তারল্য সংকট না কাটলে কোনো সিদ্ধান্তই কাজে আসবে না

ত সপ্তাহে দুই দিন পুঁজিবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিনেই তা আবার নেমে গেছে। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির নেওয়া সব উদ্যোগই যেন ভেস্তে গেল। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে না পারলে যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক, সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এসইসি যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা একান্তই তাদের নিজস্ব। কারণ এনবিআর কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো এই দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে গেজেট আকারে না এলে বিনিয়োগকারীরা তাতে আস্থা পাবেন না।


তা ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীরবতাও নজরদারির মধ্যে আনতে হবে বলে তাঁরা জানান।
চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, 'গত সপ্তাহে বাজারের স্বার্থে অনেকগুলো ঘোষণা এসেছে। এখন বাজারে ফান্ড আনার সময়। ফান্ড না এলে এসব সিদ্ধান্ত কোনো ভিত্তি খুঁজে পাবে না।'
চিটাগাং ইনভেস্টরস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাজারে এখন অসংখ্য গুজব। একদিন কোনোভাবে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলে একটি পক্ষ নেগেটিভ প্রচারণা চালায়। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এই গুজবগুলো কোথা থেকে আসে বাজারের স্বার্থেই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে, তা খুঁজে বের করতে হবে।
তা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তারা কেন নিষ্ক্রিয়, তা জানতে হবে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং বড় বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।' জানা গেছে, গতকাল সিএসইতে ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের লেনদেনের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা কম। এ সময় সার্বিক ও সাধারণ সূচক কমেছে যথাক্রমে ৪১৯ ও ৩৫৮ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৭৭টি কম্পানির মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কেবল পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। আর দরপতনের সূচিতে ছিল ১৭১টি কম্পানি।

No comments

Powered by Blogger.