটি পথসভায় বক্তব্য দেবেন। চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের নেতারা রোডমার্চে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তিনি বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করতে চাই। আশা করি, সরকার সহযোগিতা করবে।'
গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, পূর্বঘোষিত রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, রোডমার্চের প্রথম পথসভা হবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাইপাস রোডে। দ্বিতীয় পথসভা হবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তৃতীয় পথসভা সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে হওয়ার কথা রয়েছে। এদিনই বিকেলে বগুড়ার আলতাফুননেসা মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। পরদিন ১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁর এটিএম হাই স্কুল মাঠে হবে রোডমার্চের চতুর্থ পথসভা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভাটি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পরিবর্তে সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
রোডমার্চের প্রস্তুতি সম্পর্কে রিজভী বলেন, যেসব রোড দিয়ে রোডমার্চ যাবে, ওই সব জেলার নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোডমার্চ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। পোস্টার, প্রচারপত্র বিতরণে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাশেদা বেগম হীরা এমপি, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
উৎসাহ-উদ্দীপনা কম
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ ও জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম হলেও রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চে দলের মধ্যে তেমন একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে সিলেটের রোডমার্চ কর্মসূচি উপলক্ষে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর চাঁদাবাজির অভিযোগ দলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এম ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে নিজ দলের এক নেতা অভিযোগ তুলে ধরে তদন্ত দাবি করেছেন। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশের পর এম ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
No comments